অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া: এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকুক
সম্পাদকীয়
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কলেজ ও মাদ্রাসায় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির অনলাইন আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ পাওয়ার কথা থাকলেও আগের দিন রাত ১২টা থেকেই তা পাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত ১৭ ঘণ্টায় মোট সাড়ে তিন লাখ আবেদন পড়েছে। সে হিসাবে প্রতি মিনিটে আবেদন করেছে ৩৪৩ জন।
অনলাইন প্রক্রিয়ায় আবেদন করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সাড়া মিলেছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। জানা গেছে, আগামী সাত দিনের মধ্যেই প্রথম দফার কার্যক্রম শেষ হবে। যদিও ২০ আগস্ট পর্যন্ত এ আবেদন প্রক্রিয়া চলবে। অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা সাপেক্ষে একজন শিক্ষার্থী সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ দশটি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবেন। একজন শিক্ষার্থী যত কলেজে আবেদন করবেন তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
গত কয়েক বছর ধরেই ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে চলছে। ডিজিটাল পদ্ধতি নিয়ে শুরুতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও আখেরে তা সবার জন্যই যে সুফল বয়ে এনেছে, আবেদনের এ হার তারই প্রমাণ। এ প্রক্রিয়ার একটি সুবিধা হলো আবেদনের ক্ষেত্রে আগের মতো ফরম জোগাড় কিংবা হাতে লিখে তা পূরণের মতো দুর্ভোগ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আর পোহাতে হচ্ছে না। অভিভাবকরা সংগত কারণেই সন্তানদের নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানোর জন্য উদগ্রীব থাকেন। অনলাইনে ভর্তির আবেদনের সুযোগ তৈরি হওয়ায় এক্ষেত্রে ভর্তি বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত অসাধু ব্যক্তিদের দৌরাত্ম্য নেই।
সরকার অনিয়ম-দুর্নীতি রোধসহ শিক্ষার্থীদের অহেতুক হয়রানি থেকে বাঁচাতে যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে, তা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। তবে ইতঃপূর্বে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। যেমন, আবেদনপত্র গ্রহণের প্রথম দিনই পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ৯টায় ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইট উন্মুক্ত করার কথা থাকলেও সেটি খুলে দেওয়া হয় ২ ঘণ্টা পর।
বিলম্বে খোলা এ ওয়েবসাইট অপূর্ণাঙ্গ ছিল বলেও অভিযোগ ছিল। ১ হাজার ৩০০ বেসরকারি উচ্চবিদ্যালয়কে এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ ছিল, যার মধ্যে রাজধানীর খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ছিল। সেসব সমস্যার কথা মাথায় রেখেই যে এবার আবেদন প্রক্রিয়া নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শুরু করা হয়েছে, তাকে সাধুবাদ জানাতে হয়। ভবিষ্যতেও শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে, এটাই প্রত্যাশা।