Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

মসলার বাজারেও কারসাজি: এসব কি দেখার কেউ নেই?

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মসলার বাজারেও কারসাজি: এসব কি দেখার কেউ নেই?

অন্যান্য নিত্যপণ্যের মতো মসলার বাজারেও চলছে সিন্ডিকেটের কারসাজি। চড়া দামের কারণে নির্দিষ্ট আয়ের ভোক্তারা রান্নার অত্যাবশ্যকীয় পণ্য মসলার ব্যবহার কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, বাজারে সিন্ডিকেটের কারসাজি চলছে, অসৎ ব্যবসায়ীরা অসাধু পন্থা অবলম্বন করে অতি মুনাফা লুটছে-এসব কি দেখার কেউ নেই?

ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানি করা পণ্যের দাম কিছুটা বাড়তেই পারে। কিন্তু তাই বলে তিন-চারগুণ? যে জিরা আমদানিতে ব্যয় হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৩২-৩৩৫ টাকা, বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকায়! আদা কেজিপ্রতি ১২৯-১৩০ টাকায় আমদানি করা হলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। ভাবা যায়? এভাবে এলাচ, লবঙ্গ, ধনে, তেজপাতা, হলুদ, রসুন-সব মসলাই বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় দেশের বাজারে পণ্যটির দাম সেঞ্চুরিতে গিয়ে ঠেকেছে। দেখা যাচ্ছে, কোনো পণ্যের আমদানিতে যতটা না দাম বাড়ছে, অসৎ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে তার চেয়ে অনেক বেশি। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে অসৎ ব্যবসায়ীরা মওকা পেয়ে যাচ্ছে। এ প্রবণতা কোনোভাবেই চলতে দেওয়া যায় না। মনে রাখতে হবে, এই অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা অপরাধী, তাদের শক্ত হাতে দমন করা জরুরি।

বস্তুত অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই দিন দিন তাদের লোভ বাড়ছে, তারা হয়ে উঠছে বেপরোয়া। বাজার তদারকির কথা শোনা গেলেও বাস্তবে এ ধরনের তৎপরতা কোনো বাজারেই দৃশ্যমান নয়। বাজার তদারকি সংস্থার উদ্দেশে আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, নিত্যপণ্যের প্রতিটি বাজারে নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা করুন। চিহ্নিত করুন সিন্ডিকেট।

অসৎ ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা করে আইনের আওতায় আনুন। এ ধরনের কিছু দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। দেখবেন অতি মুনাফাখোরদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হয়ে গেছে। আর তা না পারলে সেটা বাজার তদারকি সংস্থা ও সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা বলে পরিগণিত হবে। প্রশ্ন উঠবে সংশ্লিষ্টদের সততা ও আন্তরিকতা নিয়ে। সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধেই নিতে হবে ব্যবস্থা। তাদের বুঝতে হবে, প্রতিটি নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে নিুআয়ের মানুষ বড় কষ্টে আছে। এ অবস্থায় বাজারে দিনের পর দিন সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা চলতে দেওয়া যায় না। এদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে অভিযান শুরু করা দরকার।

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম