Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

ছয় সমন্বয়ককে শিগগিরই পরিবারের কাছে দেওয়া হবে: ডিবি প্রধান

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ছয় সমন্বয়ককে শিগগিরই পরিবারের কাছে দেওয়া হবে: ডিবি প্রধান

ছবি সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ছয় সমন্বয়ককে নিরাপত্তার স্বার্থে এনেছি। তারা আমাদের সঙ্গে আছে। এই সমন্বয়কারীদের ঘিরে অনেক গুজব চলছে। আমরাও তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তারা জানিয়েছিল নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নিরাপত্তাহীনতার কারণেই মূলত আমাদের কাছে আনা। তারা আমাদের কাছে ভালো আছে, সুস্থ আছে। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলছি, তাদের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলছি। আমরা মনে করি শিগগিরই তারা পরিবারের কাছে চলে যাবে। আমরা তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখছি।

সোমবার বিকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ের প্রধান ফটকে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রোববার তাদের পারিবার এসেছিল, কিন্তু দেখা করতে দেওয়া হয়নি এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতকাল রাতেও (রোববার) পরিবারের লোকজন এসেছে, দেখা করেছে। আজও (সোমবার) পরিবারের লোকজন দেখা করেছে এবং আমাদের কাছে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। তারা (ছয় সমন্বয়ক) যে ভালো আছে সেজন্য আমাদের ধন্যবাদ দিয়েছে।

ছয় সমন্বয়কের কাছ থেকে জোর করে বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টি গুজব দাবি করে হারুন অর রশীদ বলেন, যারা গুজব ছড়িয়েছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ গুজব ছড়াবেন না। ডিবি কার্যালয় মানুষের একটি আস্থার জায়গা। এখানে কাউকে হেনস্তা করা বা কারও প্রতি অন্যায় আচরণ ডিবি কখনোই করে না। জোর করে কোনো বিবৃতি নেওয়া হয় না। মানুষ যখন বিপদে পড়ে আমাদের কাছে আসে। কেউ যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, আমাদের কাছে আসে বা আমরা নিয়ে আসি, তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কাজটাই মূলত আমরা করে থাকি। মূলত তাদের (ছয় সমন্বয়ক) নিরাপত্তার স্বার্থেই আমরা দেখভাল করছি। সরকার তাদের দাবি পুরোটাই মেনে নিয়েছে। তারা ইতোমধ্যে একটি বিবৃতিও দিয়েছে। তারা ঘোষণা দিয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে তারা আর নেই। এই প্রেক্ষাপটে একটা গুজব ছড়িয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু এই কোটাবিরোধী আন্দোলন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা করেছিল। তাদের ভেতরে জামায়াত-বিএনপি চক্র ঢুকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য বিভিন্ন ধ্বংসাত্মকমূলক কাজ করেছে। তারা আমাদের পুলিশ সদস্যকে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। রাষ্ট্রীয় স্থাপনাগুলোতে আগুন লাগিয়েছে। আমরা মনে করি, যদি আবার চক্রান্তকারীরা ঘোলা পানিতে মাছ ধরার চেষ্টা করে, তাহলে এই সমন্বয়কদের নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হতে পারে। সেজন্য তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের দেখা দরকার।

শুক্রবার বিকালে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে সেখানে চিকিৎসাধীন নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের সঙ্গে আবু বাকেরকে তুলে নিয়ে আসেন সাদা পোশাকের একদল ব্যক্তি। পরে ডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, তিন সমন্বয়কের নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। শনিবার সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে নিজেদের কার্যালয়ে নিয়ে আসে ডিবি। রোববার সকালে আনা হয় নুসরাত তাবাসসুমকে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম