Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

হলফনামা বিশ্লেষণ

পাহাড়সম সম্পদ সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুবের

Icon

জলিল রহমান

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পাহাড়সম সম্পদ সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুবের

মাহবুব রহমান তালুকদার

আওয়ামী লীগ সরকারের নানামুখী উন্নয়নে পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী, কুয়াকাটা ও মহিপুর) আসনের পুরো এলাকার চিত্র পালটে গেছে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপরই বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষা এ এলাকাকে ঘিরে উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা হাতে নেয় সরকার। তখন এ আসনের সংসদ-সদস্য ছিলেন মাহবুব রহমান তালুকদার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুব তালুকদার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নবম ও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মাহবুব তালুকদারের দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১৫ বছরের ব্যবধানে তার বার্ষিক আয় বেড়েছে প্রায় ২৯ গুণ। অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ৭ গুণেরও বেশি। তার স্ত্রীর কোনো বার্ষিক আয় না থাকলেও ১৫ বছরে অস্থাবর ১৮ গুণ এবং স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ চারগুণেরও বেশি বেড়েছে।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী মাহবুব তালুকদারের অস্থাবর সম্পদ ছিল ব্যাংকে জমা ৮৩ হাজার ১১২ টাকা, ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাড়ি, ২০ তোলা স্বর্ণালংকার এবং ইলেকট্রনিক মালামাল ও আসবাবপত্র। ৩ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩৬ লাখ ৩৩ হাজার ১১২ টাকা। তার স্ত্রী ছিল ৫ লাখ টাকা। কিন্তু ১৫ বছরের ব্যবধানে তার অস্থাবর সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৫৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭৯ টাকা। এর মধ্যে ব্যাংকে জমা ১ কোটি ৩৯ লাখ ৫৯ হাজার ৩০৪ টাকা। স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত নয়-এমন কোম্পানিতে লগ্নি ৩৫ লাখ টাকা। এছাড়া গাড়ি, স্বর্ণ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং আসবাবপত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। তার স্ত্রীর ব্যাংকে জমা টাকা, কোম্পানির শেয়ার, স্থায়ী আমানত, গাড়ি স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্রসহ রয়েছে ৯০ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ।

বর্তমানে মাহবুব তালুকদারের ২৬ দশমিক ১৭ একর কৃষি জমি, ৬ কাঠা ১৩ ছটাক অকৃষি জমি, আটতলা ভবন এবং মৎস্য খামারসহ ৮ কোটি ৭৭ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫১ টাকার স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। ব্যাংক ঋণ ২ কোটি ২০ লাখ ৫৬ হাজার ৯২৯ টাকা। ১৫ বছর আগে তার স্থাবর সম্পদ ছিল রাজউক থেকে পাওয়া পাঁচ কাঠার প্লট ও ৫৫ হাজার টাকার কৃষি জমি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম