বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এসি উৎপাদন করছে ওয়ালটন
মো. তানভীর রহমান, চিফ বিজনেস অফিসার, ওয়ালটন এসি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যুগান্তর : দেশের অর্থনীতি এখন বেশ চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ইলেকট্রনিক্স পণ্য খাত কেমন করছে?
মো. তানভীর রহমান : ডলারের উচ্চমূল্য, জ্বালানি তেলসহ বেসিক কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধির কারণে দেশের অন্যান্য শিল্প খাতের মতো দ্রুত অগ্রসরমান ইলেকট্রনিক্স শিল্পের প্রবৃদ্ধিও বাধাগ্রস্ত হয়। যার ফলে গত বছর দেশীয় ইলেকট্রনিক্স খাতের সামগ্রিক ব্যবসা প্রায় ৩০ শতাংশ হ্রাস পায়। তবে এ বছর ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশীয় ইলেকট্রনিক্স শিল্প। সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে ২০২৪ সালে ব্যবসায়ের স্বাভাবিক ধারায় প্রায় ফিরে এসেছি আমরা।
যুগান্তর : গত এক বছরে এসির ব্যবহার কেমন বেড়েছে? ব্যবহার বৃদ্ধির পেছনে কী কী বিষয় কাজ করছে?
মো. তানভীর রহমান : গত বছরের তুলনায় এ বছর দেশের বাজারে এসির চাহিদা বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি। দেশে বিগত কয়েক বছর ধরে গরমের তীব্রতা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তীব্র গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই ছুটছেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ‘এসি’ কিনতে। ফলে প্রতিবছরই দেশব্যাপী এসির চাহিদা ২০ থেকে ২৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। তবে এ বছর গরমের তীব্রতা ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় এসির চাহিদাও ব্যাপক বেড়েছে। ফলে দিন দিনই বড় হচ্ছে এসির অভ্যন্তরীণ বাজার।
যুগান্তর : আপনার কোম্পানির এসির কী কী বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা রয়েছে?
মো. তানভীর রহমান : ওয়ালটন এসির বিশেষত্ব হচ্ছে-ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তিসহ বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের ব্যবহার। এছাড়া এটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী, দামে সাশ্রয়ী, মডেলের ভিন্নতা এবং দেশব্যাপী বিস্তৃত সর্বোচ্চসংখ্যক সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়ার নিশ্চয়তা। বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটনই ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব এসি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। পরিবেশ সুরক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও ইউএনডিপির সমন্বয়ে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং চলমান রয়েছে। এরই অংশ হিসাবে ওয়ালটন এসিতে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্ব স্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর-৩২ গ্যাস। যা পরিবেশ সুরক্ষায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভূমিকা রেখে চলেছে। ইতোমধ্যে ওয়ালটনের এসিতে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক সিএফসি এবং এইচসিএফসি গ্যাসের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে ওয়ালটন। ফলে পরিবেশবান্ধব শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র উৎপাদনে ভারত ও চীনের থেকে অনেক এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ওয়ালটনের উৎপাদিত ৯০ ভাগ এসিই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে ওয়ালটন যেমন পরিবেশ সুরক্ষায় অবদান রাখছে, তেমনি দেশের উৎপাদিত বিদ্যুতের সুষম ব্যবহারও নিশ্চিত করছে।
যুগান্তর : কিস্তিতে আপনার কোম্পানির এসি ক্রয়ের কোনো সুবিধা আছে কি?
মো. তানভীর রহমান: হ্যাঁ, দেশব্যাপী বিস্তৃত ওয়ালটন প্লাজা থেকে গ্রাহকরা কিস্তিতে এসি ক্রয়ের সুবিধা পাচ্ছেন। দেশের যে কোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে ৩০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে জিরো ইন্টারেস্টে ৬ মাসের কিস্তি সুবিধার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের কিস্তিতে এসি কিনতে পারছেন ক্রেতারা। ওয়ালটন প্লাজার পাশাপাশি অনলাইন সেলস প্লাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকেও বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড দিয়ে সহজ ইএমআই সুবিধায় এসি কেনার সুবিধা রয়েছে।