
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৮ এএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলায় চার আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। সেই সঙ্গে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে দুই মাস সময় দিয়েছেন আদালত। প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সময় দেওয়া হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৫ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
গত ২ মার্চ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় চারজনকে ৯ এপ্রিল হাজির করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এরা হলেন এসআই আমীর হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরীফুল ইসলাম এবং তৎকালীন সময়ে বেরোবির ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমরান চৌধুরী আকাশ। সে অনুযায়ী তাদের হাজির করা হয়। বুধবার শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিলেন।
আদেশের বিষয়ে প্রসিকিউটর মীযানুল ইসলাম বলেন, আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় ২৬ জনের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। এই মামলায় পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের হেলমেটবাহিনীও আছে। ২৬ জনের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। আমরা আরও যাচাই-বাছাই করছি। তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করছি পরবর্তী ধার্য তারিখে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারব। তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের হওয়ার আগে আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় রংপুরে আরও দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। একটি হলো তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিল ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কার দেখেছি। একটি টিভি চ্যানেল সম্ভবত লাইভ সম্প্রচার করেছিল। তাতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ আবু সাঈদকে গুলি করছে। আর পুলিশ অফিসার যিনি মামলা করেছেন তাকে বলছে মাথায় আঘাতে মারা গেছে। ছাত্র-জনতাকেই আসামি করা হয়েছে। আরেকটি মামলা ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর আবু সাঈদের পরিবারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। দুটি মামলাই ওখানে আছে। তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালের এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যে, ওই মামলার ওপর নির্ভর করে আমাদের তদন্ত করতে হবে বা ওই মামলার বাইরে আমরা যেতে পারব না। আমাদের তদন্ত দ্রুতগতিতে চলছে। তবে ওই মামলার সব আসামি যদি এখানে আসামি হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয় তা হলে স্বাভাবিক ওই মামলাটা ওখানে নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।
জঙ্গি সাজিয়ে ৯ জনকে হত্যায় ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি : ২০১৬ সালে কল্যাণপুরের জাহাজ বাড়িতে জঙ্গি সাজিয়ে ৯ জনকে গুলি করে হত্যা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক আইজিপি একেএম শহিদুল হক, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক এসপি জসিম উদ্দিন মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ২১, ২২ ও ২৩ এপ্রিল তাদের পৃথক পৃথকভাবে সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলা হয়েছে। আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, প্রসিকিউর গাজী এমএইচ তামিম, আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।