Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

বিদেশি কর্মীদের কর ফাঁকি

রোধ করতে হবে

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বিদেশি কর্মীদের কর ফাঁকি

বাংলাদেশে বিপুলসংখ্যক বিদেশি নাগরিক কর্মরত থাকলেও তাদের অনেকেরই কাজের অনুমতি নেই। আবার অনেক বিদেশি কর্মী যথাযথ নিয়ম মেনে কর দিচ্ছেন না। বস্তুত দেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের কর ফাঁকি এবং বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচারের বিষয়টি বহুল আলোচিত।

তারপরও যেসব বিদেশি কর্মী কর ফাঁকি দিচ্ছেন, তাদের কেন চিহ্নিত করা হয়নি এবং আইনের আওতায় আনা হয়নি, তা খতিয়ে দেখা দরকার। বিদেশি কর্মীদের কারণে স্থানীয়দের কাজের সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে। কাজেই কোনো বিদেশি কর্মী যাতে কর ফাঁকি দিতে না পারে, তা নিশ্চিত করা দরকার। দেশে ২৭৪টি বিদেশি এনজিও কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব এনজিওর কান্ট্রি হেড বা কান্ট্রি ডিরেক্টররা বিদেশি নাগরিক।

এ ধরনের এনজিওগুলোর প্রধানরা আয়কর বিভাগে যেসব তথ্য প্রদর্শন করছেন, প্রকৃত তথ্যের সঙ্গে তার কোনো গরমিল আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা দরকার। জানা যায়, শুধু এনজিওকর্মীরাই নন, বেসরকারি খাতে কর্মরত বিদেশিরাও একই কায়দায় কর ফাঁকি ও অর্থ পাচার করছেন। চলতি বছরের এপ্রিলে একটি বিদেশি কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীর বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশের বিশেষ ব্রাঞ্চ।

বাংলাদেশে কর্মরত যেসব বিদেশি নাগরিক ঠিকমতো আয়কর দেন না, তাদের চিহ্নিত করতে অভিযান পরিচালনার কথা অতীতে আলোচনায় এলেও এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানা যায়নি। বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্যাটাগরির বিপুলসংখ্যক বিদেশি নাগরিক কর্মরত থাকলেও তাদের মধ্যে স্বল্পসংখ্যক নাগরিকের কাজ করার বৈধ অনুমতি আছে। যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়, তারা যাতে অবৈধভাবে এ দেশে কাজ করার সুযোগ না পান, তা-ও নিশ্চিত করা দরকার।

অভিযোগ রয়েছে, বহু বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে ট্যুরিস্ট ভিসা ব্যবহার করেন। এরপর অনেকে বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। এ ধরনের অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে কেউ যাতে পার পেতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। অনেক প্রতিষ্ঠান বিদেশিদের নিয়োগ দিয়ে তাদের বেতনভাতা গোপন রাখে। এর মাধ্যমে শুধু কর ফাঁকি নয়, বিদেশিদের অর্থ পাচারেও সহযোগিতা করা হয়।

এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাই। বিদেশিদের কর ফাঁকির সুযোগ করে দেওয়ার বিষয়টি নিন্দনীয়। যারা বিদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে এদেশে কাজ করায় সুযোগ করে দিচ্ছেন, তাদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা দরকার।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম