দুই সিটির নির্বাচন
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হতে হবে
সম্পাদকীয়
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
উৎসবমুখর পরিবেশে সোমবার রাতে নির্বাচনি প্রচার শেষ হওয়ার পর রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে আজ। শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ দুই সিটিতে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে নির্বাচন কমিশন আশা করছে। তবে সিলেটের ১৩২টি ও রাজশাহীর ১৪৮টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত হওয়ায় এসব কেন্দ্র নিয়ে শঙ্কা রয়েই গেছে। এবার সিলেট নগরীতে মেয়র পদে লড়ছেন আটজন। অপরদিকে, রাজশাহী সিটিতে চার মেয়রপ্রার্থীর মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম নির্বাচন বর্জন করেছেন।
ফলে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই নির্ভার। নির্বাচনগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক, এটাই কাম্য।
বলা হচ্ছে, এ দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতির কথা ইসির পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে। নেওয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। কেন্দ্রের বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে রয়েছে র্যাব।
এছাড়া ভোটের মাঠে বিজিবিও মোতায়েন আছে। আমরা আশা করছি, ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাদের ভোট দিতে পারবেন, যা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনি এলাকায় ভোটকেন্দ্রের ভেতরে কিংবা আশপাশে কোনো বহিরাগত নারী-পুরুষ যাতে অবস্থান করতে না পারে, নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে না পারে, সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যা পরিলক্ষিত হয়নি। নির্বাচন কমিশনকে তাদের প্রতি রাজনৈতিক দল ও মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সচেষ্ট হতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকরা স্বাভাবিকভাবেই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ভোট গ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবাইকে তৎপর থাকতে হবে। সবাই যদি তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন, তাহলে নির্বাচন কমিশনের আস্থার জায়গাটি মজবুত হবে, যা বলাই বাহুল্য। ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ সৃষ্টির মাধ্যমে সব মহলের মাঝে আস্থার জায়গা তৈরিতে নির্বাচন কমিশন সফল হবে, এটাই প্রত্যাশা।