আদালতে স্বীকারোক্তি
হাত-পা-মুখ বেঁধে খতনা শিশুর মৃত্যু
বাগেরহাট ও চিতলমারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বাগেরহাটের চিতলমারীতে সাড়ে তিন বছরের শিশু শিহাব শেখকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে প্রতিবেশী কিশোর হামিম শেখ (১৭)।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হামিম দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
বুধবার রাতে হামিম শেখের ঘর সংলগ্ন শৌচাগারের পাশ থেকে শিহাবের লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় শিহাবের মা সুমি বেগম বাদী হয়ে কিশোর হামিমকে আসামি করে চিতলমারী থানায় মামলা করেন। ওই রাতেই পুলিশ হামিমকে গ্রেফতার করে।
শিশু শিহাব চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামের ফরহাদ শেখের ছেলে। আর আসামি কিশোর হামিম একই এলাকার রমজান শেখের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চিতলমারী থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, হত্যার দায় স্বীকার করে হামিম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে হামিমের মধ্যে সুন্নতে খৎনা দেওয়ার কৌতূহল ছিল। এজন্য সে শিহাবকে বাছাই করে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শিহাবকে ডেকে ঘরের মধ্যে নিয়ে যায় হামিম।
এরপর শিহাবের হাত-পা ও মুখ বেঁধে একটি কাঁচি দিয়ে সুন্নতে খৎনা দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায় শিহাবের পুরুষাঙ্গ কেটে যায় এবং সে অচেতন হয়ে পড়ে। এরপর শিহাবকে শৌচাগারের পাশে রেখে দেয় হামিম। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, বৃহস্পতিবার বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে শিশু শিহাবের লাশ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আদালত হামিকে কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।