এবার ৩ দিনব্যাপী রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জাতীয়ভাবে এবার তিন দিনব্যাপী রবীন্দ্র ও নজরুলজয়ন্তী উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষ্যে সারা দেশে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অধিদপ্তর, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ স্কুল ও কলেজে নানা আয়োজন থাকবে। রোববার রবীন্দ্র-নজরুল জন্মবার্ষিকী উদযাপন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের নানা কর্মসূচি নির্ধারণ করা হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান; কবি, নজরুল গবেষক ও যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার; জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান খিলখিল কাজী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন মো. সিদ্দিকুর রহমান খান, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম চঞ্চল, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, শিশু একাডেমির মহাপরিচালক দিলারা বেগম, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী, সমকালের সহকারী সম্পাদক এহসান মাহমুদ, কবি বেনজিন খান, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের প্রতিনিধি। ভার্চুয়ালি এ সভায় যুক্ত হন শিল্পী ফেরদৌস আরা, ড. নাশিদ কামাল প্রমুখ।
১৬৪তম রবীন্দ্রজয়ন্তীর মূল আয়োজন শুরু হবে ৮ মে। চলবে তিনদিন। রবীন্দ্রজয়ন্তীর মূল আয়োজন হবে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে। আশা করা হচ্ছে, এই আয়োজনের উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। স্মারক বক্তৃতা, স্মরণিকার পাশাপাশি জাতীয়ভাবে পোস্টার করার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে।
নানা আয়োজন থাকবে রবীন্দ্রস্মৃতিবিজড়িত কাচারিবাড়ি, পতিসরসহ আরও কয়েকটি জায়গায়। শিল্পকলা একডেমি সাংস্কৃতিক আয়োজনের পাশাপাশি চারুকলা প্রদর্শনীর আয়োজন করবে। বাংলা একাডেমি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। দেশের বিভিন্ন জেলায় এবং স্কুল কলেজেও রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপনের নানা আয়োজন থাকবে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মজয়ন্তীর জাতীয় আয়োজনও এবার তিনদিনের। এ আয়োজন শুরু হবে ২৫ মে। কুমিল্লা ও ত্রিশালে থাকবে মূল আয়োজন। স্মারক বক্তৃতা, স্মরণিকাসহ এই আয়োজনগুলোয়ও প্রাধান্য পাবে নজরুলের জীবনদর্শন। নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে ফুটে উঠবে সবকিছু। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের নানা অধিদপ্তর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
