ক্যানসার ও হৃদরোগের টিকা
দেশেই আবিষ্কারের উদ্যোগ নিন
সম্পাদকীয়
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ক্যানসার ও হৃদরোগের টিকা আবিষ্কারের সুখবর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এটিকে একটি বড় সুখবর হিসাবেই বিবেচনা করা যায়। কারণ বর্তমানে বিশ্বে প্রতিবছর ক্যানসার ও হৃদরোগের কারণে বহু মানুষ মারা যায়। জানা যায়, পৃথিবীর অন্তত ২০০ ধরনের ক্যানসার রয়েছে। বিজ্ঞানীদের গবেষণা অব্যাহত থাকলে আশা করা যায়, একসময় ক্যানসারসহ সব জটিল রোগের টিকা আবিষ্কার করা সম্ভব হবে। বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, ক্যানসার ও হৃদরোগের টিকা ২০৩০ সালের মধ্যেই তৈরি করা সম্ভব। বস্তুত করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের পর থেকে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময়ে ক্যানসারের টিকার ক্ষেত্রেও সফল হওয়ার বিষয়ে সম্ভাবনার কথা বলে আসছেন। গবেষকরা বলেছেন, সাধারণভাবে প্রায় ১৫ বছরে গবেষণা খাতে যে অগ্রগতি হয়ে থাকে করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের ক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যেই সেই অগ্রগতি সাধিত হয়েছিল। গবেষকদের অব্যাহত প্রচেষ্টা এবং পর্যাপ্ত বিনিয়োগ-এ দুয়ের সমন্বয়ে সুফল পাওয়া গেছে করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের ক্ষেত্রে। কাজেই গবেষকদের প্রচেষ্টা এবং পর্যাপ্ত বিনিয়োগ অব্যাহত থাকলে আশা করা যায়, কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যেই ক্যানসার ও হৃদরোগের টিকা আবিষ্কার করা সম্ভব হবে। এ টিকা সুলভ হবে কি না, তা জানা যায়নি। যদি এটি সুলভ না হয়, তাহলে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ এর সুফল থেকে বঞ্চিত হবে।
বর্তমানে দেশে অর্থসংকটের কারণে ক্যানসার ও অন্য জটিল রোগে আক্রান্ত অনেক রোগী আধুনিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কাজেই ক্যানসার ও হৃদরোগের টিকা সুলভে প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে এটি দেশেই আবিষ্কারের উদ্যোগ নিতে হবে। জীবন রক্ষাকারী ওষুধ উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য বিস্ময়কর। কাজেই যথাযথ বিনিয়োগ করা হলে ক্যানসারসহ বিভিন্ন জটিল রোগের টিকা আমাদের দেশেই আবিষ্কার করা সম্ভব, এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। এখন দরকার সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা। দেশে সব ধরনের জটিল রোগের চিকিৎসা যাতে সুলভে পাওয়া যায়, সেজন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। যেসব কারণে ক্যানসার ও অন্য জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে সে বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে তোলার পদক্ষেপ নিতে হবে। জানা যায়, দেশে ক্যানসারসহ অন্য জটিল রোগের চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বেশির ভাগ গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। কাজেই এসব বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তোলার পাশাপাশি চিকিৎসসেবা সুলভ করার পদক্ষেপ নিতে হবে।