Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

প্রার্থীদের সম্পদ বৃদ্ধির রেকর্ড

১০ মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ১৩৩-১০৬৩%

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

১০ মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ১৩৩-১০৬৩%

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র হিসাবে যেসব প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন তাদের মধ্যে ১৮ জনের ১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পদ (অস্থাবর সম্পদ মূল্যের ভিত্তিতে) রয়েছে।

কোটিপতি প্রার্থী রয়েছেন ৫৭১ জন। মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর সম্পদ গত পাঁচ বছরের ব্যবধানে এক হাজারের বেশি থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবসায়ী। রাজনীতিবিদ প্রার্থীর সংখ্যা একেবারেই কম। কোটিপতি প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগে রয়েছে ২৩৫ জন ও স্বতন্ত্র ১৬৩ জন।

মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এসব তথ্য প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘নির্বাচনি হলফনামার তথ্যচিত্র : জনগণকে কী বার্তা দিচ্ছে?’-শীর্ষক প্রতিবেদনে এই বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে। প্রার্থীদের হলফনামা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নিয়ে সেগুলো বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। 

পাশাপাশি জনগণের জানার জন্য টিআইবি ‘হলফনামায় প্রার্থী পরিচিতি’ শীর্ষক একটি ড্যাশবোর্ড তৈরি করেছে। এই ড্যাশবোর্ডে নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় ছয় হাজার হলফনামার আটটি তথ্যের বহুমাত্রিক-তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়। টিআইবির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে এই ড্যাশবোর্ড থেকে ঘরে বসেই ভোটাররা নিজ এলাকার প্রার্থীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। এর ফলে প্রার্থীদের ঘোষিত তথ্য সম্পর্কে একটি ধারণাও পাবেন।

টিআইবির তৈরি করা নির্বাচনি হলফনামার তথ্যচিত্র বিশ্লেষণী প্রতিবেদনটি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করেন গবেষণা দলের প্রধান মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। সেখানে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল, নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলমসহ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তাদের কাছে প্রাপ্ত নির্ভরযোগ্য তথ্য অনুযায়ী, সরকারের মন্ত্রিসভার অন্তত একজন সদস্যের নিজ নামে বিদেশে একাধিক কোম্পানি থাকার প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু হলফনামায় তা দেখা যায়নি। এই মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর মালিকানাধীন ছয়টি কোম্পানি এখনো বিদেশে সক্রিয়ভাবে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা পরিচালনা করছে, যার মূল্য ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। এই মন্ত্রী তার হলফনামায় বিদেশে থাকা সম্পদের ব্যাপারে তথ্য দেননি।

উল্লিখিত মন্ত্রীর নাম জানতে চাইলে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যেহেতু তথ্য গোপনের ব্যাপার রয়েছে এবং তিনি (মন্ত্রী) নিজে তা প্রকাশ করেননি, তাই টিআইবি তার নাম প্রকাশ করছে না। তবে সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষ যদি টিআইবির কাছে জানতে চায়, তাহলে তারা তথ্যপ্রমাণসহ তা দেবেন।

টিআইবি ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করেছে। এর মধ্যে সম্পদের যে ঘোষণা দিয়েছে তার আলোকেই বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রার্থীরা হলফনামায় সম্পদ অর্জনের সময়ের মূল্য উল্লেখ করেছেন। সে আলোকে সম্পদের মূল্য অনেক কম। বাজার মূল্য ধরা হলে এ সম্পদের মূল্য আরও অনেক বেশি হতো। টিআইবি প্রার্থীদের ঘোষিত সম্পদ মূল্যের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।

তথ্যচিত্র অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যে ১৮ প্রার্থীর ১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পদ (অস্থাবর সম্পদ মূল্যের ভিত্তিতে) রয়েছে, তাদের মধ্যে ১০ জন আওয়ামী লীগ মনোনীত, ৮ জন স্বতন্ত্র। এই ১৮ জনের মধ্যে সবার ওপরে আছেন গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি বর্তমান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী। 

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, তার সম্পদের (অস্থাবর সম্পদ মূল্যের ভিত্তিতে) মূল্য ১ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকার বেশি। এই তালিকায় আরও আছেন, এস এ কে একরামুজ্জামান, তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী। আওয়ামী লীগের ঢাকা-১ আসনের প্রার্থী সালমান ফজলুর রহমান। কুমিল্লা-৮ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন। 

ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন, তিনি আওয়ামী লীগের কুমিল্লা-৩ আসনের প্রার্থী। দিলীপ কুমার আগরওয়াল, তিনি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী। আব্দুল মমিন মন্ডল, তিনি আওয়ামী লীগের সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থী। 
গাজী গোলাম মূর্তজা, তিনি নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী। মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, তিনি নরসিংদী-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী। মোহাম্মদ সাঈদ খোকন তিনি ঢাকা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। উল্লেখ্য, এবার দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন। তথ্যচিত্রে বলা হয়, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগে কোটিপতি প্রার্থী ছিলেন ২৭ শতাংশের কিছু বেশি। ১৫ বছরের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২ শতাংশ।

কোটিপতি প্রার্থী ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় ছিল ২৭৪ জন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় ছিল ২০২, ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় ছিল ৫২২ জন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭১ জনে। বছরে এক কোটি টাকা আয় করেন এমন প্রার্থী ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় ছিল ৪৩ জন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় ৬২ জন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় ১৪৩ জন ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের সময় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৪ জনে।

এবারের নির্বাচনে কোটিপতি প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগে রয়েছে ২৩৫ জন, স্বতন্ত্র ১৬৩ জন, জাতীয় পার্টির ৪৭ জন, জাতীয় পার্টি (জেপি) ১৭ জন, জাসদ ৭ জন, তৃণমূল বিএনপি ৬ জন, ওয়ার্কার্স পার্টির ৫ জন। 

চলতি নির্বাচনে সম্পদের বিভাজনের দিক থেকে ১ কোটির বেশি থেকে ১০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে ২১ দশমিক ২২ শতাংশ প্রার্থীর। ১০ কোটির বেশি থেকে ৫০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ প্রার্থীর, ৫০ কোটির বেশি থেকে ১০০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে ১ দশমিক ০৭ শতাংশ প্রার্থীর, ১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে ১ দশমিক ০৭ শতাংশ প্রার্থীর। মোট প্রার্থীদের মধ্যে বছরে ১ কোটি টাকার কম আয় ৭২ দশমিক ০৯ শতাংশ প্রার্থীর। 

তথ্যচিত্র অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনেও নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ খুব কম। এই হার মাত্র ৫ দশমিক ১০ শতাংশ। অন্যদিকে পুরুষ প্রার্থী ৯৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। এবারের প্রার্থীদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। এর মধ্যে স্নাতক ২৯ দশমিক ৪১ শতাংশ, স্নাতকোত্তর ২৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ। স্বশিক্ষিত ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ। উচ্চ মাধ্যমিক ১১ শতাংশ ও মাধ্যমিক ৯ শতাংশের কিছু বেশি।

এবারের প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে ব্যবসায়ী। অর্থাৎ ৫৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ ব্যবসায়ী (মূল পেশা বিবেচনায়)। অন্যদিকে রাজনীতিকে পেশা হিসাবে দেখিয়েছেন মাত্র ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রার্থী। আইনজীবী রয়েছেন ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। শিক্ষক ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। চিকিৎসক ২ দশমিক ১৯ শতাংশ।

ভূমি সংস্কার আইন অনুযায়ী, একজন ব্যক্তির ভূমির মালিকানার সর্বোচ্চ সীমা কৃষি-অকৃষি মিলিয়ে ১০০ বিঘা পর্যন্ত। প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হলফনামায় অনেক প্রার্থীর নামেই বড় আকারের ভূমির মালিকানা রয়েছে।

প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ বছরে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের সম্পদ বেড়েছে বহুগুণ। ১০ জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, একজন মন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে এক হাজার শতাংশের বেশি। চারজন মন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ২০০ শতাংশের বেশি, বাকিদের বেড়েছে ১০০ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর ২৮৭ শতাংশ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর ২৪২ শতাংশ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ২৪০ শতাংশ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের ১৯৭ শতাংশ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের ১৯৬ শতাংশ, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের ১৭২ শতাংশ, প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদের ১৪০ শতাংশ। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ বছরের ব্যবধানে আয় বৃদ্ধিতে শীর্ষে রয়েছে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি। তার আয় বেড়েছে ২ হাজার শতাংশের বেশি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের আয় বেড়েছে ২৭৬ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের আয় বেড়েছে ২২৮ শতাংশ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের আয় বেড়েছে ২২৭ শতাংশ, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির আয় বেড়েছে ২০৪ শতাংশ, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ১৬৪ শতাংশ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ১৪৯ শতাংশ, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ১২২ শতাংশ আয় বেড়েছে।  

দায় ও ঋণগ্রস্ত প্রার্থীর সংখ্যা এবার কমেছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ঋণগ্রস্ত প্রার্থী ছিল ৩৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় এমন প্রার্থী বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় তা কমে দাঁড়ায় ২৯ দশমিক ০২ শতাংশ। এবারের নির্বাচনে তা আরও কমে দাঁড়ায় ২৬ দশমিক ৮২ শতাংশ। 

প্রার্থীদের ব্যাংক ঋণ ১১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। ব্যক্তিগত ও অন্যান্য ঋণ ৪ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি ঋণ গ্রহীতা প্রার্থী হচ্ছেন এস এ কে একরামুজ্জামান। তার ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা। দ্বিতীয় মোহাম্মদ মনজুর আলম ২ হাজার ৭ কোটি টাকা। ঋণ গ্রহীতা প্রার্থীদের ৪৯ দশমিক ৩০ শতাংশই আওয়ামী লীগের। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদের এমপিদের ৩৭ জনের আয় কমেছে ১ থেকে ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত। ১০৭ জনের আয় অপরিবর্তিত রয়েছে। বাকি ৬০ জনের আয় ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এমপির স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের মধ্যে ২৪ জনের আয় বেড়েছে ৫০ শতাংশ এবং ৪৮ জনের আয় অপরিবর্তিত রয়েছে। ৫০ শতাংশের বেশি অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ৬৭ জনের। 

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, হলফনামার তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয় না। নির্বাচন কমিশন, রাজস্ব বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশন কাজটি করতে পারে। কিন্তু কেউই তা করে না। এখানে দায়সারাভাবে তথ্য দেওয়ার জন্যই দেওয়া হয়।

ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, হলফনামার তথ্য রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যও উদ্বেগজনক। প্রার্থীদের হলফনামা দেখে ভোটার যদি মনে করেন, তিনি এই প্রার্থীকে ভোট দেবেন না, কিন্তু এই যে ভোট দেবেন না, সেই বিকল্প প্রার্থী তার সামনে নেই। জনগণের যে বিচারের ক্ষমতা ছিল, সেই বিচারের ক্ষমতা জনগণের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল বলেন, সমাজে দুটি শ্রেণি তৈরি হচ্ছে। এক শ্রেণি অতি সম্পদশালী, আরেক শ্রেণি দিন আনে দিন খায়। অল্প কিছু লোকের আগ্রাসী সংস্কৃতির মধ্যে চলে গেছে দেশ। এটা বিপজ্জনক।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম