Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

ধ্বংসযজ্ঞ দেখে স্তম্ভিত বিদেশি কূটনীতিকরা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ধ্বংসযজ্ঞ দেখে স্তম্ভিত বিদেশি কূটনীতিকরা

ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকার কিছু স্থাপনায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে তার মধ্য থেকে মেট্রোরেলসহ কয়েকটি স্থাপনা বিদেশি কূটনীতিকদের সরেজমিন দেখিয়েছে সরকার। এসব ধ্বংসযজ্ঞ দেখে তারা বলেছেন, আমরা আপনাদের পাশে আছি। বুধবার বিদেশি কূটনীতিকদের কিছু স্থাপনা দেখানোর পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ বিদেশি কূটনীতিকদের অনেকে বলেছেন, দিস ইজ সেইম। অনেকে আমার কাছে অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। তবে এটা আপনাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তারা স্বচক্ষে দেখার পর স্তম্ভিত হয়ে গেছেন। আমি নিজেও স্তম্ভিত হয়ে গেছি। প্রতিটি জায়গায় এ রকম ধ্বংসযজ্ঞ, এটা কল্পনার বাইরে ছিল। ড. হাছান মাহমুদ জানান, মোট ৪৯টি মিশনের প্রতিনিধি ছিলেন। ২৩ জন রাষ্ট্রদূত ছিলেন। আজ পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আমাদের সঙ্গে ছিলেন। কূটনীতিকদের মেট্রোরেলের ধ্বংসযজ্ঞ, সড়ক ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিটিভি দেখিয়েছি। আমাদের পরিকল্পনা ছিল আরও কিছু দেখানোর। তাদের আমরা সব জায়গায় নিতে পারিনি। আধাদিনের নোটিশে এ কঠিন সময়ে এত রাষ্ট্রদূত যাওয়া সহজ কাজ ছিল না।

১৮ জুলাই ঢাকার কূটনৈতিক মিশন থেকে পাঠানো ব্রিফনোটের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, আমরা মন্ত্রণালয় থেকে সবার কাছে নোট পাঠিয়েছি। কোনো বিদেশি দূতাবাস বা কূটনীতিক যেন গণমাধ্যমে কোনো বিবৃতি না পাঠান। তারা সেটি মেনেছেন। অতীতে এ ধরনের কিছু ঘটলে কূটনীতিকদের প্রভোক করা হতো। এবার করা হয়নি। হয়তো কিছু দেশ তাদের মতো বিবৃতি দিয়েছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে কত লোক মারা গেছে তার তথ্য কূটনীতিকরা জানতে চেয়েছেন কিনা-এ প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, সেটি সবাই জানতে চান। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে জাতিসংঘের ভেইকেল ব্যবহার নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতিসংঘের কোনো ভেইকেল ব্যবহার করা হচ্ছে না। ওটা জাতিসংঘ শান্তি মিশনে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। লোগোটা মোছা হয়নি। এখন লোগোটা মুছে দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটেছে সেখানে ল’ অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট ও ইনটেলিজেন্সির কোনো ব্যর্থতা ছিল কিনা এবং সেটি তদন্ত করার প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, এখানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমাদের ল’ অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিগুলো কাজ করছে। কাজ করে তারা শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমাদের ল’ অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট যথেষ্ট চেষ্টা করছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম