আকাশপথে ঈদ যাত্রায় ৭০ শতাংশ টিকিট শেষ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ঈদে আকাশপথে বাড়ি ফেরার ৭০ শতাংশ টিকিট বিক্রি শেষ। বিমান, ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ারের কাউন্টারে ঈদের আগের ৩ দিনের অগ্রিম টিকিট নেই বললে চলে। কিছু টিকিট পাওয়া গেলেও সেগুলোর দাম অনেক বেশি। তবে এই মুহূর্তে ঘরে ফেরার জন্য আকাশপথের টিকিটের খুব বেশি চাপ নেই।
এই অবস্থা আন্তর্জাতিক গন্তব্যেও। তবে মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতের বিভিন্ন রুটে ঈদের অগ্রিম টিকিটের চাহিদা এখন বেশি। এখন রুটগুলোয় টিকিট পাওয়া গেলেও ঈদের ৭ দিন আগের টিকিট চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো এয়ারলাইন্সে এই সময়েও টিকিটের চাপ অনেক বেশি।
বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে রাষ্ট্রীয় ক্যারিয়ার বিমানসহ মোট ৪টি এয়ারলাইন্স যাত্রী পরিবহণ করছে। বাকি ৩টি হলো ইউএস-বাংলা, নভোএয়ার ও এয়ার অ্যাস্ট্রা। এই ৪টি এয়ারলাইন্স প্রতিদিন গড়ে ৭টি অভ্যন্তরীণ রুটে ৭৫ থেকে ৮৫টি ফ্লাইট অপারেট করছে। সবচেয়ে বেশি ফ্লাইট করছে ইউএস-বাংলা ৩৫টি। এরপর নভোএয়ার ২৫টি, বিমান ২০ থেকে ২৫টি। অভ্যন্তরীণ রুটে বেশির ভাগ এয়ারলাইন্স ৭২ থেকে ৭৮ আসনবিশিষ্ট ছোট এয়ারক্রাফট দিয়ে যাত্রী পরিবহণ করছে। তবে বিমান ও ইউএস-বাংলা কিছু কিছু ফ্লাইট অপারেট করছে ১২৫-এর বেশি আসনবিশিষ্ট বোয়িং-৭৩৭ মডেলের এয়ারক্রাফট দিয়ে। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন ৩টি এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে সাড়ে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার পর্যন্ত যাত্রী পরিবহণ করছে। ঈদের আগে কিছু কিছু রুটে অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করলে আরও ১ হাজার যাত্রী বাড়ার কথা রয়েছে। এই হিসাবে ঈদের ৭ দিন আগ থেকে আকাশপথে মোট ৮০ হাজার যাত্রী ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে। আবার সমপরিমাণ যাত্রী ঢাকায় ফিরবে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, তার জানামতে অনেক রুটে ঈদের ৩ দিন আগের অগ্রিম টিকিট শেষের দিকে। এখনো মোটামুটি কম দামে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। তবে ঈদের ৭ দিন আগের টিকিটের চাহিদা বেশি। তার মতে, প্রতিবছর ঈদে বাসে ভয়াবহ যানজট তৈরি হয়। ট্রেনের টিকিট পাওয়া যায় না। লঞ্চের চিত্রও একই। যার কারণে মানুষ শান্তিতে আকাশপথে বাড়ি যেতে চায়। এতে টিকিটের চাপ তৈরি হয়। ফলে দাম বেড়ে যায়।
বিমানের একটি সূত্রে জানা গেছে, এই ঈদে যাত্রীদের কথা চিন্তা করে ৩৪টিরও বেশি ফ্লাইট অতিরিক্ত দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া কোনো কোনো রুটে ঈদ উপলক্ষ্যে ডিসকাউন্ট বা ছাড় দেওয়ার কথাও চিন্তা করা হচ্ছে। একইভাবে ইউএস-বাংলাও ঈদের ৪-৫ দিন আগ থেকে অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে ফ্লাইট বাড়ানোর চিন্তাভবানা করছে।
ঈদের ছুটিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে টিকিটের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কামরুল ইসলাম বলেন, দুই বছর ধরে জেট ফুয়েলের দাম ক্রমেই বাড়ছে। এতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে টিকিটের দাম বেড়েছে। ঈদের পাঁচ-সাত দিন আগে দাম আরও বাড়তে পারে।
এয়ার অ্যাস্ট্রার উপব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) সাকিব হাসান শুভ বলেন, আরও সপ্তাহখানেক আগ থেকে কক্সবাজার, সৈয়দপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটের অগ্রিম টিকিট বুকিং শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশ টিকিট বিক্রি শেষ। এসব টিকিট ঈদের তিন দিন আগে যাওয়া এবং ঈদের পরদিন ঢাকায় ফেরার জন্য বুকিং দেওয়া। তবে কক্সবাজারের অধিকাংশ বুকিং ঈদের পর।