Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

জেনারেল আজিজের দুর্নীতির অভিযোগ যাচাই করছে দুদক

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

জেনারেল আজিজের দুর্নীতির অভিযোগ যাচাই করছে দুদক

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে পাওয়া দুর্নীতির অভিযোগ যাচাই-বাছাই করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের আইন ও বিধি অনুযায়ী এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে কিনা তা যাচাই-বাছাই করতে কমিশনের যাচাই-বাছাই কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুদকের শিডিউলভুক্ত অপরাধ হলে তা অনুসন্ধান করা হবে।

জানা গেছে, জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকেই তার অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা নতুন করে আলোচনায় আসে। গত বুধবার তার দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান। দুদকের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে তিনি আবেদনটি জমা দেন।

সংস্থার চেয়ারম্যান বরাবর করা আবেদনে বলা হয়েছে, গত ২০ মে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর তাদের ওয়েবসাইটে তথ্য প্রকাশ করে। সেখানে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের নামে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ পায়। বলা হয়, আজিজ আহমেদ বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য তার ভাইদের জবাবদিহি এড়াতে সাহায্য করার সময় সরকারি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। সামরিক চুক্তির অনুপযোগী চুক্তি সম্পাদনের জন্য আজিজ তার ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন এবং ঘুস গ্রহণ করেছেন।

আবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগে আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। এতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষের সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ন হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, এতবড় অভিযোগ প্রকাশিত হওয়ার পরও দুদক অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি, যা দুদকের নিষ্ক্রিয়তা।

বুধবার দুদকে আবেদন জমা দেওয়ার পর আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে দুদক ব্যবস্থা না নিলে তিনি জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করবেন।

জানা গেছে, ২১ মে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত তিন বছর বাংলাদেশের চিফ অব আর্মি স্টাফ ছিলেন জেনারেল আজিজ আহমেদ। তার আগে ২০১২ সাল থেকে চার বছর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির নেতৃত্ব দেন তিনি।

তার ভাই ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ হারিস ও জোসেফের নাম বদলে পাসপোর্ট করার বিষয়ে আজিজ আহমেদের সহযোগিতা ছিল বলেও অভিযোগ আছে। এছাড়া তার কারণেই জোসেফের সাজা মওকুফ করা হয়েছে-এমন আলোচনাও আছে। আজিজ আহমেদ ২০২১ সালের ২৩ জুন অবসরে যান। অবসরে যাওয়ার প্রায় তিন বছর পর দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র। এতে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন না।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম