থাকবে মোবাইল কোর্ট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ঈদযাত্রায় ৪৬ স্পটে যানজটের শঙ্কা
উত্তরাঞ্চল রুটে ভোগান্তির কারণ হতে পারে গাজীপুর, এলেঙ্গা-সিরাজগঞ্জ-বগুড়া সড়ক * চট্টগ্রাম ও দক্ষিণাঞ্চলের টোলপ্লাজায় একই পরিস্থিতির আশঙ্কা
কাজী জেবেল
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আসন্ন ঈদযাত্রায় ঢাকা থেকে বাড়িমুখী যাত্রীদের ৪৬টি স্পটে যানজটে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে ২০টি হচ্ছে ঢাকার ভেতর এবং প্রবেশ বা বের হওয়ার পথ। পাশাপাশি পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু সেতু ও মেঘনা-ঘোমতী সেতুর টোলপ্লাজায় একই অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া ঢাকার আশপাশের জেলা গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জেও কয়েকটি যানজটপ্রবণ স্পট রয়েছে। বাকি স্পটগুলো অন্যান্য জেলায়।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) এক পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে উল্লিখিত ৪৬টি স্পট। এসব স্থানে যানজট নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ। এছাড়া ঈদযাত্রায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আজ বৈঠক ডেকেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানতে চাইলে বিআরটিএ-এর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, ঈদযাত্রায় অনেক কারণে যানজট তৈরি হতে পারে। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, চার লেনের গাড়ি কোথাও দুই লেনে প্রবেশ করলে সেখানে যানজট হয়। সেতু ও সড়কে টোল আদায়ের সময় গাড়ি থেমে যাওয়ায় সেখানে যানজট হয়। রাস্তায় গাড়ি নষ্ট হয়ে গেলে সেটির কারণেও যানজট হয়। রাস্তার ওপর বাজার বসলে এর কারণেও যানজট হয়। সব মিলিয়ে আমরা কিছু স্থান চিহ্নিত করেছি, যেখানে যানজট হতে পারে।
সেসব স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় ভূমিকা পালন করলে ঈদযাত্রা আনন্দের হতে পারে। তিনি বলেন, আমরা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দুই শিফটে ম্যাজিস্ট্রেট রাখার পরিকল্পনা করছি। এতে সড়কে শৃঙ্খলা ভালো থাকবে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, এবার তুলনামূলক ভোগান্তি বেশি হবে উত্তরাঞ্চলের পথগুলোয়। উত্তরাঞ্চলে যাওয়ার অন্যতম পথ এয়ারপোর্ট-টঙ্গী-গাজীপুর এবং এয়ারপোর্ট-আশুলিয়া-উভয় সড়কেরই অবস্থা ভালো নয়। এয়ারপোর্ট-টঙ্গী-গাজীপুর রুটে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান।
এছাড়া গাবতলী থেকে যেসব গাড়ি উত্তরাঞ্চলে যাবে, সেগুলো সাভার, নবীনগর, বাইপাইল ও চন্দ্রা এলাকায় স্বাভাবিক সময়েই থেমে থেমে যানজট থাকে। ঈদে তা তীব্র হতে পারে। এছাড়া টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে সিরাজগঞ্জ এবং এলেঙ্গা থেকে বগুড়া সড়ক উন্নয়নের কাজ চলছে। ওইসব সড়কেও যানজটের আশঙ্কা করছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ।
অপরদিকে পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ঈদযাত্রা অনেকটা নির্বিঘ্ন হবে বলে আশা করছে সরকার। তবে পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজায় টোল আদায়ে ধীরগতির কারণে ওইসব স্পটে যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিগত ঈদেও এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীদের। একই ধরনের আশঙ্কা রয়েছে কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে যাওয়া মেঘনা-গোমতী সেতু পাড়ি দেওয়া যাত্রীদের ক্ষেত্রেও। এসব সেতুর টোলপ্লাজায় বুথ বাড়ানো এবং সব বুথ সার্বক্ষণিক খোলা রাখতে নির্দেশনা দিচ্ছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ।
ঈদযাত্রায় যানজট ও ভোগান্তির জন্য সড়কে বিশৃঙ্খলা বড় কারণ বলে মনে করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী। তিনি যুগান্তরকে বলেন, ঈদে গণপরিবহণ ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ থাকে। ঈদের আগে সরকার অনেক ধরনের নির্দেশনা দেয়। কিন্তু বাস্তবে এর পুরোপুরি প্রতিফলন হয় না। এ কারণে যানজটে যাত্রীদের ভোগান্তি হয়। বাসের ট্রিপ কমে যাওয়ায় গাড়ির সংকট দেখা দেয়। তিনি বলেন, ঢাকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার পথগুলোয় যানজট লেগে থাকে। সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারলে যানজট অনেক নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ এবং বিআরটিএ-এর একাধিক কর্মকর্তা জানান, স্বস্তির বিষয় হচ্ছে-সরকারি ছুটি বেড়ে পাঁচ দিন হওয়া এবং বৃষ্টি মৌসুম না থাকায় সড়কে অন্যান্য বছরের তুলনায় ভোগান্তি কম হবে বলে মনে হয়। এছাড়া সড়কের অবস্থা বিগত কয়েক বছরের চেয়ে ভালো। যাত্রীবাহি গাড়ি চলাচলের সুবিধার্থে ঈদের আগে তিন দিন রাস্তায় পণ্যবাহী ট্রাক, লরি ও কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে। তবে শঙ্কার বিষয় হচ্ছে-মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে একদিকে সড়কে দুর্ঘটনা বাড়তে পারে, অপরদিকে মোটরসাইকেলসহ ধীরগতির ছোট যানবাহনের কারণে দূরপাল্লার গাড়ির গতি কমে যাবে। তবে এবার ঈদেও পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। দক্ষিণাঞ্চলে যাওয়া মোটরসাইকেল বিকল্প ফেরিপথে পার হতে পারবে।
৪৬ স্পট : জানা যায়, ৪৬টি স্পটের মধ্যে ঢাকা মহানগরীর মধ্যে রয়েছে ২০টি। এছাড়া ঢাকা-আরিচা সড়কে ৪টি, ঢাকা-গাজীপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ৪টি, ঢাকা-গাজীপুর-টাঙ্গাইল-বগুড়া মহাসড়কে ৭টি, চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে ৪টি, নরসিংদী জেলায় ২টি, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও ফরিদপুরে ৫টি। ঢাকা মহানগরীর মধ্যে রয়েছে মহাখালী, গাবতলী, সায়েদাবাদ এবং গুলিস্তান ও ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনাল। বাকি এলাকাগুলো হচ্ছে এয়ারপোর্ট এলাকা, পোস্তগোলা ব্রিজ, বাবুবাজার ব্রিজ, বছিলা ব্রিজ, সাইনবোর্ড এলাকা, আব্দুল্লাহপুর এবং এশিয়ান হাইওয়ের ৩০০ ফুট এলাকা। এসব স্পট মূলত ঢাকা থেকে বের হওয়া প্রবেশপথ।
উত্তরবঙ্গের যানজটপ্রবণ এলাকাগুলো হচ্ছে বাইপাইল, চন্দ্রা, চান্দনা, এলেঙ্গা, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম পার্শ্ব এবং সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড়। গাজীপুরের মধ্যে রয়েছে স্টেশন রোড এলাকা, এরশাদনগর, ভোগড়া বাইপাস ও জয়দেবপুর চৌরাস্তা। এছাড়া কাঞ্চন ব্রিজ ও ভুলতা-গাউছিয়া মোড়েও যানজট হতে পারে।
ঈদযাত্রায় সড়কে কৃত্রিমভাবে যানজট তৈরি করা হয় বলেও নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান হিমাচল এক্সপ্রেস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব উদ্দিন মাসুদ। তিনি বলেন, লোকাল বাস নষ্ট করে রেখে বা অন্য কোনো উপায়ে স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট কৃত্রিম যানজট তৈরি করে। এতে মুহূর্তের মধ্যে দুই থেকে চারশ গাড়ি যানজটে আটকা পড়ে। তবে হকারদের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করে ওই সিন্ডিকেট। তিনি বলেন, পুলিশ তৎপর থাকলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত যানজট এড়ানো সম্ভব।
যানজট এড়াতে সড়ক বিভাগের যত পরিকল্পনা : এয়ারপোর্ট থেকে টঙ্গী ও গাজীপুর পর্যন্ত সড়কে ভোগান্তি কমাতে পদক্ষেপ নিতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, ঢাকা ও গাজীপুরের ডিসি, এসপিসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিতে যাচ্ছে সড়ক বিভাগ। ঢাকা ও আশপাশের জেলায় চলাচলকারী লোকাল বাস যাতে দূরপাল্লার রুটে যাতায়াত না করে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তৎপর থাকতে বলা হচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তার ওপর ধান, খড় ও কাঠ শুকাতে না দেয়, তা মনিটরিং করতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পোশাককর্মীদের পর্যায়ক্রমে ছুটি দিতে মালিকদের অনুরোধ জানিয়েছে এ মন্ত্রণালয়। টোলের টাকা আগ থেকেই খুচরা করে নিয়ে যেতে পরিবহণসংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়ে প্রচারণা চালাবে বিআরটিএ। পাশাপাশি বিআরটিসি দেশের বিভিন্ন রুটে বিশেষ বাস সার্ভিস চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে টিকিট বিক্রি শুরু করেছে।
বিআরটি প্রকল্পের কচ্ছপ গতিতে বাড়ছে যাটজট : টঙ্গী পূর্ব (গাজীপুর) প্রতিনিধি জানান, গাজীপুরের টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলমান বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত এক যুগেও শেষ হয়নি প্রকল্পের কাজ। পরপর দুবার মেয়াদ বৃদ্ধি করেও প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেনি। ঈদ সামনে রেখে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গসহ ২৩ জেলায় যাতায়াতকারী যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হবেন-এমন আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
সরেজমিন মঙ্গলবার দুপুরে ঘুরে দেখা যায়, টঙ্গীবাজার, কামারপাড়া-টঙ্গী সংযোগ সড়কের টঙ্গী অংশে, স্টেশনরোড, মিলগেট, চেরাগআলী, কলেজগেটের বিভিন্ন স্থানে চলছে বিআরটি প্রকল্পের কাজ। দীর্ঘ প্রায় এক যুগেও বিআরটি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। ২০১২ সালে বিআরটি প্রকল্পের কাজ পাশ হওয়ার পর ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২০১৬ সালে কাজ শেষ করতে না পারায় মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০২২ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু ২০২২ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় ফের মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে বলে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। এদিকে ঢাকা ও গাজীপুর জেলার সংযোগ সেতু টঙ্গী ব্রিজ। ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গসহ ২৩ জেলার মানুষের প্রতিনিয়ত ঢল নামে এই পথে। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে বিআরটি প্রকল্পের কাজ করায় মহাসড়ক সরু রাস্তায় পরিণত হয়েছে। টঙ্গী ব্রিজ থেকে টঙ্গী-কামারপাড়া রোড পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার জরাজীর্ণ ও খানাখন্দে ভরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঈদযাত্রায় প্রতিবছরের মতো এবারও দীর্ঘ যানজটে নাকাল হতে হবে যাত্রীসাধারণকে। তবে মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রীবাহী বাসের চালকদের আশঙ্কা-ঈদের আগে মহাসড়কে যান চলাচল বাড়বে, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা এবং বৃষ্টি হলে ঈদযাত্রায় এ মহাসড়কে ভোগান্তি বাড়বে।
ঢাকা থেকে শেরপুরগামী আলম এশিয়া বাসের চালক আলামিন বলেন, ঈদের সময়ও বিআরটি প্রকল্পের কাজ চালু থাকলে দীর্ঘ যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হবে আমাদের।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক দক্ষিণ) চৌধুরী মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ঈদ সামনে রেখে মহাসড়কে যাতে কোনো প্রকার যানজটের সৃষ্টি না হয়, সেদিকে কড়া নজরদারি করা হবে। তবে বৃষ্টি হলে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। তারপরও আমরা চেষ্টা করব যাতে ঈদে ঘরমুখী মানুষের কোনো ভোগান্তি না হয়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের পরিচালক মাহিরুল ইসলাম খান বলেন, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিআরটি প্রকল্প পাশ হলেও বিভিন্ন কারনে সময়মতো প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে ঠিকাদারদের ম্যাপসহ আনুষঙ্গিক কাজ বুঝিয়ে দিতে দুই-আড়াই বছর সময় লেগেছে। এছাড়াও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুপাশ দিয়ে ডেসকো, ওয়াসা, তিতাস ও বিটিসিএল-এর লাইন জালের মতো ছড়িয়ে থাকায় এবং এর কোনো সুনির্দিষ্ট ম্যাপ না থাকায় বারবার কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে।
প্রকল্পের কাজ দেরি হওয়ার এটাও একটা বড় কারণ। তারপরও আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি কাজ সম্পন্ন করার। প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে। আপতত যানচলাচলের সড়কে কোনো কাজ নেই। তবে টঙ্গী ব্রিজ থেকে কলেজগেট পর্যন্ত উড়ালসড়কের ওপর ও নিচে টুকটাক কাজ রয়েছে। ঈদের আগেই উত্তরা হাউজবিল্ডিং থেকে টঙ্গী কলেজগেট পর্যন্ত ২.৩ কিলোমিটার উড়ালসড়ক খুলে দেওয়া হবে। উড়ালসড়কের দায়িত্ব ট্রাফিক পুলিশের হাতে থাকবে। তারা প্রয়োজন মনে করলে উড়াল সড়কের ওপর দিয়ে যাত্রীবাহী যান চলাচলের অনুমতি দেবে। অন্যথায় উড়ালসড়ক দিয়ে জরুরি প্রয়োজনে পুলিশ, বিআরটি প্রকল্পের গাড়ি, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি চলাচল করতে পারবে।