Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫৭ লাখ, মৃত্যু ২৩: ত্রাণ সচিব

তিন জেলায় বন্যার অবনতি

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

তিন জেলায় বন্যার অবনতি

ফাইল ছবি

কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এসব জেলায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা। কেউ কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিতে পারলেও অনেকে নিজ বাড়িতেই আটকে আছেন। সোমবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মুছাপুর স্লুইসগেট (রেগুলেটর) পানির তোড়ে ধসে গেছে।

এদিকে ফেনী, মৌলভীবাজার, খাগড়াছড়ি ও ব্রহ্মণবাড়িয়াসহ কয়েকটি জেলায় বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামছে। তবে দুর্গত সব এলাকাতেই খাবার, বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইন ও ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সড়ক ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এবং নৌযানের অভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ত্রাণ ও ওষুধ পৌঁছানো যাচ্ছে না।

এদিকে বন্যা পূর্বভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, সারা দেশে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তিন দিনে ১৩ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ কমেছে। শুধু কুমিল্লার গোমতী পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, চলমান বন্যায় ১১ জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ জনে। এর মধ্যে কুমিল্লায় ছয়জন, ফেনীতে এক, চট্টগ্রামে পাঁচ, খাগড়াছড়িতে এক, নোয়াখালীতে পাঁচ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক, লক্ষ্মীপুরে এক ও কক্সবাজারে তিনজন। এছাড়াও মৌলভীবাজারে দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।

তিনি জানান, বন্যা আক্রান্ত ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারের ৭৪টি উপজেলার মোট ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৭ লাখ এক হাজার ২০৪ জন।

ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

নোয়াখালী, কোম্পানীগঞ্জ, সেনবাগ ও চাটখিল : পানির চাপে ধসে পড়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর স্লুইসগেট। পরে তা ছোট ফেনী নদীতে বিলীন হয়ে যায়। সোমবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্লুইসগেট ভেঙে যাওয়ায় কুমিল্লার ডাকাতিয়া নদী হয়ে আসা উজানের পানি এবং চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট, ফেনী সদর, দাগনভূঞা, সোনাগাজীর একাংশ এবং নোয়াখালীর সেনবাগ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জমে থাকা বন্যার পানি সহজেই নেমে যাবে।

তবে সাগরের জোয়ারের লোনা পানিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার এবং ছোট ফেনী নদীতে নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও ফেনীর সোনাগাজী-দাগনভূঞাসহ আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

সোমবার দুপুরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম বলেন, তিন দিনে নোয়াখালীতে ৬৭ জনকে সাপে কেটেছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সাপে কেটেছে ৩২ জনকে। বন্যার কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে ১১৮ জন। বিভিন্ন উপজেলায় অন্তত ৮০০ লোক ডায়রিয়া আক্রান্ত।

এদিকে সেনবাগে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। উপজেলার সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। মানুষ সেখানে আশ্রয় নিলেও তাদের খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের লোকজন ত্রাণ তৎপরতা চালালেও তা অপ্রতুল। যোগাযোগ বিছিন্ন থাকায় প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানো যাচ্ছে না।

অনেকে অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন। সেনবাগ-সোনাইমুড়ী সড়কসহ উপজেলার সব পাকা ও কাঁচা সড়ক পানির নিচে তলিয়ে থাকায় ছোট যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। চাটখিল উপজেলায়ও বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। সোমবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ৩০ ভাগ মানুষের বসত ঘরে পানি ঢুকে গেছে। হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সোমবার পর্যন্ত ১৪০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ সহস্রাধিক বানভাসি আশ্রয় নিয়েছে।

ফেনী ও সোনাগাজী : জেলার ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলা থেকে ধীরে ধীরে নামছে পানি। তবে জেলা সদরের কিছু এলাকা এখনো পানিতে তলিয়ে আছে। এসব এলাকার পানিবন্দি ১০০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ত্রাণ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

ফেনী সদর ইউনিয়নের আবুপুর গ্রামের বাসিন্দা সুমন দাস ও অমর কৃষ্ণ বলেন, সদর উপজেলায় প্রায় সব এলাকা বন্যায় প্লাবিত। কিন্তু বিষয়টি সেভাবে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনায় আসেনি। তিনি বলেন, ফেনী নদী ও ছোট ফেনী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তলিয়ে থাকায় গ্রামগুলোতে সরকারি কোনো ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট। দোকানপাটেও তেমন খাবার সামগ্রী নেই। থাকলেও দাম অনেক বেশি নেওয়া হচ্ছে। গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে প্রায় দুই তিন গুণ বেশি দামে। সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। এসব বিষয়ে তদারকি করে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা দেওয়া দরকার।

লক্ষ্মীপুর, কমলনগর, রায়পুর ও রামগতি : জেলার কোনো কোনো এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ডুবে আছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি ও বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর বাসিন্দারা দুঃসহ জীবন পার করছেন।

জেলা সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৫৮টি ইউনিয়নের প্রায় সব এলাকাতেই পানি ঢুকেছে। এর মধ্যে রয়েছে-সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ, দিঘলী, চরশাহী, উত্তর জয়পুর, মান্দারী, দত্তপাড়া, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি, তেওয়ারীগঞ্জ, ভবানীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের রহমতখালী খালসংলগ্ন লামচরী, সমসেরাবাদ, বাঞ্চানগর, মধ্য বাঞ্চানগর, মজুপুর এলাকা, চররুহিতা, পার্বতীনগর, কমলনগরের তোরাবগঞ্জ, চরকাদিরা, রামগতির চরপোড়াগাছা, চরবাদাম, রামগঞ্জের লামচর, কাঞ্চনপুর, চন্ডিপুর, ভাটরা, ভোলাকোট, রামগঞ্জ পৌরসভা, ভাদুর, করপাড়া, দরবেশপুর, রায়পুরের সোনাপুর, কেরোয়া, চরপাতা, বামনী, চরমোহনা, রায়পুর, দক্ষিণ চরআবাবিল ইউনিয়ন ও রায়পুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা।

রায়পুরের মেঘনা উপকূলীয় অঞ্চলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এর মধ্যে দিঘলী, চরশাহীসহ দুর্গম এলাকাগুলোতে ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না। ওইসব এলাকার মানুষ খাদ্যসংকটে হাহাকার করছেন। যে যেভাবে পারছেন ত্রাণের জন্য আহবান জানাচ্ছেন। কিন্তু পর্যাপ্ত নৌকা না থাকায় উদ্ধারকারী ও ত্রাণ সহায়তাকারীরা দুর্গম এলাকাগুলোতে যেতে পারছেন না।

মান্দারী ইউনিয়নের যাদৈয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. সেলিম জানান, চার দিন ধরে তিনি খায়রুল এনাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়ণকেন্দ্রে পরিবার নিয়ে উঠেছেন। পানি বেশি হওয়ায় কেউই ঠিকমতো সেখানে গিয়ে তাদের খোঁজ নিচ্ছেন না। কোনো খাবারও জোটেনি তাদের।

বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের বাসিন্দা রাবেয়া বেগম বলেন, বাড়িতে প্রচুর পানি। থাকা সম্ভব হচ্ছিল না। এজন্য স্বামী-সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি মান্দারী যাদৈয়া গ্রামে এসেছি। এছাড়া আশপাশের আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলোতেও জায়গা নেই। বাবার বাড়িতেও পানি। সবাই একসঙ্গে থাকব, বাঁচলে সবাই একসঙ্গে বাঁচব।

কুমিল্লা, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া ও মনোহরগঞ্জ : জেলার দাউদকান্দি, তিতাস, মুরাদনগর, দেবিদ্বার, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, আদর্শ সদর, বরুড়া, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, সদর দক্ষিণ, লালমাই, নাঙ্গলকোট ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকা বন্যাকবলিত হয়েছে। বন্যায় এ পর্যন্ত জেলার চার উপজেলায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। গোমতী নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মনোহরগঞ্জে ডাকাতিয়া নদীর পানি বেড়েই চলছে।

এতে এই উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। নাঙ্গলকোটে পানিতে ডুবে সিরাজুল হক নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। বুড়িচং সদর ও পশ্চিম সিংহ এলাকায় পানিতে ডুবে হাসিবুল (১০) ও ইব্রাহীম (৪) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বুড়িচংয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবির) উদ্যোগে বন্যাদুর্গত ৫০০টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আবেদ আলী বলেন, কুমিল্লার ১৭ উপজেলার মধ্যে ১৪টি বন্যা-কবলিত হয়ে পড়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১২৫টি ইউনিয়নের ১০ লাখ ২৬ হাজারের বেশি মানুষ। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। আমরা বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছি। সহায়তা অব্যাহত রাখতে মন্ত্রণালয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

মৌলভীবাজার : জেলার সব নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে টানা পাঁচ দিনের বন্যায় জেলার প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মনু ও ধলাই নদীর ভেঙে যাওয়া দুটি স্থানের বাঁধ মেরামত কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সদর উপজেলার মাইজপাড়া এলাকার দিনমজুর রিপন বলেন, তৃতীয় দফা বন্যায় তাদের এলাকায় ৮ থেকে ৯ ফুট পানি ওঠে। ঘরের চালের সঙ্গে নদীর পানি মিশে যায়।

চাঁদপুর ও ফরিদগঞ্জ : শাহরাস্তিতে অনেক রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেওয়া পরিবারের সংখ্যা। সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলার সূচিপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ বাড়িঘর পানির নিচে। তলিয়ে গেছে মাছের ঘের ও গবাদিপশুর ঘর। সূচিপারা ডিগ্রি কলেজে আশ্রয় নিয়েছে আড়াই শতাধিক মানুষ।

সেখানে গৃহবধূ তানিয়া আক্তার বলেন, শিশুদের নিয়ে দুদিন এই আশ্রয়কেন্দ্রে আছি। আমাদের বাড়িঘর সব পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে টানা বৃষ্টিতে ফরিদগঞ্জে জলাবদ্ধতা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। পৌরসভাসহ ১৫টি ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকায় পানি ঢুকেছে। জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে ইতোমধ্যেই অর্ধসহস্রাধিক পরিবার নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : কসবা ও আখাউড়া উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। আখাউড়ায় বন্যার পানি বাড়িঘর ও সড়ক থেকে পুরোপুরি নেমে গেছে। তবে বন্যার পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। পানিতে ঘর ভেঙে যাওয়ায় অনেকেই এখনো অন্যের বাড়িতে থাকছেন। কিছু মাটির ঘর পানিতে নরম হয়ে যাওয়ায় ভয়ে অনেকে উঠছেন না। অনেকের আসবাবপত্র ভেসে যাওয়ায় এ নিয়েও সমস্যায় আছেন। বীজতলা ও চারার ক্ষতি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষক।

খাগড়াছড়ি : জেলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের পক্ষে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সোমবার দুপুরে ঢাকা থেকে একটি বেসামরিক হেলিকপ্টারে শিক্ষার্থীরা এসব ত্রাণ নিয়ে আসেন। এতে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিনিধি ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রকিব মাসুদ।

পাইকগাছা (খুলনা) : পাইকগাছার দেলুটিতে ওয়াপদার ভাঙনে পানিবন্দিদের মাঝে চিকিৎসাসেবা প্রদান ও ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছে নৌবাহিনী। শুক্রবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম