Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

সচিবালয় ঘেরাও করে দাবি আদায়ের চেষ্টা

আনসার-শিক্ষার্থী ধাওয়া পালটা ধাওয়া সংঘর্ষ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাতসহ আহত ৪০ * স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিলেও রাত পর্যন্ত অবস্থান * এটা বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ -নাহিদ ইসলাম * শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে -সারজিস আলম

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আনসার-শিক্ষার্থী ধাওয়া পালটা ধাওয়া সংঘর্ষ

চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করা আনসার সদস্যদের সঙ্গে রোববার রাতে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পালটাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাত সোয়া ৯টার দিকে সচিবালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত পৌনে ১০টায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারী আনসার সদস্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পোশাক খুলে পালিয়ে যান। ছাত্র-জনতা এসব পোশাক আগুনে পুড়িয়ে দেন। পরে সচিবালয় ত্যাগ করেন আটকে পড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। 

রোববার রাত ১১টার দিকে সচিবালয় গেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, দাবি-দাওয়া পূরণের আশ্বাস দেওয়ার পরে আনসার সদস্যরা সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গা অবরুদ্ধ করে রাখেন। এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আজ (রোববার) ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা আনসারদের সব দাবি-দাওয়া মেনে নেব বলে আশ্বাস দিয়েছিলাম। এর জন্য আমরা সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু এরপরেও তারা সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গা অবরুদ্ধ করে রাখেন। এটা বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ মনে হচ্ছে। 

এদিকে, এ ঘটনায় কড়া হুঁশিয়ার দিয়ে শিক্ষার্থীদের রাজপথ না ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেন, কোনোভাবেই সচিবালয় ঘেরাও করে আন্দোলন করতে দেওয়া হবে না। যারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। 

এদিকে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয় এলাকায় ছাত্র-জনতাকে অবস্থান করতে দেখা যায়। তবে আন্দোলনকারী আনসার সদস্যদের দেখা মেলেনি। পরে ছাত্ররা রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজুভাস্কর্যের সামনে সংবাদ সম্মেলনে হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করার আলটিমেটামসহ তিন দফা দাবি ঘোষণা করেন। 

রাতে এ সংঘর্ষের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। তারা বলেন, সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রহমত উল্লাহ বাকি বলেন, সব দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া হয়েছে, তাই আপাতত ধৈর্য ধরার জন্য আনসার সদস্যদের বোঝানো হচ্ছিল। কিন্তু তারা কোনো কথা শোনেনি। পালটা তারা ছাত্রদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে ও ইট-পাটকেল ছোড়ে।
 
এর আগে আনসার সদস্যরা দিনব্যাপী সচিবালয় অবরুদ্ধ করে রাখলে সরকারের উপদেষ্টা, সচিব, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভেতরে আটকা পড়েন। আনসার সদস্যরা কাউকে বের হতে দিচ্ছিলেন না। এই অবস্থায় বাইরে আত্মীয়স্বজনরা উদ্বেগে ও ভেতরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এক রকম জিম্মিদশায় পড়েন। এর মধ্যে দফায় দফায় মিটিং চলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। হঠাৎ খবর আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছে। তখন সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভেতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই মোবাইল ফোনে সাহায্য চান। 

একপর্যায়ে রাত ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় হাজারখানেক শিক্ষার্থী সচিবালয় এলাকায় এলে তাদের সঙ্গে জনতাও যোগ দেন। একপর্যায়ে আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেন। শুরু হয় পালটাপালটি ধাওয়া। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে লাঠিপেটা করেন আনসার সদস্যরা। পরে শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আনসার সদস্যরা পিছু হটেন। এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম তাদের ফেসবুক পোস্টে আটকে রাখার বিষয়টি জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হতে থাকেন। পরে রাত ৯টায় তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোতাসিম বিল্লাহ মাহফুজ এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, উপদেষ্টা নাহিদ ভাইসহ হাসনাত ও সারজিস ভাইকে সচিবালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বিপথগামী কিছু আনসার সদস্য ও ছাত্রলীগের প্রেতাত্মারা। আমরা সবাই মিলে সচিবালয়ে মার্চ করে তাদের মুক্ত করে নিয়ে আসব। সবাই যোগ দিন, বিষয়টি সবাইকে অবগত করুন, অতীব জরুরি।

এর আগে আনসার সদস্যরা দুপুর থেকে সচিবালয় এলাকায় অবস্থান নেন। এ সময় তারা সচিবালয়ে কাউকে ঢুকতে ও বের হতে দেননি। শুধু তাই নয়, দুপুরের দিকে নিরাপত্তা ডিঙিয়ে আন্দোলনকারী আনসার সদস্যরা বিদ্যুৎ ভবনের উলটো দিকের ৩ নম্বর গেট দিয়ে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে স্লোগান দিতে থাকেন। 

তারা ঘোষণা দেন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। পরে বেলা ৩টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বৈঠক করে আনসার সদস্যদের দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে তাদের আন্দোলনের সমন্বয়ক নাসির মিয়া কর্মসূচি স্থগিত করেন। 

তবে এ ঘোষণা তেমন একটা কাজে আসেনি। একদফা দাবি আদায়ে বেশিরভাগ আনসার সদস্য রাত অবধি সচিবালয় ঘেরাও করে রাখেন। তাদের বিক্ষোভে সচিবালয়ের ভেতরে আটকা পড়ে দুর্ভোগের শিকার হন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অনেকে অফিস ত্যাগ করতে পারেননি। কেউ কেউ দেওয়াল টপকে বের হন। 

সচিবালয় এলাকায় রোববার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, সচিবালয় ঘেরাও করে রেখেছেন কয়েক হাজার আনসার সদস্য। এর আগে এদিন সকালে সারা দেশ থেকে আনসার বাহিনীর সদস্যরা প্রেস ক্লাব ও সচিবালয়ের সামনে জড়ো হন। বৈষম্যবিরোধী সাধারণ আনসারদের ব্যানারে সমাবেশ ও ঘেরাও কর্মসূচি হয়। 

দুপুর ১২টার পর সচিবালয়ের সামনে ও অন্য গেটগুলোর সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এতে সচিবালয়ের সব গেট বন্ধ হয়ে যায়। অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দীর্ঘ সময় সচিবালয়ের ভেতর থেকে কেউ বের হতে কিংবা ঢুকতে পারেননি। দাবি-আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাউকে বের হতে ও ঢুকতে দেবেন না বলেও ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। 

বিকালে আন্দোলনরত আনসার সদস্যদের সাত সদস্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে স্বরাষ্ট উপদেষ্টা ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। বেলা ৩টার পর স্বরাষ্ট্র্র উপদেষ্টার আশ্বাসে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন। স্বরাষ্ট্র্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে বলেন, আনসারদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে, বাহিনীর সদস্যদের রেস্ট টাইম প্রথা বাতিল করেছে সরকার। 

তিনি আরও বলেন, চাকরি জাতীয়করণসহ আনসার সদস্যদের অন্যান্য দাবির বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। পরে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেবে। 

রেস্ট টাইম প্রথা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র্র উপদেষ্টা বলেন, আনসার আইনে বলা হয়েছে, একজন আনসার সদস্য টানা ৩ বছর কাজ করার পর তাকে ৬ মাসের ছুটিতে পাঠানো হয়। এটাকে রেস্ট টাইম প্রথা বলা হয়। তারা ৬ মাস পর আবার কাজে যোগ দিতে পারবেন। কিন্তু রেস্ট টাইম সময়ে তারা সরকারি বেতন পান না। ফলে আর্থিকভাবে অভাব-অনটনের মধ্যে তাদের দিন কাটাতে হয়। এই প্রথা বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 
এর মাধ্যমে তাদের চাকরি নিয়মিত করা হলো। ব্রিফিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এদিকে আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আনসার আন্দোলনের আহ্বায়ক মো. নাসিম মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছি। আনসার সদস্যরা তাদের কাজে ফিরে যাবেন। আমরা তাদের সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখব ও তারপর আমরা পরবর্তী কর্মপন্থা ঘোষণা করব। আমাদের একদফা দাবি চাকরি জাতীয়করণ করা। 

এদিকে রাতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, যারা আন্দোলন করছে, তারা ব্যাটালিয়ন আনসার নয়, তারা সহযোগী। 

কমিটি গঠন : বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অধীন সাধারণ আনসার সদস্যদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে গঠিত কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়েছে। রোববার স্বরাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আনসার শাখা-২ এর উপসচিব কেএম আল আমীন স্বাক্ষরিত আদেশে এ কমিটি গঠন করা হয়। 

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অধীন সাধারণ আনসার (পুরুষ/মহিলা), অ্যাসিস্ট্যান্ট প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি) ও প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) কর্তৃক উত্থাপিত দাবি-দাওয়ার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে নির্দেশক্রমে কমিটি গঠন করা হলো। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদকে।

কমিটির সদস্যরা হলেন-আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপমহাপরিচালক (প্রশাসন) কর্নেল তসলিম এহসান, ২৭ আনসার ব্যাটালিয়ন বান্দরবান সুয়ালকের পরিচালক রাসেল আহমেদ, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সহকারী পরিচালক (রেকর্ড) মো. আবুল কালাম আজাদ, ১৩ আনসার ব্যাটালিয়ন রাঙামাটি বাঘাইছড়ি মারিশ্যার কোম্পানি কমান্ডার মো. হুমায়ুন কবির শরীফ, সাধারণ অঙ্গীভূত আনসার সদস্য কর্তৃক গঠিত আহ্বায়ক কমিটি থেকে চারজন এবং সদস্য সচিব আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পরিচালক (প্রশাসন) জাহানারা আক্তার।

হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করার আলটিমেটাম : ঢাবি প্রতিনিধি জানান, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করার আলটিমেটামসহ তিন দফা দাবি জানানো হয়েছে। রোববার রাতে রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোল এ দাবি জানান। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খরচ সরকারকে বহন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে ও সরকারের সব পর্যায়ে ক্লিন অভিযান পরিচালনা করে ফ্যাসিবাদের দোসরদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

এ সময় অন্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ৩৬ দিনের গণঅভ্যুত্থানে আমরা সচিবালয় ঘেরাওয়ের মতো কোনো কর্মসূচি দেইনি। কারণ এখান থেকে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। গণঅভ্যুত্থানের কয়েকদিন যেতে না যেতে অধিকার আদায়ের নামে যারা ভণ্ডামি করে সচিবালয় ব্লকেড করে তারা স্বৈরাচারের দালাল। আমাদের ভাইদের ওপর হামলাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ছি না।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম