Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

এডিস-কিউলেক্স মশার উপদ্রব

নিধনে জোরালো উদ্যোগ নিতে হবে

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

এডিস-কিউলেক্স মশার উপদ্রব

মানুষ যখন ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উৎপাত নিয়ে উদ্বিগ্ন, এমন সময় রাজধানীতে কিউলেক্স মশার উপদ্রব বৃদ্ধির ফলে রাজধানীবাসীর উদ্বেগ আরও বেড়েছে। বর্তমানে প্রকৃতিতে শীতের আমেজ বিরাজ করছে। এ আবহাওয়ায় এডিস মশা প্রজনন শূন্যে নামার কথা থাকলেও ডেঙ্গু আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখনো দৈনিক গড়ে চার থেকে পাঁচজন মানুষ মারা যাচ্ছে। পাশাপাশি ঘরে-বাইরে উপদ্রব বেড়েছে কিউলেক্স মশার। এডিস-কিউলেক্স-এ দুই মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ নগরবাসী। জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বছরজুড়ে বিস্তৃত হয়েছে। মশক নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এডিস মশার ঘনত্ব বাড়ছে। রাজধানীতে এডিস-কিউলেক্সের দাপট বাড়লেও মশা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ঢাকার দুই সিটির কার্যক্রমে কোনো গতি নেই বলে মনে করছেন ভুক্তভোগী ও কীটতত্ত্ববিদরা।

অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত কিউলেক্সের প্রজনন বাড়তে থাকে। সে হিসাবে এখন কিউলেক্স মশার প্রজনন মৌসুম চলছে। নগরজুড়ে কিউলেক্স মশার উপদ্রবে মানুষ চরম বিরক্তির মধ্যে রয়েছে। কিউলেক্স মশার ৯৫ শতাংশ প্রজননের উৎস ডোবা, নালা ও জলাশয়। এসবের বেশির ভাগের মালিকানা সরকারি সংস্থা। বস্তুত ঢাকায় দুই সিটি করপোরেশন ও ঢাকা ওয়াসার বদ্ধ নর্দমা, খাল, ডোবা ও নদী কিউলেক্স মশার প্রজননের বড় উৎস। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদের দূষিত পানিতেও বিপুলসংখ্যক কিউলেক্স মশার প্রজনন ঘটছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সিটি করপোরেশন কিউলেক্স নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। এডিস মশা ডেঙ্গুর বাহক হওয়ায় মানুষ অতি সতর্ক থাকে। কিন্তু কিউলেক্সের ব্যাপারে তারা অনেকটাই উদাসীন। অথচ মশার এ প্রজাতি বিভিন্ন রোগের জীবাণু বহন করে। মানুষকে রোগ-ব্যাধি ও অস্বস্তি থেকে মুক্তি দিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশেষ পদক্ষেপ প্রয়োজন। মশক নিধনে দুই সিটি করপোরেশনকে জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। কীটতত্ত্ববিদের মতে, মশা নিয়ন্ত্রণ একটি বিজ্ঞানভিত্তিক কাজ। প্রজনন মৌসুম বুঝে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু দুই সিটির কার্যক্রমে তার বড় ঘাটতি রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের বাইরে গিয়ে লোকদেখানো কর্মসূচি পালন করলে এক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না। বস্তুত মশক নিধনের কাজটি বছরজুড়ে করা না হলে এর সুফল পাওয়া যায় না।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম