Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

পবিত্র শবেবরাত: মানবজাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পবিত্র শবেবরাত: মানবজাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক

আজ পবিত্র শবেবরাত, যা সৌভাগ্যের রজনি নামে পরিচিত। মুসলমানদের কাছে ১৪ শাবান দিবাগত রাত অত্যন্ত বরকতময় ও মহিমান্বিত বলে বিবেচিত।

মহান রাব্বুল আলামিন মানবজাতির জন্য তাঁর অসীম রহমতের দরজা খুলে দেন এ রাতে। শাবান মাসের পরই কৃচ্ছ্রসাধনের মাস রমজান আসে জীবনের সব কালিমা দূর করার ফজিলত নিয়ে। শাবানকে বলা হয়ে থাকে রমজানের প্রস্তুতির মাসও। শবেবরাত তাই মুসলমানদের জানান দিয়ে যায় দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনার জন্য প্রস্তুত হওয়ার কথা।

এ রাতে মানবসমাজ তথা বিশ্বের সব সৃষ্টির ভাগ্য নির্ধারণ করেন আল্লাহতায়ালা। তিনি মানুষের জীবন-মৃত্যুর দিনক্ষণ নির্ধারণ এবং রুজি-রোজগার বণ্টন করেন। নাজিল করেন বান্দার প্রতি অশেষ রহমত। বান্দাদের আকুতি, আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণেরও রাত এটি। আল্লাহতায়ালা ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং বিপদগ্রস্তদের দেখান উত্তরণের পথ। এজন্যই মুসলমানদের কাছে শবেবরাত বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

মুসলমানরা যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় শবেবরাত পালনের জন্য প্রস্তুত হন প্রতিবছর। ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে নেওয়া হয়ে থাকে নানা কর্মসূচি। শবেবরাতের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বর্ণিত হয় সেসব অনুষ্ঠানে এবং সংবাদপত্রে প্রকাশিত নিবন্ধে। বেতার-টেলিভিশনেও এ রাতের মহিমা প্রচার করা হয়। পবিত্র কুরআনের সুরা দুখানে বলা হয়েছে, শবেবরাত মুসলমানদের কাছে মহিমাময় এক রাত। সেই মহিমার রোশনাই জীবনে ও কর্মে অনুপ্রেরণার উৎস হিসাবে প্রয়োগের জন্যই প্রত্যেক মুসলমান এ রাতে ইবাদত-বন্দেগি করে কাটান। গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা হয় হালুয়া-রুটিসহ বিভিন্ন উপাদেয় খাদ্যসামগ্রী। ধনীদের সম্পদের ওপর যে গরিবের হক রয়েছে, তা বারবারই উচ্চারিত হয়েছে পবিত্র কুরআনে। এই পবিত্র রাতে আমরা যেন ভুলে না যাই গরিব প্রতিবেশীর কথা। তাদের প্রতি আমাদের কর্তব্য রয়েছে। ইসলাম সাম্যে বিশ্বাসী।

এদেশের মুসলমানরা ভাবগম্ভীর পরিবেশে শবেবরাত পালন করে থাকেন। তারা আজ মসজিদে, বাড়িতে নফল নামাজ আদায়, মিলাদ মাহফিল, দান-খয়রাতের মাধ্যমে মানবজাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করবেন। শবেবরাতের এই মহিমা সমুন্নত রাখতে হবে প্রতিটি ক্ষণে, যাতে কোনো অশুভ ও অকল্যাণ আমাদের স্পর্শ করতে না পারে। ইসলামের শান্তি, সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের শাশ্বত বাণীর প্রতিফলন ঘটাতে হবে চিন্তা ও কর্মে। ইসলামের শিক্ষা থেকে কখনোই যাতে আমরা বিচ্যুত না হই, সে ব্যাপারেও সদা সজাগ থাকতে হবে।

আজকের সৌভাগ্য আর রিজিক বরাদ্দের, জীবন-মৃত্যুর দিনক্ষণ নির্ধারণের রজনিতে আমরা সবরকম গোঁড়ামি ও শিরক থেকে পরিত্রাণ লাভের প্রার্থনা করব মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে। এই রাত সমগ্র জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক, এটাই সর্বান্তকরণে কামনা করি।

পবিত্র এই রজনির আলোকচ্ছটায় আমাদের অন্তর হোক উদ্ভাসিত, দূর হোক কালিমা, সমৃদ্ধি আসুক সবার ঘরে-এটাই প্রার্থনা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম