Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

ডেঙ্গুতে আরও ৯ মৃত্যু

ঢাকার চেয়ে বাইরে ৩ গুণের বেশি রোগী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ঢাকার চেয়ে বাইরে ৩ গুণের বেশি রোগী

ডেঙ্গুতে ঢাকার বাইরে ৩ গুণ বেশি রোগী

দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত এক দিনে এ রোগ নিয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৬১৭ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৬৩৩ জন এবং বাইরের হাসপাতালগুলোতে এক হাজার ৯৮৪ জন। অর্থাৎ সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার চেয়ে ঢাকার বাইরের হাসপাতালে তিনগুণের বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে মারা গেছেন আরও ৯ জন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের মতো গত ২৪ ঘণ্টাতেও ঢাকার চেয়ে ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তির সংখ্যা অনেক বেশি। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগীদের নিয়ে এ বছর মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১৬ হাজার ৮৬৪ জনে। এ বছর মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৫৫ জনের। এখন পর্যন্ত দেশজুড়ে হাসপাতালগুলোতে যত রোগী ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে ঢাকায় ৮৬ হাজার ৪৯৩ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় এক লাখ ৩০ হাজার ৩৭১ জন। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ২৬৫ জন। এদের মধ্যে ঢাকায় দুই হাজার ৯৭১ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ছয় হাজার ২৯৪ জন।

এখন পর্যন্ত মাসের হিসাবে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন সেপ্টেম্বরে ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন এবং কম ভর্তি হয়েছেন মার্চে ১১১ জন। অক্টোবরের চার দিনে ভর্তি হয়েছেন ১৩ হাজার ৪৫৮ জন। আর একক মাসে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন সেপ্টেম্বরে ৩৯৬ জন। মার্চে কারও মৃত্যু হয়নি। কম মৃত্যু হয়েছে এপ্রিল ও জুনে ২ জন করে। আর অক্টোবরের প্রথম চার দিনে মারা গেছেন ৬৬ জন।

বিশেষজ্ঞরা জানান, ২০০০ সালে বাংলাদেশে সরকারিভাবে ডেঙ্গুকে রোগ হিসাবে দেখা হয়। সে বছরই পাঁচ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। আর তাদের মধ্যে ৯৩ জনের মৃত্যু হয়। এরপর দুই দশক ধরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ, রোগী ব্যবস্থাপনা এবং এডিস মশা নির্মূলে কাজ করছে সরকার। তবে মশা নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতা এবং রোগী ব্যবস্থাপনার ঘাটতির কারণে রোগটিকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ২০২২ সালে ৬২ হাজার রোগীর মধ্যে ৩৮২ জনের মৃত্যু হয়। এ বছরই দেশে সর্বোচ্চসংখ্যক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে সর্বোচ্চসংখ্যক ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা এক লাখ ছাড়ায়, সে বছর এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম