তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা সশস্ত্র হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ ও পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড নজিরবিহীন এবং তা জনসাধারণের মনে দগদগে ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। ফলে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই এসব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনের সর্বোচ্চ সুষ্ঠু প্রয়োগ করা হবে। কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না। শনিবার আওয়ামী লীগের এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালানোর গভীর চক্রান্ত নিয়ে মাঠে নেমেছিল। তাদের সন্ত্রাসীরা বিটিভি ভবন, সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন, বিআরটিএ ভবন, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও ফ্লাইওভারের টোল প্লাজা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভবন, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, থানা, পুলিশ বক্সসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ও লুটপাট করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সংযম নিয়ে এই হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসযজ্ঞ মোকাবিলা করা হয়েছে। সরকার কোনোভাবেই চায়নি কারও প্রাণহানি ঘটুক। বিপরীত দিকে বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল ও শিবিরের টার্গেটই ছিল লাশের রাজনীতি।
মন্ত্রী বলেন, হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের তদন্ত চলমান। সংঘটিত কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তদন্তের বাইরে থাকবে না। এখানে কোনো গণগ্রেফতার করা হচ্ছে না। নিরপরাধ কেউ কোনো প্রকার হয়রানির শিকার হবে না।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সন্ত্রাস, সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের দায় এড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রবঞ্চনামূলক অপকৌশল গ্রহণ করছেন। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণকে তিনি গণগ্রেফতার হিসাবে অভিহিত করে রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে বিএনপি-জামায়াত ও তার দোসররা কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির জাতীয় ঐক্যের আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ এবং দেশবিরোধী অপশক্তির ঐক্য। জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যের ডাক দিয়ে বিএনপি আবার প্রমাণ করল জামায়াত-বিএনপির সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিই বিএনপির দোসর। এই ঐক্যের ডাক এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থেকে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের আহ্বান জানাচ্ছি।