Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

ম্যানার শেখানোর নামে র‌্যাগিং

ন্যক্কারজনক এ প্রথা অবিলম্বে বন্ধ হোক

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ম্যানার শেখানোর নামে র‌্যাগিং

প্রতীকী ছবি

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় র‌্যাগিংয়ের নামে সিনিয়র শিক্ষার্থীরা নবীন শিক্ষার্থীদের নানাভাবে অত্যাচার ও হেনস্তা করে থাকে। এ প্রক্রিয়ায় গালগাল, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, এমনকি তাদের পিতামাতা ও নিজ জেলা নিয়েও নানাভাবে হয়রানি করা হয়। ইতিহাস বলে, এ ন্যক্কারজনক প্রক্রিয়া কখনো কখনো প্রাণহানির কারণও হয়ে দাঁড়ায়। ফলে নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য বিষয়টি আতঙ্কের, অভিভাবকদের জন্য যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এর মাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। রোববার যুগান্তরে প্রকাশ, র‌্যাগিংয়ের শিকার বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষের হাতে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক মারধরের শিকার হয়েছেন।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার কলেজ হোস্টেলে আবাসিক এক ছাত্রী র‌্যাগিংয়ের শিকার হন। এ ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে সাংবাদিকরা সেখানে গেলে হোস্টেল সুপার এবং কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক তাদের ওপর চড়াও হন। এ সময় সাংবাদিকদের প্রথমে চড়-থাপ্পড় এবং একপর্যায়ে চেয়ার দিয়ে পেটানো হয়। র‌্যাগিং আগে শুধু ছাত্রদের মধ্যেই হতো বলে জানা ছিল, পরে নানা ঘটনায় বেরিয়ে আসে ছাত্রীরাও এর থেকে নিরাপদ নয়। র‌্যাগিংয়ের নামে অত্যাচার কমবেশি সব বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রচলিত আছে। পরিতাপের বিষয়, র‌্যাগিং বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এমনকি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন র‌্যাগিংয়ের বিচার করতে পারে না বিভিন্ন সংগঠনের চাপে বা লেজুড়বৃত্তির রাজনীতির কারণে। ২০১৯ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় সুপ্রিমকোর্টের এক বিচারপতি বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাগিং বন্ধে যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করত, তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না। ২০২০ সালে অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। যে কমিটির প্রধান হিসাবে ছাত্র উপদেষ্টা সদস্যসচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও হল প্রভোস্টদের সদস্য রাখার সুপারিশ করা হয়েছিল; কিন্তু সময় গড়িয়েছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় র‌্যাগিং নামের ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়নি। র‌্যাগিং বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষকসহ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবিলম্বে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের মাধ্যমে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে-এটাই প্রত্যাশা।

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম