পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রী
উন্নয়নের জন্য নিজম্ব তহবিল সংগ্রহ করুন
বাসস
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাদের নিজস্ব উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কর্মসূচির জন্য সাবেক ছাত্র সমিতির (অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন) মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সাবেক ছাত্র সমিতি আছে। এর মাধ্যমে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তাদের নিজস্ব তহবিল তৈরি করতে পারে।
বৃহস্পতিবার গণভবনে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরদের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই আহ্বান জানান।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দেশের উন্নয়নে সময়ের উপযোগী মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী এবং তাদের একটু সুযোগ দিলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে বিদেশ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে আসতে পারবে। শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত মানবসম্পদ হিসাবে গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আরও দায়িত্বশীল ও মনোযোগী হতে হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করতে হবে যাতে তারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থাকে। এ লক্ষ্যে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই।
একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করেছে। দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করেছে।
তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে সরকার গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লেখাপড়া করে চাকরির পেছনে না ছুটে তরুণরা যাতে উদ্যোক্তা হতে পারে এবং অন্যদের চাকরি দিতে পারে, সেজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, দেশে শিক্ষার হার ও মান বৃদ্ধি পায়। আমরা শিক্ষা, গবেষণা, উৎপাদন ও উৎকর্ষের পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে। জয় ইয়ং বাংলা ও সিআরআই-এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে স্বাবলম্বী হতে উৎসাহিত করছেন। দেশের উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০৪১ সালে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব আমরা।
সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ক্রমে এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।