আজিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে অবগত যুক্তরাষ্ট্র: ম্যাথিউ মিলার
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি নিয়ে আলোচনার মধ্যে এবার যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়েও উঠে এলো এসব বিষয়। যেখানে সাবেক সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র অবগত বলে জানিয়েছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। মঙ্গলবারের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি। এছাড়া ওই ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার পরও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যদের বাংলাদেশে থেকে নিয়োগ অব্যাহত রাখা প্রসঙ্গে প্রশ্নেরও জবাব দেন মিলার।
ব্রিফিংয়ের শুরুতে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত র্যাব সদস্যদের শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগ দেওয়া অব্যাহত রাখা প্রসঙ্গে ডয়েচে ভেলে, সাডেচ সায়েতিং এবং নেত্র নিউজের প্রতিবেদন প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন কিনা জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে মিলার বলেন, এ প্রতিবেদনগুলো সম্পর্কে আমরা অবগত। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে শান্তিরক্ষা মিশন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। জাতিসংঘের যে যথাযথ নীতিমালা রয়েছে, সেটা মেনে শান্তিরক্ষা মিশনে যারা নিয়োগ পাবে, তারা যেন মানবাধিকার সুরক্ষার পক্ষে থাকে তা নিশ্চিত করাটা জরুরি।
অপর এক প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো এজেন্সি কী যুক্তরাষ্ট্র কিংবা অন্য দেশে পুলিশপ্রধানের কোনো সম্পদের খোঁজ পেয়েছে কিনা? পেলে যুক্তরাষ্ট্র কী সেগুলো জব্দ করেছে? একইভাবে সাবেক সেনাপ্রধানের বিদেশে সম্পদের কোনো তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রয়েছে কিনা? এসব জানতে চাওয়া হয়। জবাবে প্রথম প্রশ্ন প্রসঙ্গে মিলার বলেন আমার কাছে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে বলার মতো কিছু নেই। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর বলেন, যেসব অভিযোগ এবং মিডিয়া প্রতিবেদনের তথ্য (সাবেক সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে) এখানে তুলে ধরা হয়েছে আমরা সে বিষয়ে অবগত।
এছাড়া মার্কিন এ কর্মকর্তার কাছে প্রশ্ন ছিল, আপনারা বর্তমান সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেবেন কিনা? কারণ ক্ষমতাসীন শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকেই এ দুই কর্মকর্তা অবাধে যা কিছু করতে মন চায় তা করার স্বাধীনতা পেয়েছেন। এক্ষেত্রে মার্কিন মুখপাত্র বলেন, একটা বিষয়ে আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। আমরা বিশ্বাস করি যে দুর্নীতির কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হয়, উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়, স্থিতিশীলতা ব্যাহত হয় এবং গণতন্ত্র খর্ব হয়। আমরা দুর্নীতি দমনকে জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছি। বিশদ এই নীতির পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে শীর্ষ পর্যায়ের কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে এখন ঘোষণা করার মতো কিছু নেই। কারণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে আমরা আগাম ঘোষণা করি না।