মসজিদ থেকে ফেরার পথে গুলিতে নিহত আটোচালক
তিন সন্তান নিয়ে স্ত্রীর মানবেতর জীবন
যুগান্তর প্রতিবেদন, আমতলী (বরগুনা)
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
জুমার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে ফিরছিলেন অটোরিকশাচালক আমির হোসেন তালুকদার। সে সময় পুলিশের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ চলছিল। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে ১৯ জুলাই রাজধানী ঢাকার রামপুরায় গুলিতে নিহত হন আমির। তিনি মারা যাওয়ায় তিন সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্ত্রী আন্নি আক্তার। কর্মক্ষম স্বামীতে হারিয়ে মানববেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহায়তার দাবি করেছেন ওই নারী।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার আর কিছুই রইল না। স্বামী পুলিশের গুলিতে মারা না গিয়ে আমি মারা গেলে অনেক ভালো হতো। এখন আমার তিন সন্তানকে ভরণপোষণ কে দেবে?
জানা গেছে, ঘটনার দিন জুমার নামাজ পড়তে রামপুরা মোল্লা টাওয়ার সংলগ্ন মসজিদে যান আমির। নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে পুলিশ-আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান তিনি। তখন তিনটি গুলি এসে তার শরীরে লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। স্বজনরা তাকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই গ্রামের বাড়ি বড়গুনার তালতলীর মৌপাড়া গ্রামে বাবার কবরের পাশে দাফন করে।
নিহতের চাচা জাকির হোসেন তালুকদার বলেন, রামপুরায় ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকত আমির। তার আরমান (৬), আরিয়ান (৪) ও আমেনা (১) নামে তিনটি সন্তান রয়েছে। ঢাকায় আন্দোলন চলাকালে আমার ভাতিজা পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। শিশু সন্তানদের ভরণপোষণের কেউ রইল না।
মঙ্গলবার তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপা আমিরের বাড়ি পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম খান বলেন, নিহতের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনা জেনেছি। তার নিহতের ঘটনাস্থল ঢাকায়। ওই স্থানের পুলিশই ব্যবস্থা নেবে।