শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়নি: শিক্ষামন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারছি না। এই মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে চলমান এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে সরকার ভাবছে। এই পরীক্ষা শেষ করা সরকারের মূল অগ্রাধিকার। সে ক্ষেত্রে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের বিষয়টি পৃথকভাবে ভাবা হচ্ছে। বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলমান। সে ক্ষেত্রে কিভাবে পরীক্ষাগুলো নেওয়া যায় সে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। আর উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হবে। তড়িঘড়ি করে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে আবার অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক তা কারও কাম্য হতে পারে না।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা বলছেন শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান করতে চান। কিন্তু বাস্তবায়নের সময় শান্তিপূর্ণ অবস্থা রাখছেন না। সেখানে আমরা একটা অশুভ প্রক্রিয়া দেখতে পাচ্ছি। এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে। এছাড়া উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য এক ধরনের সিদ্ধান্ত হবে, আবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য এক ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আন্দোলনকারীদের আলটিমেটাম প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কেউ যেন আলটিমেটাম দিয়ে পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। ঢাকা জেলা ও ঢাকার বাইরে অন্যান্য জেলায় একেক ধরনের পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেহেতু দেশের সর্বত্র পাবলিক পরীক্ষা একসঙ্গে হয়, তাই সে বিষয় নিয়ে চিন্তা করছি। তবে এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়টি আমরা সর্বাগ্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিন্তা করছি। এছাড়া রাজধানীর বাইরের স্কুলগুলোর পাঠদানের বিষয় রয়েছে। সেখানে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ২ কোটির বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। আন্দোলনে মানুষের ওপর যেভাবে হামলা হয়েছে, সেখানে অভিভাবক ও শিশুদের নিরাপত্তার বিষয়ও রয়েছে।