
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩২ এএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
মার্চ মাসে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে ৩২৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। একক কোনো মাসে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স এর আগে কখনো আসেনি। এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রবাসীদের পাঠানো ২৬৪ কোটি ডলার ছিল একক কোনো মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। তারও আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে ২৬০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।
রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্থপাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বর্তমান সরকার। ফলে হুন্ডিসহ বিভিন্ন অবৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানো কমে গেছে, বৈধপথে রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে। এছাড়া মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর কেন্দ্র করে পরিবার-পরিজনের বাড়তি খরচের কথা মাথায় রেখে বেশি বেশি অর্থ পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যার কারণে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্চ মাসে দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১০ কোটি ৬১ লাখ ডলার। যা গত বছরের একই মাসে এসেছিল ৬ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। সে হিসাবে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬৪.৭০ শতাংশ। ২০২৪ সালের মার্চে রেমিট্যান্স এসেছিল প্রায় ২০০ কোটি ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট দুই হাজার ১৭৮ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭.৬০ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরে একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৭০৮ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার। এরপর জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার এবং মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। অর্থাৎ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর টানা ৭ মাস দুই বিলিয়ন এবং মার্চে তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।