এ সময়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও করণীয়
ডা. হাসনা হোসেন আঁখি
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
এ সময়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও করণীয়
বর্ষাকাল শেষ হয়েছে। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় পানি সাধারণত ময়লা ও দূষিত হয়। এ পানির মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের জীবাণু সহজেই আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
* পানিবাহিত রোগ
▶ ডায়রিয়া : বিশুদ্ধ পানির অভাব এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব ঘটে। ডায়রিয়া একটি গুরুতর রোগ, যা শরীরের পানিশূন্যতা ঘটিয়ে প্রাণহানি ঘটাতে পারে।
▶ কলেরা : ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত রোগটি দূষিত পানি ও খাদ্যের মাধ্যমে ছড়ায়। কলেরার কারণে তীব্র ডায়রিয়া ও বমি হয়, দ্রুত চিকিৎসা না করলে জীবন সংকটাপন্ন হতে পারে।
▶ জন্ডিস (হেপাটাইটিস এ) : দূষিত পানির মাধ্যমে এ ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে এবং যকৃৎকে আক্রমণ করে। ফলে চোখ ও ত্বক হলুদ হয়ে যায় এবং শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
▶ টাইফয়েড : টাইফয়েডের জীবাণু সাধারণত দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। টাইফয়েড জ্বর দীর্ঘস্থায়ী। এর ফলে মাথাব্যথা এবং পেটে ব্যথা হয়।
* ত্বকের সংক্রমণ ও চর্মরোগ
বন্যার পানিতে দীর্ঘক্ষণ ভিজে থাকার কারণে ত্বকে নানা ধরনের সংক্রমণ হতে পারে। বিশেষ করে, পায়ে চর্মরোগ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এছাড়া খোস-পাঁচড়া, ফোসকা পড়া এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ারও ঝুঁকি থাকে।
* শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা
বন্যার পানিতে ভেজা ও ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
* মশাবাহিত রোগ
পানি জমে থাকা জায়গাগুলোতে মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াসহ সব রোগ সংক্রমণ দেখা যায়।
* করণীয়
▶ বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। পানি ফুটিয়ে অথবা হ্যালোজেন ট্যাবলেট ব্যবহার করতে হবে।
▶ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সঠিক রাখতে হবে।
▶ যথাসম্ভব উষ্ণ জায়গায় থাকতে হবে।
▶ মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে।
▶ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
▶ মানসিকভাবে দৃঢ়তা থাকা ও সব পরিস্থিতি সাহস নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।
লেখক : ফটিলিটি কনসালট্যান্ট ও গাইনোকোলজিস্ট হার্টবিট ফার্টিলিটি ক্লিনিক, গ্রীন রোড ঢাকা।