Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

জাতীয় শোক দিবস পালিত

কুশীলবদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় জাতির পিতাকে স্মরণ, সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কুশীলবদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি

বিনম্র শ্রদ্ধা, শোক ও ভালোবাসায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেছে পুরো জাতি। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মঙ্গলবার পালিত হয়েছে স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। 

এদিন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। কর্মসূচির মধ্যে ছিল-বঙ্গবন্ধুর সমাধি, প্রতিকৃতি ও ম্যুরালে ফুলেল শ্রদ্ধা, শোক র‌্যালি, কালো ব্যাজ ধারণ, জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, দোয়া মাহফিল।

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক এবং ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। পাশাপাশি বিদেশে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করারও দাবি জানানো হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রকারী ও কুশীলবদের ধরে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি জানানো হয়। 

ভোরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দলের ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন ইউনিট কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও বিদেশের বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। শোক দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনে শোক দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা সরাসরি সম্প্রচারসহ বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। দেশের বাইরে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলো বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শোক দিবস পালন করে।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। 

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন-দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, শাজাহান খান ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও এসএম কামাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

ধানমন্ডি ৩২-এ মানুষের ঢল : জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে শোকার্ত মানুষের ঢল নামে। ভোর থেকেই আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সর্বস্তরের মানুষ বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনের রাস্তায় জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ৬টার মধ্যেই অগণিত মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে ৩২ নম্বর সড়ক। হাতে কালো ব্যানার ও বুকে কালো ব্যাজ পরিধান করে নারী-পুরুষ, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, শিশু-কিশোরসহ সর্বস্তরের মানুষ। সবাই পরম শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে জাতির পিতাকে স্মরণ করেন। 

বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধা : প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডি-৩২ নম্বর ত্যাগ করার পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরও শ্রদ্ধা জানায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, তাঁতী লীগ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস), বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, শিশু একাডেমি, বাংলাদেশ বেতার, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, শেখ রাসেল শিশু সংসদ, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসহ বিভিন্ন দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সর্বস্তরের হাজারো মানুষ। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বঙ্গভবনে দোয়া : রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন। দোয়া মাহফিলে যোগদানের আগে দরবার হলে আসরের নামাজ আদায় করেন রাষ্ট্রপ্রধান। আসরের নামাজের আগে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সালাহউদ্দিন ইসলাম, সচিব সম্পদ বড়ুয়া, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান বক্তব্য রাখেন। আসর বাদ এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। 

দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন বঙ্গভবন জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ সাইফুল কাবির। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম রাতে শাহাদতবরণকারী বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্ব ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়। মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাতে রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্য, সংশ্লিষ্ট সচিব, বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপতি ভবনের কর্মচারীরা অংশ নেন।

বঙ্গবন্ধু ভবনে মিলাদ : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে এই মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বড় বোনের সঙ্গে মিলাদে অংশ নেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি ও সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শীলাসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

১০০ বার কুরআন খতম : জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ১০০ বার কুরআন খতম ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন কুরআন খতম ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করে। কুরআন খতম শেষে জাতির পিতা ও তার পরিবারের শহিদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। 

এদিকে মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসাবে কেন্দ্রীয়ভাবে ১৫ আগস্টের প্রথম প্রহরে (রাত ১২টা ১ মিনিট) মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে (৩/৭-এ সেনপাড়া, পর্বতা, মিরপুর-১০) মোমবাতি প্রজ্বালন ও বিশেষ প্রার্থনা, সকাল ৯টায় তেজগাঁও হলি রোজারি চার্চে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করেছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের শ্রদ্ধা ও রক্তদান কর্মসূচি : জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে জাতীয় প্রেস ক্লাব। সকালে প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের নেতৃত্বে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজের মহাসচিব দীপ আজাদ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, সাংবাদিক নেতা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, আবদুল জলিল ভূঁইয়া, মধুসূদন মণ্ডল, খায়রুজ্জামান কামাল, শাহ নেওয়াজ দুলাল, সিনিয়র সদস্য মনোজ কান্তি রায়, সফিকুল করিম সাবু, তরুণ তপন চক্রবর্তী, রফিকুল ইসলাম রতন, সাইফ ইসলাম দিলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

এবং পরে ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আর্তমানবতার সেবায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-ক্লাবের সহসভাপতি রেজোয়ানুল হক রাজা, যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা কমিটি সদস্য কাজী রওনাক হোসেন, শাহনাজ সিদ্দিকী সোমা, কল্যাণ সাহা ও জুলহাস আলম।

এছাড়াও জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক পরিষদসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন।

ঢাকা-৫ নির্বাচনি এলাকার ১৮টি স্থানে মিলাদ মাহফিল, কুরআনখানি এবং আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রয়াত এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লার জ্যেষ্ঠপুত্র ও ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মশিউর রহমান মোল্লা সজল। পরে দলীয় নেতাকর্মী ও অসহায় গরিব-দুঃখী মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করেন তিনি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ২৩, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৫ ও ৩৬নং ওয়ার্ডে দোয়া, মিলাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির অংশগ্রহণ করেন। এ সময় দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে দক্ষিণের ৪৮, ৪৯, ৫০, ৬১ ও ৬৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন। এসব অনুষ্ঠানে অসহায় দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়। কর্মসূচির মধ্য ছিল-কুরআন খতম ও দোয়া, কালো ব্যাজ পরিধান, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কবিতা আবৃত্তি, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ ড. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মফিজুর রহমান। 

সকাল ৯টায় অধ্যক্ষ এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে নির্মিত হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। 

রাজধানীর একে স্কুল অ্যান্ড কলেজে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ঢাকা ৫ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুল ইসলাম মনু প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. সালাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র শিক্ষক মুক্তার হোসেন ও ফারজানা নুসরাতের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গভর্নিং বডির সভাপতি আতিকুর রহমান। 

পরে রচনা, কবিতা আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে মেরাজনগর সুপার মার্কেটে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ডিএসসিসি’র ৫৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিকের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। 

আকাশ কুমার ভৌমিকের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৪ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সহসভাপতি দিলীপ কুমার রায়। পরে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ভোজের আয়োজন করা হয়।

ডিএনসিসি : ডিএনসিসির নগর ভবনের অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় মেয়র কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে বনানী কবরস্থানে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও তাদের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন।

ডিএনসিসি ওয়ার্ড ৪২ (বেরাইদ) : জাতীয় শোক দিবসে আলোচনা এবং দোয়ার আয়োজন করে একেএম রহমতুল্লাহ কলেজ। অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গভর্নিং বডির সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ হেদায়েত উল্লাহ রন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ। 

এছাড়া পৃথক অনুষ্ঠানের অয়োজন করে বেরাইদ মুসলিম হাইস্কুল, রওশনআরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বেরাইদ মুহাম্মাদিয়া দাখিল মাদরাসা, আলহাজ রাহীমুল্লাহ মোল্লা দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানা, বেরাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেরাইদ গণপাঠাগার ও বাংলাদেশ গ্রন্থসুহৃদ সমিতি।

জবি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।

আইসিটি বিভাগ : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সচিব মো. সামসুল আরেফিনের নেতৃত্বে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর আগে আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের নিচতলায় স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। 

এ সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও বিভাগের অধীন প্রকল্পগুলোর সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ফাউন্ডেশন : জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি আলোচনা ও দোয়া মাহফিলেরও আয়োজন করে ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ফাউন্ডেশন। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজিবর রহমান, সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. শেহেরিন সেলিম রিপন (এমবিই)। এসময় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার দোয়া অনুষ্ঠান : ১৫ আগস্টে নিহত শহিদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনায় খতমে কুরআন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করে চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা। রাজধানীর চট্টগ্রাম ভবন মিলনায়তনে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি ও বিশিষ্ট শিল্পপতি জয়নুল আবেদীন জামালের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন হিরো সঞ্চালনা করেন। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব ড. সৈয়দ মু. এমদাদ উদ্দীন।

আ.লীগের আলোচনা সভা আজ : জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা আজ। বেলা সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম