
প্রিন্ট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২০ পিএম

সম্পাদকীয়
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
ঈদুল ফিতরের টানা কয়েকদিনের ছুটি শেষে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অফিস গতকাল রোববার খুলেছে। গত কয়েকদিন সড়ক-নৌ ও রেলপথে ছিল ঢাকামুখী লাখ লাখ মানুষের ঢল। বড় ধরনের কোনো ভোগান্তি ছাড়াই এবার নির্বিঘ্নে ফিরছেন বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। অতীতে লক্ষ করা গেছে, ঈদযাত্রায় যানজটের কারণে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় মহাসড়কে আটকে থাকতে হয়েছে। এবার তেমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। সড়ক, নৌ ও রেলপথে ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরেছেন মানুষ। অবশ্য দুর্ভোগ বাড়তে পারে এমন শঙ্কায় বহু মানুষ আগেভাগেই রাজধানী ছেড়েছিলেন। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে নির্বিঘ্নে মানুষ রাজধানীসহ নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরছেন। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা কর্মস্থলে ফিরলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও কয়েকদিন বন্ধ থাকায় পরিবারের অন্য সদস্যরা চলতি সপ্তাহে ধীরে-সুস্থে ফিরবেন। এজন্য পুরো সপ্তাহজুড়ে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ অব্যাহত থাকবে। বাস স্টপেজ, রেলস্টেশন ও লঞ্চঘাটে রাজধানীফেরত যাত্রীদের চাপ থাকলেও রাজধানীর প্রধান সড়ক থেকে অলিগলিতে এখন চিরচেনা যানজট নেই।
লঞ্চঘাটে গত কয়েকদিন ধরে লাখো মানুষকে ঢাকায় ফিরতে দেখা গেছে। অতিরিক্ত ভাড়া ছাড়া লঞ্চে তেমন কোনো ভোগান্তি ছিল না। তবে লঞ্চঘাট থেকে বেরিয়ে যাত্রীরা পড়েন চরম ভোগান্তিতে। কেননা, সেখানে পরিবহণের জটলা ছিল। আর গাবতলী-সায়েদাবাদ-মহাখালী এবং বাসের অন্যান্য পয়েন্টেও ঢাকার বাইরে থেকে আসা বাসের যাত্রীরা জানিয়েছেন, সড়ক-মহাসড়কে কোনো যানজট নেই। নির্বিঘ্নে তারা ফিরেছেন। তবে সড়ক দুর্ঘটনার কথা চিন্তা করে আতঙ্কের অনুভূতি নিয়েই মানুষ কর্মস্থলে ফিরছেন।
এদিকে রাজধানীতে ফেরার পর যাত্রীদের অন্যরকম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরেই রাজধানীতে চলাচলকারী বিভিন্ন কোম্পানির বাসের সংখ্যা ছিল তুলনামূলক খুবই কম। এ কারণে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। এ সুযোগে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করেছে। দুর্ভোগের শিকার যাত্রীদের প্রশ্ন, রাজধানীতে পরিবহণ খাতের এ বিশৃঙ্খলা আর কতকাল চলবে? মধ্যরাতে একজন যাত্রীকে যখন দীর্ঘ সময় আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, স্বাভাবিকভাবেই তখন তিনি নিরাপত্তার কথা ভেবে আতঙ্কিত হন। কিছু দুর্বৃত্ত এ সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। যাত্রীরা পরিবহণ ব্যবসায়ীদের কাছে কতটা জিম্মি, গত কয়েকদিনে রাজধানীফেরত যাত্রীদের কাছে তা আবারও স্পষ্ট হলো। প্রশ্ন হলো, এসব যাদের দেখার কথা, তারা কী করেন? এসব সমস্যার কথা অতীতে বহুবার আলেচিত হয়েছে। আমরা আশা করব, এসব সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।