Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

এসএসসি পরীক্ষা ২০২৩

এখন রাত জেগে পড়ার সময় নয়

Icon

কাজী শামীম ফরহাদ

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

এখন রাত জেগে পড়ার সময় নয়

এবারের এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল শুরু হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে পরীক্ষার্থীদের জন্য শুভকামনা রইল। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি হিসাবে তোমাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা তুলে ধরছি। ভালো ফলাফলের জন্য এগুলো অনুসরণ করার চেষ্টা করবে।

দুই বছর ধরে অনেক পড়েছ, তাই পরীক্ষার আগের রাতে কম পড়লেও সমস্যা হবে না। শুধু পরীক্ষার আগের রাতে পড়েই ভালো পরীক্ষা দেওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হবে বলে আমি মনে করি না। পরীক্ষার আগের রাতে শুধু পৃষ্ঠা উলটিয়ে পড়াগুলো রিভিশন দেবে। যাতে কী কী পড়েছ সেগুলো মস্তিষ্ককে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। পরীক্ষার আগের রাতে ও পরীক্ষা চলাকালীন দিনগুলোতে খাবার-দাবারের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। অনেকে আছে যে বিরিয়ানি বা এ ধরনের ভারী খাবার পছন্দ করে-যা মোটেই পরীক্ষার সময় স্বাস্থ্যকর নয়। পরীক্ষার আগের রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার পরামর্শ দেব। যাতে শান্ত মনে পরীক্ষার হলে পৌঁছাতে পার, ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষা দিতে পার। অভিভাবকরা লক্ষ রাখবেন, পরীক্ষার্থী যেন সুস্থভাবে পরীক্ষার হলে যেতে পারে।

পরীক্ষার হলে যাওয়ার আগে কিছু বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হয়। তা হলো, প্রবেশপত্র, প্রয়োজনীয় কলম-পেন্সিল, রাবারসহ আনুষঙ্গিক অন্য বিষয়গুলো আগের রাতে ঠিকঠাক করে রাখা। যাতে পরীক্ষার দিন সকালে কোনো ধরনের তাড়াহুড়া করা না লাগে। যারা ঢাকা শহরে থাক, তাদের একটি বিষয় খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়, সেটা হলো ঢাকা শহরের ট্রাফিক জ্যাম। হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হতে হবে, যেন পরীক্ষার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হতে পার। আর যদি দেরি হয়ে যায় তাহলে দুশ্চিন্তা না করে সুস্থিরভাবে পরীক্ষা দেওয়া শুরু করবে। পরীক্ষার হলে পৌঁছে প্রবেশপত্র দেখে উত্তরপত্রের ওপর নিজের তথ্যাদি ঠিকমতো লিখবে। সৃজনশীল প্রশ্নের উদ্ধৃতিগুলো মন দিয়ে বারবার পড়বে, উত্তরের যথাস্থানে পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে উদ্ধৃতির সম্পর্ক রক্ষা করবে। বিশেষ করে প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা অংশের উত্তরের ক্ষেত্রে অবশ্যই উদ্ধৃতির ঘটনার সঙ্গে যোগসূত্র সৃষ্টি করেই উত্তর লিখতে হবে। আর বেশি নম্বর পেতে সঠিক বানানের যথাযথ ব্যবহার এবং প্রশ্নানুযায়ী সময় বণ্টন করে উত্তর লেখার অভ্যাস করতে হবে, বিশেষ করে বাংলা ও ইংরেজিতে।

পরীক্ষার হলে বসার পরে সময় ব্যবস্থাপনার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কতগুলো প্রশ্ন আছে, আর কতগুলো প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, সেই হিসাবে সময় বণ্টন করে লিখতে হবে। একটা প্রশ্ন খুব ভালোভাবে লিখলাম, আর লিখে বেশি সময় নিয়ে ফেললাম। আর বাকি প্রশ্নগুলোর উত্তর ভালোভাবে দিতে না পারার চেয়ে সব প্রশ্ন সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে লিখলে বেশি নম্বর পাওয়া যাবে। প্রশ্নের চাহিদা অনুযায়ী সব প্রশ্নের উত্তর গুছিয়ে লিখে আসতে হবে।

মনে রাখবে, এটা পরীক্ষা নয়-মূল্যায়ন। যারা সারা বছর লেখাপড়া করেছে এবং মূল পাঠ্যবই গুরুত্ব দিয়েছে-তারা সেরা সাফল্য অর্জন করবেই। এমসিকিউ অংশে শতভাগ নম্বর পাওয়ার চেষ্টা থাকতে হবে। কেননা সৃজনশীল বা তত্ত্বীয় অংশে সাধারণত নম্বর কমে যেতে পারে। এখনো সময় আছে, মূল পাঠ্যবই যদি ভালো করে কেউ পড়, তাহলে তার এমসিকিউ অংশে কোনো সমস্যা হবে না। পাশাপাশি সময়ের দিকে তাকিয়ে সৃজনশীল অংশের উত্তর লিখতে হবে। সব প্রশ্নের উত্তর লিখে আসতে হবে। কোনো প্রশ্নের উত্তর বাদ দেওয়া যাবে না। তোমাদের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদ, এনডিসি, পিএসসি

অধ্যক্ষ, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম