Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

গার্মেন্টশিল্পে অস্থিরতা

ইন্ধনদাতাদের খুঁজে বের করতে হবে

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

গার্মেন্টশিল্পে অস্থিরতা

গত কয়েকদিন ধরে দেশের গার্মেন্টশিল্প ঘিরে যে ধরনের অসন্তোষ চলছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শ্রমিক অসন্তোষের জেরে বুধবারও গাজীপুর, আশুলিয়া ও সাভার এলাকায় শিল্পকারখানা বন্ধ ছিল। কয়েকটি কারখানায় ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।

জানা যায়, এসব অসন্তোষের নেপথ্যে বহিরাগতদের ইন্ধন রয়েছে। বিজিএমইএ সভাপতি বলেছেন, কারখানার অভ্যন্তরীণ সমস্যা খুবই কম, বহিরাগতরা বিক্ষোভ করছে, ভাঙচুর চালাচ্ছে। যারা শিল্পকারখানায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা দরকার। শিল্পাঞ্চলের অস্থিরতা নিরসনে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বস্তুত দেশের অর্থনীতি যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খুঁটির উপর দাঁড়িয়ে আছে, তার অন্যতম হলো গার্মেন্টশিল্প। কাজেই এ শিল্পের স্বাভাবিক পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে যা যা করণীয়, তার সবই সরকারকে করতে হবে। যেহেতু শ্রমিক অসন্তোষের নেপথ্যে বহিরাগতদের ইন্ধনের অভিযোগ উঠেছে, সেহেতু এ বিষয়ে ইন্ধনদাতাদের দ্রুত খুঁজে বের করে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

কোটা সংস্কার এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় দেশে ব্যাপক নাশকতা হয়েছে। সেসময়ও গার্মেন্টশিল্প খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তখন দেশের গার্মেন্ট কারখানাগুলো বন্ধ থাকার কারণে প্রতিদিনই বিপুল অঙ্কের অর্থের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া আন্দোলন চলাকালে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকার কারণেও এ খাতে প্রতিদিন বিপুল অঙ্কের অর্থের ক্ষতি হয়েছে।

ওইসব ক্ষতি কাটিয়ে উঠে গার্মেন্টশিল্প যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল, তখনই আবার এ শিল্পে অসন্তোষ শুরু হয়। বিক্ষোভ ও হামলার কারণে বুধবার সব মিলে প্রায় দুশ শিল্পকারখানায় বন্ধ ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আশ্বাসে বৃহস্পতিবার থেকে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা যায়, বেতন বৈষম্য দূরীকরণসহ অন্যান্য দাবিতেও সম্প্রতি গাজীপুরের বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন।

গাজীপুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করায় বৃহস্পতিবার খুলে দেওয়া হয়েছে গার্মেন্ট কারখানাসহ সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান। কারখানা এলাকার নিরাপত্তায় শিল্প পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। টহলে রয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরাও। বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় দলে দলে শ্রমিকদের কারখানায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনের শ্রমিক অসন্তোষ, বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন ঘটনায় গাজীপুরের উল্লখযোগ্যসংখ্যক পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ। দেশের গার্মেন্টশিল্পে অসন্তোষের নেপথ্যে বারবার ষড়যন্ত্রের অভিযোগও ওঠে। কাজেই এসব বিষয়েও কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে। রিজার্ভ সংকটের এ সময়ে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানার স্বাভাবিক পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে যে কোনো উপায়ে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম