Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

প্রধান বিচারপতির ১২ নির্দেশনা

সব সেবা প্রতিষ্ঠানেই প্রতিপালন হোক

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

প্রধান বিচারপতির ১২ নির্দেশনা

সহজভাবে জনগণকে সেবা দেওয়া এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এ নির্দেশনাগুলো নোটিশ আকারে জারি করেছে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন। নির্দেশনাগুলো হলো : দায়িত্ব পালনে কোড অব কন্ডাক্ট যথাযথভাবে পালন করা, কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন সম্পূর্ণভাবে বর্জন করা, সেবাগ্রহীতাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেবা নিশ্চিত করা, দ্রুত সেবা প্রদান ও সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি না করা, সুপ্রিমকোর্টের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে সহানুভূতিশীল আচরণ করা, প্রতিটি শাখায় প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন সম্পন্ন করা, প্রত্যেক শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার ও ডেপুটি রেজিস্ট্রারদের দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখাগুলোয় প্রতিদিন মনিটর করা এবং কার্যক্রম সম্পর্কে স্ব স্ব অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারদের নিয়মিত অবহিত করা, প্রতি মাসে মনিটরিং কার্যক্রমের প্রতিক্রিয়া ও ফলাফল আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের কাছে রিপোর্ট করা, সেবাগ্রহীতাকে হয়রানি বা আর্থিক লেনদেন করলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

সংস্কারের অংশ হিসাবে প্রধান বিচারপতির এসব নির্দেশনা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কাজে দেবে, সন্দেহ নেই। আমরা আশা করব, এসব নির্দেশনা পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে সবাই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবেন। শুধু বিচার বিভাগের ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য বিভাগেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের প্রয়োজন রয়েছে। সেবা পাওয়া যে জনগণের অধিকার, এ ব্যাপারে সবারই সচেতন হওয়া প্রয়োজন। প্রশাসনিক শৃঙ্খলা নিশ্চিতের কথাও ভুলে গেলে চলবে না। প্রশাসনিক নৈরাজ্যের কারণে কোনো প্রতিষ্ঠানেই স্বাভাবিক কার্যক্রম যেন ব্যাহত না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে।

আমাদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। শুধু বিচারিক ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য নাগরিক সেবা পেতেও পদে পদে হয়রানি, দায়িত্বশীলদের উদাসীনতা, উৎকোচ ছাড়া কাজ না হওয়ার অসংখ্য নজির রয়েছে। ফলে সেবাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে জনমনে যে অনাগ্রহ, হয়রানির শঙ্কা রয়েছে, তা দূর করতে সব বিভাগকে নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে সংস্কারে উদ্যোগী হতে হবে। আবার শুধু সংস্কারের পরামর্শ বা বিধিবিধান প্রণয়ন করলেই হবে না, তা পালনেও সচেষ্ট হতে হবে। একইসঙ্গে যারা সেবাগ্রহীতা, তাদেরও সংযত আচার-ব্যবহার ও স্বীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। সব বিভাগে সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সেবাদাতা ও গ্রহীতার মধ্যকার দূরত্বের অবসান ঘটবে, এটাই প্রত্যাশা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম