নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি: পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিন
সম্পাদকীয়
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতির পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইনটি বাতিল করা প্রয়োজন বলে মনে করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
সংস্থাটি মনে করে, এ আইনের কারণে সরকারকে বিপুল পরিমাণ বাড়তি ব্যয় করতে হচ্ছে। অন্যদিকে কোনো কোনো পক্ষ পাচ্ছে বাড়তি সুবিধা। অথচ ফসিল ফুয়েল বা জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে এসে ধীরে ধীরে নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে গেলে বড় রকমের ভর্তুকির চাপ থেকে সরে আসার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে যে সংকট চলছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি-২০২২ বাস্তবায়নের মাধ্যমে তা অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করে সংস্থাটি।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক, নবায়নযোগ্য জ্বালানি আহরণের বিষয়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়নে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি এর কারণ বলে মনে করে সিপিডি।
আমরা জানি, যে শক্তির উৎস নিঃশেষ হয়ে যায় না, অল্প সময়ের মধ্যেই পুনরায় ব্যবহার করা যায়-তাকে বলা হয় নবায়নযোগ্য জ্বালানি। এ জ্বালানির উৎস হলো-সৌরশক্তি, ভূ-তাপ, বায়ুপ্রবাহ, জলপ্রবাহ, সমুদ্রঢেউ, সমুদ্রতাপ, বায়োগ্যাস, বায়োফুয়েল, আবর্জনা ইত্যাদি। এসব উৎস কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। আমরা কেন এক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকব? এ থেকে নানাভাবে উপকৃত হতে পারি আমরা। প্রথমত, নবায়নযোগ্য জ্বালানি পরিবেশবান্ধব। দ্বিতীয়ত, এটি উচ্চমূল্যে কিনতে হবে না, ফলে প্রয়োজন হবে না ভর্তুকি দেওয়ার। পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ কমাতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছে।
বস্তুত বিশ্বকে ক্রমান্বয়ে সেদিকেই যেতে হবে। কাজেই আমাদেরও উচিত আমরা যাতে দ্রুত সেই পথে অগ্রসর হতে পারি সেই পদক্ষেপ নেওয়া। এক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে হবে। আমরা মনে করি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট নিরসনে সরকারের উচিত অবিলম্বে একটি ভোক্তাবান্ধব জ্বালানি নীতি প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন করা। একইসঙ্গে এ খাতে বিদ্যমান সব ধরনের দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে হবে।