‘তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ’
সালমা ইসলাম
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বিচিত্র এই জীবনের বাঁকে বাঁকে কখনো কখনো আমরা এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হই যে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ি। আমার স্বামী যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের হঠাৎ মৃত্যুতে তেমনই এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলাম। সেই পরিস্থিতি থেকে স্বাভাবিক কর্মময় জীবনে ফেরার কাজটি সহজ ছিল না। করোনা আমার স্বামীকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে-দেখতে দেখতে তিনটি বছর চলে গেল। তিনি নেই, এটি কখনোই ভাবতে পারি না। জগতের নিয়মে আমাদের কাছ থেকে দূরে চলে গেলেও যমুনা পরিবার ও দেশবাসীর মন এমনভাবে জয় করেছেন যে, আমাদের সবার ভাবনায় তিনি সব সময় বেঁচে আছেন। শোকের আগুন তীব্র হলে অনেকেই দিশেহারা হন। স্বামীকে হারিয়ে আমিও দিশেহারা হয়েছিলাম। এক সময় মনে হয়েছে, তিনি তো আমাদের সামনে কর্মময় জীবনের ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, তা অনুসরণ করলে হয়তো শোকের তীব্রতা কিছুটা কমবে। বাস্তবেও হয়েছে তাই। তার অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করার চেষ্টা করায় শোকের তীব্রতা কিছুটা কমেছে।
তিনি পরপারে চলে গেলেও তার স্মৃতির দ্যুতি প্রতিমুহূর্তে আমাদের আলোকিত করছে। তার স্মৃতি আমাদের অনন্ত প্রেরণার উৎস। সব সময় মনে হয়, তিনি আমার পাশে আছেন, সঙ্গেই আছেন। তার সঙ্গে এত স্মৃতি-কোন বিষয় আগে বলব, ভেবে পাচ্ছি না। মাতৃভূমিকে তিনি এত ভালোবেসেছিলেন যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। যুদ্ধের শেষদিকে তিনি ও তার সঙ্গীরা পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্যদের হাতে ধরা পড়ে যান। এরপর তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন করা হয়। তিনি যে বেঁচে ফিরবেন, সেই আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। তিনি ও তার সঙ্গীরা ঢাকার রাজপথে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। সে কারণে শত্রুরা তাকে এমনভাবে নির্যাতন করেছে, যা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। নির্যাতনের একপর্যায়ে শত্রুরা তাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। যখন আকাশে যুদ্ধবিমান উড়ছিল, তখনো তার ওপর নির্যাতন চলছিল। ওই সময় পাকিস্তান আর্মির এক কর্মকর্তা চিনতে পেরে সেদিন তাকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরিয়ে আনেন। শত্রুরা তাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণে ওই ক্যাম্পের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়, তারা তখন দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। আল্লাহর অশেষ রহমত-আমার স্বামী আমাদের মাঝে ফিরে এসেছিলেন। তাকে যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, তখন তিনি হাঁটতে পারছিলেন না। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তার ওপর এমনভাবে নির্যাতন চালিয়েছে যে, তাকে উদ্ধার করার পর উপস্থিত সবাই, এমনকি ডাক্তাররাও বলেছেন, নির্যাতনের কারণে নুরুল ইসলাম সাহেব হয়তো আর কোনোদিন স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন না। আল্লাহর অশেষ রহমত-আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে আমার স্বামী স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে সক্ষম হন। যারা তার ওপর নির্যাতন চালিয়েছিল, তাদের তিনি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সুস্থ হতে অনেকদিন পার হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সেসব সদস্যকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। সব মিলে তার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি অনেক ঘটনাবহুল, যা নিয়ে একটি বই লেখা যাবে। সুস্থ হওয়ার পর তিনি আমার শ্বশুরের ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হন। জীবনে তিনি কোনোদিন অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি। স্রোতের বিপরীতে চলার কারণে তাকে অনেক মাশুল দিতে হয়েছে। জেল-জুলুম সহ্য করেছেন, তারপরও তিনি সত্য প্রকাশে ছিলেন অবিচল।
২. অতিরিক্ত আমদানিনির্ভরতা দেশের অর্থনীতিতে নানারকম ঝুঁকি সৃষ্টি করে-এ বিষয়টি উল্লেখ করে আমার স্বামী বলতেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে আমদানিনির্ভরতা কাটিয়ে ওঠা দরকার। এসব কথা বলার পাশাপাশি তিনি একের পর এক শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। নিরন্তর পরিশ্রম করে তিনি সাফল্যের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। নুরুল ইসলাম শুধু রণাঙ্গনের সম্মুখসমরের বীর মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না, তিনি জীবনযুদ্ধেও সব সময় ছিলেন একজন অকুতোভয় সৈনিক। দেশের স্বার্থকে তিনি সবকিছুর ঊর্ধ্বে বিবেচনা করতেন। কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে তিনি একটার পর একটা শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। আমাদের দুর্ভাগ্য নুরুল ইসলাম তার সব স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করার আগেই করোনা তাকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিল। তার মৃত্যুতে দেশের অগণিত মানুষ শোকাহত হয়েছেন। সবার উদ্দেশে বলব, নুরুল ইসলামের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নে আসুন সবাই তার মতোই নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করি; পরের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিই। তিনি পরের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সবার উদ্দেশে আবারও বলব, আসুন আমরা যমুনা গ্রুপের স্বপ্নদ্রষ্টার মতো দৃষ্টান্ত স্থাপনে সচেষ্ট হই।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও দেশের টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে জীবনব্যাপী শিক্ষার গুরুত্বও কম নয়। জীবনব্যাপী শিক্ষা কোনো ব্যক্তিকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বড় কিছু করতে উদ্বুদ্ধ করে। জীবনব্যাপী শিক্ষার প্রসারে গণমাধ্যমও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মানুষ যাতে জীবনব্যাপী শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রেরণা পায়, তা নিশ্চিত করতে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি যমুনা গ্রুপের স্বপ্নদ্রষ্টা নুরুল ইসলাম যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশন প্রতিষ্ঠা করেছেন। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি দরকার উন্নত মানবিক মূল্যবোধসমৃদ্ধ সমাজ। তেমন সমাজ সৃষ্টির লক্ষ্যেই নুরুল ইসলাম মিডিয়ায় বিনিয়োগ করেছেন। মিডিয়া এমন এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যা সব বয়সি মানুষকে সুশিক্ষিত হতে উদ্বুদ্ধ করে, বিনয়ী হতে উদ্বুদ্ধ করে, পরোপকারী হতে উদ্বুদ্ধ করে, সর্বোপরি মিডিয়া মানুষকে দায়িত্ব-সচেতন হতে উদ্বুদ্ধ করে।
যুগান্তর পত্রিকা ও যমুনা টেলিভিশনের সুনাম এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এজন্য আমরা গর্বিত। নুরুল ইসলাম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ৪১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে যুগান্তর ও যমুনা টিভির প্রতি ছিল তার বিশেষ দৃষ্টি। শত ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি যুগান্তর ও যমুনা টিভির খোঁজ নিতে ভুলতেন না। এ দুটি প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বমানের শক্তিশালী গণমাধ্যম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রতিষ্ঠার প্রথমদিন থেকে লড়াই করে গেছেন তিনি। এ প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মীর সাহস ও অনুপ্রেরণার এক বড় উৎস ছিলেন নুরুল ইসলাম। তিনি সব সময় অভয় দিয়ে বলতেন, ‘সত্য প্রকাশে কখনো পিছপা হওয়া যাবে না; যত বাধা আসুক, সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলতেই হবে।’ তিনি বলতেন, ‘আমি মিডিয়া প্রতিষ্ঠা করেছি অন্যায়-দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে; সমাজের মুখোশধারীদের মুখোশ খুলে দিতে।’ তিনি আরও বলতেন, ‘যুগান্তর ও যমুনা টিভি হবে সমাজে অন্যায়-জুলুমের শিকার মানুষের মুখপত্র।’
যমুনা ফিউচার পার্ক দেশে-বিদেশে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করেছে। তার প্রতিষ্ঠিত হবিগঞ্জের শিল্পপার্কটিও ইতোমধ্যে দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। একটি নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা কতটা কঠিন কাজ, তা সবাই জানেন। মানুষের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে তিনি একটার পর একটা নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মতো কঠিন কাজ শুরু করতেন। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য ব্যস্ত সময় পার করলেও পরিবারের প্রতিটি কাজকেই তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করতেন। ব্যবসা-বাণিজ্য বা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাজে যখন তিনি বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়তেন, তখন তিনি আমাকে বলতেন, আমি যেন সন্তানদের সবকিছুর দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখি। আমি সেভাবেই চেষ্টা করেছি সন্তানদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে। আমাদের সন্তানরা উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে দেশে ফেরার পর তিনি তাদের বলেছেন বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাজকর্ম দেখাশোনা করতে। এভাবে তিনি সন্তানদের বিভিন্ন দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। আমাদের সন্তানরা অল্প সময়ের মধ্যেই কাঙ্ক্ষিত দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সন্তানদের তিনি সব সময় নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করতেন। নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলার কারণেই সন্তানরাও নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে।
৩. নুরুল ইসলামের মতো এমন একজন কীর্তিমান মানুষকে স্বামী হিসাবে পেয়ে আমি গর্বিত, আমি ধন্য। তিনি যদি আরও কিছুদিন বেঁচে থাকতেন, তাহলে আরও নতুন নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারতেন; সেসব প্রতিষ্ঠানে অনেক কর্মীর কর্মসংস্থান হতো। ব্যবসা-বাণিজ্য বা শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কাজে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন; কিন্তু কখনোই ঋণখেলাপি হননি তিনি। ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে তিনি সব সময় সোচ্চার ছিলেন। তিনি এত টাকা রোজগার করেছেন; কখনো দেশের বাইরে টাকা পাচারের কথা ভাবতেও পারতেন না। সব সময় চেষ্টা করতেন দেশে কী করে নতুন নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যায়। আমাদের সৌভাগ্য, তিনি তার প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের যেভাবে চলতে বলেছেন, সবাই তার দিকনির্দেশনা মতোই চলছেন। আমার বিশ্বাস, যমুনা গ্রুপের সব কর্মী আগামী দিনেও যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের দিকনির্দেশনা মতোই চলবেন।
কাজের মধ্যে ডুবে থেকে প্রকৃত আনন্দ খুঁজে পেতেন যমুনা গ্রুপের স্বপ্নদ্রষ্টা। যখন যে কাজটা করতেন, তা শতভাগ মনোযোগ দিয়ে করতেন। কর্মক্ষেত্রে প্রথম স্থান অর্জন ব্যতীত এর নিচের স্থানগুলোর কথা ভাবতেই পারতেন না তিনি। ছুটি কিংবা ছুটির দিন বলে তার কাছে কোনো শব্দ ছিল না। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ভোরে তিনি সড়কপথেই ছুটে যেতেন হবিগঞ্জে যমুনা গ্রুপের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে, কখনো গাজীপুরে গ্রুপের শিল্পপ্রতিষ্ঠানে। আবার এমনও ঘটেছে-শুক্রবার হবিগঞ্জ থেকে আসার পর শনিবার গেছেন গাজীপুর; সেখান থেকে ফেরার পর গেছেন গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে। কাজ ছাড়া কখনো তিনি কোথাও সময় পার করতেন না।
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, ‘তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ’। বাসায় কিংবা অফিসে যখনই যমুনা গ্রুপের স্বপ্নদ্রষ্টার ছবির সামনে দাঁড়াই, তখন আপন মনে বলি, ‘তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ’। তিনি যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন, তেমন প্রতিষ্ঠান আরও অনেকে গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন। কিন্তু তার মতো উদ্যমী মানুষ আমরা পাব না। এজন্যই তাকে উদ্দেশ করে বলি, ‘তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ’।
৪. কঠিন বিপদের মধ্যেও তিনি এতটুকু ধৈর্য হারাতেন না। দীর্ঘ পথচলায় গ্রুপের ওপর যতবার বড় কোনো বিপদ কিংবা সংকট এসেছে, তিনি দক্ষ অধিনায়কের মতো নেতৃত্ব দিয়েছেন। কোনো বিপর্যয় হলে তাকে সান্ত্বনা দিতে হতো না। বরং উলটো তিনি আমাদের বোঝাতেন। বলতেন, চিন্তা করো না, আবার নতুন করে হবে, হয়তো এর চেয়ে ভালো হবে।
তার ‘সময়জ্ঞান’ ছিল প্রবাদতুল্য। তিনি কোথাও কোনো মিটিং কিংবা কোনো অ্যাপয়েন্টমেন্টে গেলে নির্ধারিত সময়ের অন্তত ১৫ মিনিট আগে উপস্থিত হতেন। রাস্তার যানজট হিসাব করে সেভাবেই বের হতেন। তিনি সবার আগে অফিসে আসতেন এবং অফিস ত্যাগ করতেন সবার পরে। হয়তো মাঝেমধ্যে বিশেষ কারণে ব্যতিক্রম হতো। আজ তার চলে যাওয়ার তিন বছর পূর্তির দিনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে আমাদের চাওয়া-আল্লাহ যেন নুরুল ইসলামকে জান্নাত নসিব করেন। আমিন। আমরা যারা বেঁচে আছি, সবাই যেন নুরুল ইসলাম সাহেবের সব ভালো গুণ ধরে রাখতে পারি, আমাদের সেই চেষ্টা করা উচিত।
লেখক : চেয়ারম্যান, যমুনা গ্রুপ; জাতীয় সংসদ-সদস্য;
সাবেক প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়