Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

উপেক্ষিত উচ্চ আদালতের নির্দেশনা

গ্রেফতার বাণিজ্যই কি উদ্দেশ্য?

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

উপেক্ষিত উচ্চ আদালতের নির্দেশনা

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার পর থেকেই ব্যাপক ধরপাকড়ের অভিযোগ উঠেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, চলমান আন্দোলনে অংশ নেননি এমন ব্যক্তিকে যেমন ধরা হচ্ছে, তেমনি স্কুল-কলেজ পড়ুয়া সাধারণ শিক্ষার্থীকেও ধরা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগীদের স্বজন ও আইনজীবীরা গত কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন, গ্রেফতার ও রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মানছেন না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গ্রেফতারের পর আদালতে তোলার আগে এবং রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে নির্যাতন করা হচ্ছে। তবে পুলিশ ও সরকারি কৌঁসুলিরা বলছেন, আইন ও আদালতের নির্দেশনা মেনেই আটক ও রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত একজন গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছেন, তাকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। আঘাতের কারণে তার দুই কাঁধ ও পায়ে রক্ত জমাট বেঁধে আছে। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এক নারী বলেছেন, ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ৩টার দিকে তার স্বামীকে তুলে নেওয়ার ৩৯ ঘণ্টা পর আদালতে তোলা হয়। ওই ব্যক্তির আইনজীবীরাও (গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে) নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। কয়েকজন ভুক্তভোগীর আইনজীবী ও স্বজনরা জানিয়েছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ যাকে সামনে পাচ্ছে তাকেই ধরছে। পরবর্তী সময়ে নাশকতা ও ভাঙচুরের বিভিন্ন মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে। অনেককে আটকের পর ২৪ ঘণ্টায় আদালতে তোলার আইন মানা হচ্ছে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে আটক বা গ্রেফতার করার কোনো নিয়ম নেই। এক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনাও রয়েছে, যা অবশ্যই মানতে হবে। কাউকে কোনো কারণে আটক করা হলে ৩ ঘণ্টার মধ্যে তার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ, সেটি জানাতে হবে। একইসঙ্গে আটক ব্যক্তির আত্মীয়স্বজন ও তার আইনজীবীকেও বিষয়টি জানাতে হবে। এছাড়া সন্দেহভাজন হিসাবে কাউকে আটকের পর শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা যাবে না, তেমনি রিমান্ডেও জিজ্ঞাসাবাদের নামে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায় করা যাবে না। সম্প্রতি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একজন ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা বলেছেন, কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারবাণিজ্যের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে শুধু প্রত্যাহারই নয়, তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, অতীতেও বারবার পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেফতারবাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছিল। আমরা মনে করি, এসব বিষয় নিখুঁতভাবে খতিয়ে দেখা দরকার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারবাণিজ্যের অভিযোগ প্রমাণিত হলে দ্রুত তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম