Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

কর্মস্থলে ফেরা

প্রতিবছরের মতো এবারও ভোগান্তি কম নয়

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কর্মস্থলে ফেরা

ঈদ ও সাপ্তাহিক বন্ধসহ টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে সরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা-আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন বেসরকারি অফিস রোববার খুলেছে। প্রথম কর্মদিবসে যোগ দিতে শনিবার অনেকেই ঢাকায় ফিরেছেন। তবে বরাবরের মতো ভোগান্তি থাকলেও দিনভর বৃষ্টি এর মাত্রাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এদিনের টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক পানিতে ডুবে যায়। রাজধানীতে ফিরে তাই জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে। ঢাকায় বাস, সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশার সংকটও ছিল। দীর্ঘ সময় পরপর এসব যান পাওয়া গেলেও গুনতে হয়েছে বাড়তি ভাড়া। তবে রোববার সকাল থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় ভোগান্তির চিত্র বদলেছে। যাত্রীরা জানিয়েছেন অন্য সময়ের তুলনায় এদিন ভোগান্তি ছাড়াই যাতায়াত করতে পেরেছেন তারা।

এদিকে, সবাই যে শুধু নগরীতেই ফিরছেন তা নয়, এখনো ঢাকা থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ গ্রামে যাচ্ছেন। রোববার এ আসা ও যাওয়া উভয়দিকের যাত্রীদেরই মুখে ছিল স্বস্তির আভাস। তবে শনিবার যারা ঢাকা ছেড়েছেন, তাদের ঠিকই ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। অনেকেই বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা আর পরিবহণ সংকটে পড়েছেন, গুনেছেন বাড়তি ভাড়া। সড়কে শৃঙ্খলা না থাকায় যানজটেও বসে থাকতে হয়েছে অনেকটা সময়।

শুধু এবারই নয়, প্রতিবছরই ঈদে ঘরমুখো কিংবা ঢাকায় ফেরত আসা যাত্রীদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায়। বাড়তি ভাড়া তো আছেই, সড়কে শৃঙ্খলার অভাবে যানজটের কবলে পড়তে হয় যাত্রীদের। নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো তাই কঠিন হয়ে যায়। ট্রেনেও টিকিটহীনদের দৌরাত্ম্যে ভোগান্তিতে পড়েন বৈধ যাত্রীরা। আর জলপথে লঞ্চ-স্টিমারের মতো পরিবহণে অধিক যাত্রীর কারণে ঝুঁকি বেড়ে যায় বহুগুণ। ভোগান্তি এড়াতে সরকার প্রতি ঈদেই সতর্কতামূলক বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু কিছুসংখ্যক ঘরমুখো যাত্রীর নিয়মভঙ্গের প্রবণতার কারণে তা শতভাগ কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। ফলে ভোগান্তি নিয়ে নিরাপদে কর্মস্থল ও গন্তব্যে ফেরা বাকিদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।

এছাড়া আছে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনার আধিক্য। বাড়তি ট্রিপের মোহে পরিবহণচালকরা সড়কে দ্রুত চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। পাশাপাশি মোটরসাইকেলের মতো ছোট যানের দুর্ঘটনার হারও প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এবারের ঈদযাত্রায় অবশ্য সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমতে দেখা গেছে। তবে ঘরমুখো যাত্রীরা নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছলেও ফাঁকা সড়কে বেপরোয়া গাড়ি চালাতে গিয়ে অর্ধশতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতালের তথ্যমতে, ঈদের তিন দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এ হাসপাতালে ২০৬ জন ভর্তি হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গতির নেশা এবং মৌমুমি চালকরা এসব দুর্ঘটনার জন্য মূলত দায়ী। আমরা দেখেছি, ঈদের সময় মৌসুমি চালকের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। সড়ক-মহাসড়ক ফাঁকা থাকায় এরা যানবাহনের গতি বাড়িয়ে দেন। এর ফলে যে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে, তা তারা মনেই করেন না। তাই দুর্ঘটনা কমাতে মৌসুমি চালকদের

গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ দেওয়ার পাশাপাশি, পরিবারকেও সতর্ক থাকতে হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম