উন্নয়ন গর্বিত করলেও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় তা হয়নি: ড. ইফতেখারুজ্জামান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ড. ইফতেখারুজ্জামান
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে আমরা প্রশংসিত হয়েছি। এটা আমাদের গর্বিত করে।
আমাদের মাথাপিছু আয়, গড় প্রবৃদ্ধির বার্ষিকীর হারও প্রশংসিতভাবে বেড়েছে। উন্নয়নে যেমন অগ্রগতি অর্জন করতে পেরেছি, তেমনি গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও সুশাসনের ক্ষেত্রে তা পারিনি।
মঙ্গলবার রাতে যুগান্তরের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমাদের দেশের রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যায় বৃহৎ দুটি দলের বিপরীতমুখী দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক।
এদের জাঁতাকলে পড়ে দেশে এখন ক্ষমতার রাজনীতি চাপানো হয়েছে। ক্ষমতার রাজনীতির একচ্ছত্র ভুবন তৈরি করার প্রয়াস উভয় পক্ষই করে যাচ্ছে। ফলে এটার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে এবং গণতান্ত্রিক চর্চার ওপর।
বিশেষ করে মৌলিক গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কার্যকারিতা হারিয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হওয়ার বিপরীতে সরকারি বা ক্ষমতাসীন দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের সময় অধিকতর প্ররোচিত দেখা যায়। ফলে আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি সুশাসন ও গণতন্ত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত আন্তর্জাতিক যত সূচক রয়েছে তার প্রতিটা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান আমাদের উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
উন্নয়নে যেমন প্রশংসিত অগ্রগতি অর্জন করতে পেরেছি, তেমনি গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও সুশাসনের ক্ষেত্রে তা পারিনি। এর পাশাপাশি মানুষের মৌলিক অধিকারের জায়গাগুলো, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন, বাক-স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা-এসব ক্ষেত্রে আগের তুলনায় এক ধরনের ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
উন্নয়ন প্রসঙ্গে ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, আমাদের উন্নয়নের পেছনেও রয়েছে বৈষম্য। প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে, বেড়েছে আয় বৈষম্য। সাধারণ মানুষের জন্য উন্নয়নটা অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়েছে কিনা সেটা বলতে পারব না।