বাঘমারায় কৃষককে কোপাল পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা
লোহাগড়ায় বাড়িঘর ভাঙচুর আহত ২
লোহাগড়া (নড়াইল) ও বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
নড়াইলের লোহাগড়ায় উপজেলা নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় দুপক্ষের সংঘর্ষে ২১টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুপক্ষের দুজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। শনিবার রাতে উপজেলার লাহুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া রাজশাহীর বাগমারায় শুক্রবার রাতে উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা এক কৃষককে কুপিয়ে জখম করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
লোহাগড়ার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন লাহুড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. সেলিম উদ্দীন। আহতরা হলো-নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রোম গ্রুপের লাহুড়িয়ার তালুকপাড়ার গিয়াস উদ্দীন মোল্যা ও সাবেক চেয়ারম্যান রুনু গ্রুপের ডহরপাড়ার তরিকুল মোল্যা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একেএম ফয়জুল হক রোম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এসএমএ হান্নান (রুনু) পরাজিত হন। দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শনিবার রাতে গিয়াস মোল্যার ওপর হামলা চালায় রুনু সমর্থিত লোকজন। পরে দাউদ গ্রুপের (রোম সমর্থিত) লোকজন লাহুড়িয়ার ডহরপাড়া এলাকায় হামলা চালিয়ে রুনু সমর্থিত লোকজনের বাড়িঘর ভাঙচুর ও গবাদিপশু লুটপাট চালায়। আবার রুনু গ্রুপ দাউদ গ্রুপের একটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।
লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ) পরিদর্শক সেলিম উদ্দিন বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে বাগমারায় আহত কৃষক গোলাম মোস্তফাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ওই কৃষকের বাড়ি রামপুরপাঁথার গ্রামে। তিনি উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্টুকে সমর্থন করেন। এ কারণে সিবুর মোড়ে ইস্পিন্ডিয়ারের নেতৃত্বে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসিমা আক্তারের ৪-৫ জন সমর্থক ওই কৃষককে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে ও ছুরি দিয়ে মাথা, বুকে এবং পেটে জখম করে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আহত মৎস্যজীবী লীগ নেতার মৃত্যু, বিক্ষোভ : কুমারখালী প্রতিনিধি জানান, উপজেলা নির্বাচনের দিন মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকদের হামলায় আহত আনারস প্রতীকের পোলিং এজেন্ট ও ওয়ার্ড মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রোববার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তরিকুল হত্যার বিচার দাবিতে রোববার চাপরা ইউনিয়নে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে আগেই থানায় মামলা করেছেন নিহতের বড় ভাই।