বেসরকারি ব্যাংক পরিচালনা
পর্ষদ ও এমডির দ্বন্দ্বে দুর্বল হচ্ছে ব্যাংক
বেনামি ও বেআইনি ঋণ অনুমোদন না করাই বিরোধের মূল কারণ * নির্বাচনের বছরে বিধিবহির্ভূত ঋণ দেওয়ার চাপ বাড়ে
দেলোয়ার হুসেন
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ফাইল ছবি
পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো কোনো বেসরকারি ব্যাংক পর্ষদের পরিচালক মাত্রাতিরিক্ত হস্তক্ষেপ করছেন। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিবিধানের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে বেআইনি সুযোগ-সুবিধা পেতে চাচ্ছেন। এসব দিয়ে একদিকে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা (এমডি) ফেঁসে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে না দিলে ব্যাংকে মানসম্মান নিয়ে থাকা যাচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করছেন। সম্প্রতি চারটি ব্যাংকের এমডি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক হস্তক্ষেপ করে দুজন এমডিকে কাজে যোগদান করাতে পেরেছেন। এসব বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা নষ্ট হচ্ছে। এতে নানামুখী টানাপোড়েন বাড়ছে। ফলে দুর্বল হয়ে পড়ছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংক চলে আস্থা, বিশ্বাস ও সুশাসনের ওপর। তিনটি বিষয়েই এখন বড় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ ঘাটতির কারণেই পর্ষদ ও এমডির মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এটি আগে পর্ষদের বৈঠকেই সীমাবদ্ধ ছিল। এখন সেটি প্রকাশ্যে এসেছে। এতে ব্যাংকের দুর্নাম হচ্ছে।
ব্যাংকের স্বাস্থ্য খারাপ হচ্ছে। এটি একটি সাউন্ড ব্যাংকিং খাতের জন্য অনুকূল নয়। পর্ষদ ও এমডি কি কাজ করতে পারবে। কার কি ক্ষমতা তা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে। এর বাইরে গিয়েই বিপত্তি বাধানো হচ্ছে। বিধির বাইরে কারা যাচ্ছেন তাদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। এ ক্ষেত্রে শিথিলতা দেখালে ব্যাংকের অবস্থা আরও খারাপ হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, যেসব ব্যাংকে পর্ষদ ও এমডির মধ্যেকার সমস্যা দেখা দিয়েছে সেগুলোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক হস্তক্ষেপ করছে। পর্ষদ ও এমডি উভয়পক্ষকে ডেকে সমস্যার সমাধান ও বিধিবিধান মেনে চলার কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব ব্যাংকে এ ধরনের সমস্যা আছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে সেগুলোকেও একই বার্তা দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে।
সূত্র জানায়, ১৯৮৩ সালে দেশে প্রথম বেসরকারি খাতে লাইসেন্স দেওয়া হয়। প্রথমে সরকারি খাতের উত্তরা ও পূবালী ব্যাংকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। দুটি ব্যাংকেই দীর্ঘ সময় পরিচালকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। পরে তা এমডি পর্যন্ত সংক্রমিত হয়। এতে ব্যাংক দুটি দুর্বল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে স্থান হয় প্রবলেম ব্যাংকের আওতায়। দীর্ঘ সময় পরে তারা প্রবলেম ব্যাংকের দুর্বলতা ঘুচিয়ে সবল ব্যাংকের ধারায় ফিরে আসে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূচক অনুযায়ী এখন ব্যাংক দুটি ভালো চলছে।
একই বছরে বেসরকারি খাতে প্রথম লাইসেন্স দেওয়া হয় ন্যাশনাল ব্যাংককে। ওই সময়ে ৮টি বেসরকারি ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হয়। শুরুর দিকে ব্যাংকগুলো চললেও একটি পর্যায়ে এর বেশিরভাগই দুর্বল হয়ে পড়ে। পরিচালকদের বেআইনি হস্তক্ষেপের কারণে ওই সময়ের আল বারাকাহ ব্যাংক দুর্বল হয়ে প্রবলেম ব্যাংকের আওতায় পড়ে।
পরে এটি কয়েক দফায় মালিকানা বদল হয়। প্রতি দফাই পরিচালকদের হস্তক্ষেপে ব্যাংকটি দুর্বল হতে থাকে। জালিয়াতির মাধ্যমে এ ব্যাংক থেকে ৭০০ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়ে। একপর্যায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি অধিগ্রহণ করে। এখন বিদেশি মালিকানায় ছেড়ে দিলেও আইনি বেড়াজালের কারণে ব্যাংকটি ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না।
প্রথম প্রজন্মের আরও একটি ব্যাংকে পরিচালকদের হস্তক্ষেপের কারণে এখন অতি দুর্বল ব্যাংকের তালিকায় পড়েছে। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন সাবেক ডেপুটি গভর্নর এমডি পদে গিয়েও কাজ করতে পারেননি। তাকে নানাভাবে অপদস্ত করা হয়েছে। একপর্যায়ে তারা ভালো এমডি পাচ্ছিলেন না। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে চেয়ারম্যান বদল করে এমডি দেওয়া হয়। ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত কোনো এমডি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। কয়েক মাস আগে একজন এমডি পদত্যাগ করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে তিনি আবার ব্যাংকে ফিরে যান।
আরও জানা গেছে, একটি বেসরকারি ব্যাংকের পর্ষদে দখল ও পালটা দখলের ঘটনাও ঘটেছে। ব্যাংকটি প্রবলেম ব্যাংকের আওতায় পড়েছিল। পরে বেরিয়ে এসেছে। এতে পরিচালকদের নামে ১৭৫ কোটি টাকার বেনামি ঋণ পাওয়া গেছে। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশে এগুলো পরিচালকদের ঋণ হিসাবে দেখানো হয়। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি অধিগ্রহণ করে। পরিচালকদের বেআইনি সুবিধার ঘটনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্তে ধরা পড়ার পর ব্যাংকটির তৎকালীন এমডিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে ওই এমডি পদত্যাগ করেন। এছাড়া দ্বিতীয় প্রজন্মের একটি শরিয়াভিত্তিতে পরিচালিত ব্যাংকেও পর্ষদের অনৈতিক আবদার না মেটানোর কারণে এমডির দূরত্ব তৈরি হয়।
সরকারি খাতের বেসিক ব্যাংকেও পর্ষদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। ২০১০ থেকে ২০১২ সালে ব্যাংকিং বিধিবিধানের কোনোরকম তোয়াক্কা না করা ও ওই সময়ের এমডির আপত্তিকে উপক্ষো করে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ পাওয়া তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চু। ওই সময়ে ব্যাংকের এমডি ছিলেন সোনালী ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি কাজী ফখরুল ইসলাম। ব্যাংক থেকে বেআইনিভাবে ঋণ দেওয়ার বিরুদ্ধে আপত্তি দিলেও কোনো কাজে আসেনি। তিনি ঘটনাটি বাংলাদেশ ব্যাংকেও জানাননি। যে কারণে জালিয়াতির দায়ে তিনিও অভিযুক্ত। এখন তিনি পলাতক। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জালিয়াতির ঘটনায় যে ৫৬টি মামলা করেছে তার প্রায় সবকটিতেই তিনি আসামি।
প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী কোনো ব্যাংকের পর্ষদে যেসব বিষয় উত্থাপিত হবে সেগুলো এমডির স্বাক্ষরে হবে। এমডির মনঃপূত প্রতিবেদন তৈরি না হলে তিনি সেটি পর্ষদে উপস্থাপন আটকে দিয়ে পুনরায় নিরীক্ষার নির্দেশ দিতে পারেন। তারপরও কোনো বিষয় পর্ষদে বিধিবহির্ভূত কর্মকাণ্ড হলে তার বিরুদ্ধে এমডি পর্ষদ সভায় আপত্তি তুলতে পারেন। বেসিক ব্যাংকের ক্ষেত্রে এসব কিছুই হয়নি। অনেক ব্যাংকেই হচ্ছে না। ওইসব ব্যাংকে এমডি-পরিচালক মিলে লুটপাট করছেন। সেখানে পর্ষদের সঙ্গে এমডিও ফেঁসে যাচ্ছেন। আর কোনো কোনো ব্যাংকে পরিচালকদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে এমডি বাধা না দেওয়ায় তিনি ফেঁসে যাচ্ছেন।
নতুন প্রজন্মের প্রায় সব ব্যাংকেই পরিচালনগত জটিলতা রয়েছে। এতে একাধিক ব্যাংকের এমডি পদত্যাগ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ জটিলতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে পরিচালকদের নামে বেআইনি ঋণ অনুমোদন করতে না দেওয়ায় এমডি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।
যদিও তিনি আবার স্বপদে ফিরে গেছেন। গত ২ মাসের মধ্যে আরও তিনটি ব্যাংকের এমডি পদত্যাগ করেছেন।
তিনটি ব্যাংকের পর্ষদ সভায়ই ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন নিয়ে পরিচালকদের সঙ্গে এমডির বিতর্ক হয়েছে। একপর্যায়ে কতিপয় পরিচালক এমডিকে ঋণ প্রস্তাব পর্ষদের চাওয়া মতো করে অনুমোদন করতে চাপ প্রয়োগ করেন। এতে তিনজন এমডিই বেঁকে বসেন। কারণ ওই ঋণ অনুমোদন হলে এমডি আটকে যাবেন। তখন তিনি ফেঁসে যেতে পারেন। এ কারণে তারা পর্ষদে প্রস্তাব অনুমোদন না করে পদত্যাগ করেছেন। এর মধ্যে একটি ব্যাংকের এমডি ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আশ্বাসে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে কাজে ফিরে গেছেন। বাকি দুই ব্যাংকের এমডির বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন এমডি ও পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা করছে।
বেসরকারি খাতের এনসিসি ব্যাংক ও মেঘনা ব্যাংকের সাবেক এমডি বিশিষ্ট ব্যাংকার নুরুল আমিন। তিনি মেঘনা ব্যাংকের এমডির পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন ২০১৭ সালের নভেম্বরে। তিনি সম্প্রতি যুগান্তরকে বলেছেন, ব্যাংক পরিচালনার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুনির্দিষ্ট বিধিবিধান রয়েছে। এমডি ও পর্ষদের কে কতটুকু কাজ করতে পারবেন, কার কতটুকু ক্ষমতা তা সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। এটি কার্যকর করতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও কঠোর হতে হবে। তা না হলে এমডিরা কাজ করতে পারবেন না। এছাড়া ২০০১ সালের দিকে পরিচালকদের বেআইনি সুবিধা দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শোকজ পেয়ে এক এমডি পদত্যাগ করেছিলেন।
জানা গেছে, আরও কয়েকটি ব্যাংকে পর্ষদের সঙ্গে এমডিদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সেগুলোতে নজরদারি জোরদার করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর কোনো এমডি যাতে পদত্যাগ না করেন সেরকম বার্তাও দেওয়া হয়েছে। কারণ বৈশ্বিক ও দেশীয় অর্থনৈতিক মন্দায় ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর মধ্যে এমডিদের পদত্যাগের ঘটনা অস্থিরতা আরও বাড়াবে। যে কারণে এখন পরিচালক ও এমডির মধ্যেকার দ্বন্দ্ব এখন স্তিমিত হয়ে আছে।
এদিকে ব্যাংকিং খাতে এমডিদের ওপর পরিচালকদের চাপ বাড়লে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৪ সালে একটি সার্কুলার জারি করে এমডিদের সুরক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। ওই সার্কুলারে বলেছিল, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে কোনো ব্যাংকের এমডি স্বেচ্ছায় পদ ছাড়তে চাইলে এক মাস আগে পদত্যাগের কারণ জানিয়ে আবেদন নিজ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
ব্যাংকের এমডি নিয়োগের চুক্তি বাতিল বা পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে হলে পর্ষদের অনুমোদনের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যাংকের এমডির চুক্তি বাতিল বা কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করা যাবে না। কিন্তু একদিকে রাজনৈতিক প্রভাব ও অন্যদিকে পরিচালকদের চাপ এই দুইয়ে মিলে এমডিদের সুরক্ষা খুব একটা দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এখন এমডিদের সুরক্ষা দিতে উদ্যোগী হয়েছে।
এছাড়া ব্যাংকের এমডি ও পর্ষদের মধ্যে কাজের পরিধি সুনির্দিষ্ট করে দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। ওই বিধান ব্যাংকগুলোতে পরিপালন হচ্ছে না। সে কারণে এখন কয়েকটি ব্যাংকে এমডি-পর্ষদ বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে।
ব্যাংকের এমডি সুরক্ষা দেওয়ার অংশ হিসাবে ব্যাংকের এমডিদের ওপর পরিচালকদের অনৈতিক চাপ প্রয়োগ বন্ধ, ব্যাংকের নির্বাহী ও পর্ষদের মধ্যকার ক্ষমতা ও কাজের পরিধি অনুযায়ী কাজ করতে বলা হয়েছে বিরোধপূর্ণ ব্যাংকগুলোকে। ব্যাংক পরিচালনায় প্রচলিত নিয়মনীতির বাইরে গিয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকতে হবে পর্ষদকে। ব্যাংক পরিচালকদের উদ্দেশে এমনই বার্তা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে ব্যাংক নির্বাহীদেরর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে উভয়পক্ষের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে।
সূত্র জানায়, জাতীয় নির্বাচনের আর সাড়ে ৩ মাস বাকি। এর আগে অনেক ব্যাংকেই বেআইনিভাবে বড় অঙ্কের ঋণ অনুমোদনের চাপ আছে। সব সময়ই নির্বাচনের আগে এ চাপ থাকে। কিন্তু পরে এসব ঋণ আর আদায় হয় না। খেলাপিতে পরিণত হয়। এর মধ্যে অনেক ঋণ থাকে বেনামি। মূলত বেনামি ঋণ ঠেকাতেই এমডিরা পরিচালকদের পথের কাঁটা হয়েছেন।
কারা তারা দেখেছেন অতীতে বেসিক ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকে হলমার্ক জালিয়াতির দায় এমডিদের ওপরেই এসেছে। ওই দুই ব্যাংকের সে সময়ের এমডিই এখন পলাতক। এর আগে ২০১৮ সালেও ব্যাংকগুলোর এমডিদের ওপর বেআইনি ঋণ অনুমোদনের বিষয়ে পর্ষদের প্রবল চাপ এসেছিল। ওই বছরের ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এমডিরা ব্যাংক পরিচালনায় নিজেদের সুরক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তা চেয়েছিলেন।