তীব্র দাবদাহ
সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে
সম্পাদকীয়
প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ দেশবাসী। প্রচণ্ড গরমে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন বেশ কয়েকজন। এছাড়া ডায়রিয়া থেকে পানিশূন্যতার কারণেও মৃত্যুর খবর রয়েছে। এ সময় সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখাই সমীচীন বলে মনে করছেন অভিভাবকরা। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা চতুর্থ দফা হিট অ্যালার্টের মধ্যেই রোববার খুলে দেওয়া হয় রাজধানীসহ সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যুগান্তরের খবরে প্রকাশ-এদিন অসহনীয় গরমে ঢাকার বাইরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন।
হিট স্ট্রোকে মারাও গেছেন এক শিক্ষক। চিকিৎসকরা বলছেন, এরকম তীব্র গরমের সময় সতর্ক না থাকলে শারীরিক নানা সমস্যার পাশাপাশি হিট স্ট্রোকে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। শিশু ও বয়স্কদের প্রতি তাই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতে সবাইকে পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। হাসপাতালগুলোতেও গরমজনিত রোগীর ভিড় দৃশ্যমান। আবহাওয়ার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের সব হাসপাতালকে গরমজনিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অন্যদিকে অভিভাবক ঐক্য ফোরামও তীব্র গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় প্রতিবাদ জানিয়েছে। রেকর্ড উত্তাপে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা যখন বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ দিচ্ছেন, তখন শিশুদের শিক্ষায় যাতে ব্যাঘাত না ঘটে এ যুক্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সুযোগ নেই।
একথা সত্যি, রোজার মাস ও ঈদের ছুটিতে পাঠ প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটেছে। তবে জরুরি পরিস্থিতিতে সময়োপযোগী সিদ্ধান্তই কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমরা আশা করি। যেমনটা দেখা গেছে করোনা অতিমারির সময়ে। অবশ্য বাস্তবতা মেনে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতির বিষয়ে শিথিলতা প্রদর্শন করেছেন, যা সাধুবাদযোগ্য। শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কঠোর হওয়া যেতেই পারে। তবে ভুলে গেলে চলবে না, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা থাকলে তবেই পাঠ প্রক্রিয়া সফলভাবে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।