মনোনয়নপত্র জমার সময় বাড়ছে না
বিদ্যমান তফশিলেই নির্বাচন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ। নতুনভাবে আর সময় বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিদ্যমান তফশিল অনুযায়ী এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে এ তথ্য জানান।
এদিন বিকাল ৪টায় মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার সময় শেষ হয়। পরে জাহাংগীর আলম বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী আজ (বৃহস্পতিবার) বিকাল চারটা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। ইতোমধ্যেই সেই সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্ধারিত সময়সীমা শেষ। সময় বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। বিএনপি ছাড়াই কি ভোট হচ্ছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আপনারা বুঝে নেন। বিএনপিসহ যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসেনি, সেসব দল আসতে চাইলে পুনঃতফশিলের সুযোগ আছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব ‘না’ সূচক উত্তর দেন। ইসির ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় গতকাল বিকালে শেষ হয়েছে। জমা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১-৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময়সীমা ৫-৯ ডিসেম্বর। আপিল নিষ্পত্তি ১০-১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ আগামী ১৭ ডিসেম্বর। প্রচার শুরু হবে ১৮ ডিসেম্বর। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
এদিকে গতকাল সকালে কমিশনের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও আইজিপি এবং বিকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সাক্ষাৎ করেন। এ বিষয়ে ইসির সচিব বলেন, তারা তাদের নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কার্যক্রম সম্পর্কে কমিশনকে অবহিত করেছেন। বিশেষ করে আইজিপি এবং জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত পরিস্থিতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়েছেন। আইজিপি অবহিত করেছেন যে, নির্বাচনের অনুকূল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রশাসনিক বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা, পরামর্শ আছে কিনা, সে বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। কমিশন তার বক্তব্য শুনেছেন এবং কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সেভাবে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।
কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, সাধারণ মানুষ ও গাড়ি চলাচল প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এরপর যারা চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে-তাদের বিরুদ্ধে আমরা দেশের আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেব। তিনি বলেন, আমরা সিইসি ও কমিশনারদের সঙ্গে কথা বলেছি। উৎসবমুখর পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য যেসব কাজ করা দরকার, আইনানুগভাবে সেসব কাজ করার জন্য কমিশন আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছি-নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব প্রতিপালনে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আশা করছি নির্বাচন কমিশনের অধীনে, তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং চমৎকার নির্বাচন দেশবাসীকে উপহার দিতে পারব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত শঙ্কাবোধ করছি না। লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপনির্বাচনের পুনরাবৃত্তি জাতীয় নির্বাচনে ঘটবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন নয়, ছোট নির্বাচনেও যদি কোনো আইনবহির্ভূত ঘটনা ঘটে, এর জন্য যে দায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে পুলিশের কেউ বা যে কোনো লোকই হোক তাকে ছাড়া হবে না।