Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

১৫ উইকেটের প্রথমদিনে মুশফিকের অদ্ভুত আউট

Icon

জ্যোতির্ময় মন্ডল

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

১৫ উইকেটের প্রথমদিনে মুশফিকের অদ্ভুত আউট

মেঘলা আকাশ। ফ্লাডলাইটের আলোয় হলো খেলা। শেষমেশ আলো কমে আসায় ৮.২ ওভার আগে শেষ হলো প্রথমদিনের খেলা। দুদলের খেলোয়াড়রা মাঠ ছাড়ার পরও অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে আলোর অবস্থা দেখে বিকাল ৪টা ১৬ মিনিটে প্রথমদিনের খেলার ইতি টানলেন আম্পায়াররা। পুরো সময় খেলা না হওয়ার পরও ১৫ উইকেট পড়া প্রথমদিনের খেলার বড় ঘটনা হাত দিয়ে বল ধরে মুশফিকুর রহিমের আউট হওয়া। 

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথমদিনই বুধবার স্পিন-স্বর্গ ব্যাটারদের বধ্যভূমিতে পরিণত হয়। মুশফিকুর রহিমের অদ্ভুত আউটের দিনে বাংলাদেশ ১৭২ রানে অলআউট হওয়ার পর মিরাজ ও তাইজুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৫৫ রানে নিউজিল্যান্ডের পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে এগিয়ে থেকে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। 

পাঁচ উইকেট হাতে নিয়ে সফরকারীরা পিছিয়ে ১১৭ রানে। আজ দ্বিতীয়দিনের খেলা ১৫ মিনিট আগে ৯টা ১৫-তে শুরু হবে। মিরপুরের উইকেটে স্পিনারদের সাফল্যের ধারা অনেকদিন ধরে চলে আসছে। তবে টেস্টের প্রথমদিনে ১৫ উইকেট হারানোর ঘটনা যে আগে কখনো ঘটেনি, তা নয়। ১৫ উইকেটের মধ্যে ১৩ উইকেট নিয়েছেন দুদলের স্পিনাররা।

বড় আলোচনার বিষয় হয়ে রইল মুশফিকের আউট। দ্বিতীয় সেশন শুরুর সময়ের ঘটনা। কাইল জেমিসনের ডেলিভারিতে রক্ষণাত্মক শট খেলার পর স্টাম্পের বেশ বাইরের বল হাত দিয়ে ধরতে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে আবেদন করেন জেমিসন ও নিউজিল্যান্ডের অন্য ফিল্ডাররা। ক্রিকেটীয় নিয়মে আম্পায়ার আউট দিতে বাধ্য। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান আউট হলেন অদ্ভুতভাবে। ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট। যার আগের নাম ছিল ‘হ্যান্ডলিং দ্য বল’। 

২০১৭ সালে ক্রিকেটের আইনে পরিবর্তন এনে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ নাম দেওয়া হয়। এমন আউটে হতবাক সবাই। ৮০ টেস্টেরও বেশি খেলা অভিজ্ঞ মুশফিকের এভাবে আউট হওয়াকে মনে করা হচ্ছে, তার অবচেতন মনের ভুল। এরপরও বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস মুশফিকেরই। 

টস নিয়ে ঢের আলোচনা হয়েছে। মুদ্রা নিক্ষেপে সাফল্য পেয়ে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন প্রথমে ব্যাটিং নেন। ২৯ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে জাকির হোসেনের দায়িত্বজ্ঞানহীন শটে। মিচেল স্যান্টনারের বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন কেইন উইলিয়ামসনের হাতে। পরের ওভারে বিদায় নেন আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান (১৪)। মুমিনুল হক পাঁচ রানে আউট হওয়ার পর দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান অধিনায়ক নাজমুল। 

২৯/০ থেকে হঠাৎ বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৪৭/৪। ইনিংসে একমাত্র ৫০ ছাড়ানো জুটি গড়েন মুশফিক ও শাহাদাত হোসেন। মুশফিকের বেখেয়ালি আউটে ৫৭ রানের জুটি ভাঙে দলের রান একশ ছাড়িয়ে। শাহাদাত করেন ৩১ রান। মিরাজের লড়াই ২০ রানে থামে। আবারও ব্যর্থ নুরুল হাসান সোহান (৭)। দশম উইকেটে নাঈম হাসান ও শরীফুল ইসলাম ১৮ রান যোগ করায় ১৭২-এ শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। তিনটি করে উইকেট নেন স্যান্টনার ও ফিলিপস। দুটি উইকেট পান এজাজ প্যাটেল, একটি সাউদি।

প্রথম ইনিংস শেষে আফসোস বাংলাদেশের। প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে আর ৪০-৫০ রান করতে না পারার হতাশা। তবে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তাইজুল ও মিরাজে দিন শেষে দলের হাসিটা টিকে রইল স্বাগতিকদের ড্রেসিংরুমে। এই দুজনে মাত্র ১১.৪ ওভার বোলিং করার সুযোগ পেয়েছেন। তাতেই তুলে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। সফরকারীদের রান ৫৫। ড্যারিল মিচেল ১২ এবং ফিলিপস পাঁচ রানে উইকেটে রয়েছেন। ম্যাচ শেষে তিন উইকেট নেওয়া মিরাজ জানালেন, ‘নিজেদের মাঠে খেলার সুবিধা সবাই নিতে চায়। আমরাও সেই চেষ্টা করেছি।’ দুটি উইকেট নেন তাইজুল।
(স্কোর কার্ড খেলার পাতায়)
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম