Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

ব্যাংক লুটের মহাযজ্ঞ

এ আমলেও কি দুদক নিশ্চুপ থাকবে?

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ব্যাংক লুটের মহাযজ্ঞ

গত ১৬ বছরে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোপাট করা হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। লোপাটকারীদের তালিকায় রয়েছেন প্রভাবশালী বহু ব্যক্তি ও বড় বড় প্রতিষ্ঠান। ঋণের নামে অর্থ ব্যাংক থেকে সরিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং এ অর্থের বড় অংশ পাচার করা হয়েছে বিভিন্ন দেশে। কয়েকটি ব্যাংকের অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের পৃথক অভিযোগ অনুসন্ধান করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে তিনটি ঘটনায় দায়সারা মামলা হলেও জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়নি। বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে পারেনি সংস্থাটি। আর্থিক খাতের সবচেয়ে বড় লোপাটকারীর বিরুদ্ধে গত দেড় দশকে দুদক কী অনুসন্ধান করেছে এটা এক প্রশ্ন।

আওয়ামী লীগ আমলে তিনটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ‘বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো’ স্টাইলে মামলা হয়েছে। আলোচিত বেশকটি অভিযোগ অনুসন্ধানের নামে ঝুলে আছে বছরের পর বছর। ব্যাংক লোপাটের অনেক খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পরও গত ১৬ বছরে তা অনুসন্ধানে আগ্রহ না দেখানো দুঃখজনক। এখনো দুদকের মনোভাবের পরিবর্তন দৃশ্যমান নয়। অভিযোগ রয়েছে, কখন কাকে সরিয়ে দেওয়া হয় সেই ভাবনা থেকে ‘রুটিন ওয়ার্কে’ দিন পার করছে কমিশন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘দুদকের কাজ সব সময়ই দায়সারা ও লোকদেখানো। ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে দুদক কিছু করতে পারে না বা করার সৎ সাহস দেখায় না-সাধারণ মানুষ, গণমাধ্যম ও আমাদের এ ধারণা পটপরিবর্তনের পর দুদক নিজেই বিভিন্ন আঙ্গিকে প্রমাণ করছে।’ পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে দুদক, সিআইডি, বিএফআইইউ ও অ্যার্টনি জেনারেল অফিসের সমন্বিত প্রক্রিয়া এখনই শুরু করা উচিত। এক্ষেত্রে দেশবাসী দুদককে যথাযথ ভূমিকায় দেখতে চায়। জানা যায়, ব্যাংক খাতের ঘুস-দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের ঘটনা অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা করে থাকে দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান দুদক। কিন্তু বিগত দিনে সরকারের সদিচ্ছার অভাব ও প্রভাবশালীদের চাপে এ কাজে কমিশন খুব বেশি আগ্রহ দেখায়নি। এখন যেহেতু চাপ নেই, দুদকের কাজে সাফল্য আসবে, এটাই প্রত্যাশা।

আমরা চাই, দুর্নীতি দমনে সুষ্ঠু ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করুক দুদক। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সফল হতে হলে দুদককে যথার্থই স্বাধীন ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারকেও সদিচ্ছার প্রমাণ দিতে হবে। দুদককে শক্তিশালী করার ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার এগিয়ে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম