এমসিসির অনুদান মিলছে না
স্কোরের কেন এ হাল?
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
গত ৭ নভেম্বর ‘বাংলাদেশ স্কোর বোর্ড-২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ করপোরেশন (এমসিসি)। এ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ ফান্ডের অনুদান এবারও পাচ্ছে না বাংলাদেশ। কারণ এ ফান্ড পাওয়ার জন্য যেসব স্কোরের গ্রিন জোনে থাকা দরকার, সেগুলোর অধিকাংশই এখনো রয়েছে রেড জোনে। রেড জোনে থাকা গতবারের ১৭টি সূচকের কোনো উন্নতি হয়নি এখনো। বড় দুঃসংবাদ হলো, ২০টি স্কোরের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সব দেশের রেড জোনে থাকা সূচকের সংখ্যা বাংলাদেশের সংখ্যার চেয়ে কম। এমনকি রেড জোনে থাকা পাকিস্তানের স্কোর ১১। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে মূল্যায়ন করা মোট ২০টি সূচকের মধ্যে বাংলাদেশের ১৬টি সূচক ছিল রেড জোনে। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ৭ হলেও এখন তা ১৭।
বাংলাদেশের কেন এ অবস্থা? বলাবলি হচ্ছে, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) পক্ষ থেকে অনেক চেষ্টা করা হলেও পরিস্থিতির উন্নতি না দেখে এ বিভাগ এখন হাল ছেড়ে দিয়েছে। অথচ এমসিসির অনুদানই বড় কথা নয়, বাংলাদেশের ভাবমূর্তির প্রশ্নও রয়েছে এক্ষেত্রে। অবাক কাণ্ড, ইআরডির সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী শফিকুল আযম বলছেন, স্কোরের উন্নতিতে ইআরডির তেমন কিছু করার থাকে না। বিষয়টি নাকি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত! পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর তিনি দায়িত্ব চাপাতে চান। তার কথাটা অবশ্য একদিক থেকে ঠিকই বলা যায়। কারণ দেশে সুশাসনের অভাব রয়েছে এবং সুশাসনের সঙ্গে রাজনীতির চরিত্র সম্পর্কিত।
এমসিসির স্কোরের সঙ্গে যদি রাজনীতির সম্পর্ক থাকে, সেক্ষেত্রে বর্তমানে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ চালাচ্ছে, এ সরকারের উচিত সুশাসন নিশ্চিত করে নিম্নগামী স্কোরের উন্নতি ঘটানো। লাল তালিকায় থাকা স্কোরগুলো গভীরভাবে পর্যালোচনা করে দেখতে হবে সেগুলো কেন লাল। আবার এমন প্রশ্নও রয়েছে, যেসব স্কোর রেড জোনে রয়েছে, সেগুলোর যথাযথ মূল্যায়ন হয়েছে কিনা। যদি তাই হয়, তাহলে এমসিসির সঙ্গে আলোচনায় বসা যেতে পারে। আমেরিকায় নতুন সরকার এসেছে, বাংলাদেশেও তা-ই। আমেরিকার নতুন সরকার অভিষিক্ত হওয়ার পর আমরা সেই সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যাচাই করতে পারি মূল্যায়নগুলো কতটা সঠিক। সবচেয়ে বড় কথা, সূচকগুলোর উন্নতি ঘটাতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আন্তরিকতার কোনো বিকল্প নেই। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অবস্থার মধ্যে এমসিসির অনুদান খুব দরকার আমাদের। একইসঙ্গে দেশের ভাবমূর্তি উদ্ধারের প্রশ্ন তো রয়েছেই।