Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

চাল আমদানি

সিন্ডিকেটের কারসাজি রুখতে হবে

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

চাল আমদানি

চাল-আটার বাজার অস্থির থাকলে নিম্ন-আয়ের মানুষের কষ্ট বাড়ে। গত কয়েক বছরে নিম্ন-আয়ের মানুষের এ কষ্ট আরও বেড়েছে। যেহেতু বর্তমানে নিত্যপণ্যের দাম গরিব মানুষের নাগালের বাইরে, সেহেতু চালের বাজার যাতে অস্থির না হয় সেজন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

আমরা দেখেছি, সিন্ডিকেটের কারসাজির কারণে ভরা মৌসুমেও চালের দাম বাড়ে। কাজেই সিন্ডিকেটের তৎপরতা রোধ করতে হবে। জানা যায়, কয়েক দফা সময় বাড়িয়েও বেসরকারিভাবে চাল আমদানির পরিমাণ বাড়ানো যায়নি। বিষয়টি উদ্বেগজনক।

বেসরকারি আমদানিকারকদের প্রায় তিন মাস আগে ১৪ লাখ ৯০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু দেশে এসেছে মাত্র ৪ লাখ ১০ হাজার টন। বাকি ১০ লাখ ৮০ হাজার টন চাল এখনো এসে পৌঁছেনি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই চাল দেশে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তবে বাকি চাল সময়মতো আমদানির পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, তা অনিশ্চিত।

বেসরকারি আমদানিকারকরা অতীতে নানা অজুহাতে চাল কম আমদানি করেছে। সেসব বিবেচনায় নিলে অনুমান করা যায়, এবারও তারা চালাকি করতে পারে। ফাঁদ পেতে অতিরিক্ত মুনাফা লাভ যাদের স্বভাব, তাদের ওপর মানুষ ভরসা রাখবে কী করে? অতীতের মতো এবারও তারা কারসাজি করছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। বেসরকারি আমদানিকারকদের কেউ কেউ ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে গা বাঁচানোর চেষ্টা করতে পারে।

এ ধরনের অপচেষ্টার কারণে মানুষ বিভ্রান্ত হতে পারে। জানা যায়, খাদ্য সংকটের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সরকার পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুত করতে চায়। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সময়মতো পদক্ষেপ নিতে হবে।

আমন ধানের চাল বাজারে এলে সাধারণত ডিসেম্বরের প্রথমদিকে দাম কমে। কিন্তু এবার দাম কমেনি। এর আগে বোরো মৌসুমেও একই চিত্র দেখা গেছে। মনে হচ্ছে, সারা বছরই ক্রেতাদের বাড়তি দামে চাল কিনতে হবে। নিত্যপণ্যের দাম চড়া থাকলেও নিম্ন ও মধ্যবিত্ত বাধ্য হয়ে আমিষ খাওয়া কমিয়ে দেয়।

গরিব মানুষ পুষ্টিকর খাবার কম খেলে জনশক্তি সৃষ্টিতে এর প্রভাব পড়বে। শিক্ষা ব্যয়, চিকিৎসা ব্যয়সহ বিভিন্ন ব্যয় মেটাতে গিয়ে দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। এ অবস্থায় নিত্যপণ্যের দাম যাতে মানুষের নাগালের মধ্যে থাকে সেজন্য কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া না হলে ভোক্তাদের কষ্ট দূর হবে না।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম