Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

বেনজীরের অবৈধ সম্পদ

গুলশানের সেই ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট ক্রোক

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

গুলশানের সেই ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট ক্রোক

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জিশান মীর্জা ও তার ছোট মেয়ের নামে থাকা গুলশানের র‌্যাংকন আইকন টাওয়ারের ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটটি ক্রোক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে রোববার তার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বাংলোবাড়ি ক্রোক করা হয়।

সোমবার দুদকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদের নেতৃত্বে একটি দল ১২৬নং সড়কের র‌্যাংকন আইকন টাওয়ারে যায়। সেখানকার চারটি ফ্ল্যাটের সব জিনিসপত্র তালিকা তৈরি করে ফ্ল্যাটগুলো ক্রোক করেন। দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুদক সচিব বলেন, বেনজীর আহমেদের গুলশানের চারটি ফ্ল্যাটের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাদের একজন পরিচালককে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে দুদকের একজন পরিচালকসহ একটি টিম বাড়িটির সবকিছু ইনভেনটরি (তালিকা) করে ডুপ্লেক্সটি তাদের দায়িত্বে বুঝে নেয়।

দুদকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক ও গুলশানে বেনজীরের ফ্ল্যাটের রিসিভার মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ‘আদালত আমাদের রিসিভার নিয়োগ দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী ফ্ল্যাটের সব মালামাল বুঝে নিয়েছি। ফ্ল্যাটে যা যা পাওয়া গেছে সব জিনিসপত্রের ইনভেনটরি করেছি, সেই তালিকা কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। ক্রোক করা এসব সম্পত্তির সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের নিয়োগ করা হয়েছে। যদি ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া দেওয়া যায় তাহলে অর্জিত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।’

৩০ জুন বেনজীর আহমেদের স্ত্রী-কন্যাদের নামে থাকা গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাটের তালা খুলতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের আবেদন করে দুদক। সংস্থাটির আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। এর আগে ৬ জুন ফ্ল্যাট চারটি ক্রোক করার আদেশ দেন মহানগর বিশেষ জজ আদালত।

তবে দুদকের দুই দফা তলবে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যরা সাড়া দেননি। তৃতীবার তলবের আইনি সুযোগ না থাকায় ২ জুলাই বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মীর্জা, বড় কন্যা ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর ও মেজো কন্যা তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য চেয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয় সংস্থাটি।

দুদকের তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য দুই দফা সুযোগ থাকে অভিযুক্তদের কাছে। প্রথম দফায় ২১ কর্মদিবস। এই সময়ে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে আরও ১৫ দিন সময় দেওয়ার বিধান রয়েছ। তবে দ্বিতীয় দফা সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে অভিযুক্তদের ‘নন সাবমিশন’ ও জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা দায়ের করতে পারবে।

বেনজীর আহমেদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রকাশ্যে এলে ১৮ এপ্রিল দুদক তার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। একইসঙ্গে তার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করে। যার নেতৃত্ব দেওয়া হয় দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাকে।

ইতোমধ্যে জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধানের অংশ হিসাবে বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী জিশান মীর্জা ও তিন মেয়ের নামে থাকা গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট, বান্দরবান ও সেন্টমার্টিনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১১৩টি দলিলে তাদের নামে থাকা ৭০২ বিঘা জমি, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ২৫টি কোম্পানির বিনিয়োগ ক্রোক ও জব্দ করেছে দুদক।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম