
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩১ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
ঈদের ছুটি শেষে রোববার থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার খালাস ও ডেলিভারি কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে। তবে টানা ছুটি চলাকালে ঈদের দিন ছাড়া প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা বন্দরের অপারেশন কার্যক্রম চালু থাকলেও কর্মচারী সংকট, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো ডেলিভারি না নেওয়া, কাস্টম হাউজে পণ্যের শুল্কায়ন না হওয়াসহ নানা কারণে বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে প্রায় ৪১ হাজার কনটেইনারের স্তূপ জমে যায়। দ্রুত কনটেইনার ডেলিভারি নেওয়ার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ নানা নির্দেশনা দিলেও সেই নির্দেশনার প্রতিফলন ঘটেনি। যে কারণে কনটেইনারের স্তূপ নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষকে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, কনটেইনার খালাস হওয়ার পর ইয়ার্ড থেকে দ্রুত ডেলিভারি নেওয়ার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ আমদানিকারকদের চিঠি দিয়ে অনুরোধ করে। পাশাপাশি বন্দর কর্তৃপক্ষও নানা উদ্যোগ নিয়ে থাকে। প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে কনটেইনারের জট লাগে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, ঈদের ছুটির সময় জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাস করার পর ইয়ার্ডে রাখা। এ সময় ডেলিভারির গতি থাকে শ্লথ। এছাড়া কাস্টমসে পণ্যের শুল্কায়ন না হওয়া, আমদানিকারকদের অনীহা বা কর্মচারী সংকটসহ নানা সীমাবদ্ধতার কারণে কনটেইনারের জট লাগে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরে ঈদের আগে ২৮ মার্চ কনটেইনার ছিল ২৯ হাজার ৮৬৫ টিইইউএস (২০ ফুট সমমানের)। ২৬ মার্চ থেকেই কার্যত ঈদের ছুটি শুরু হয়ে যায়। ওইদিন ২৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিনে প্রায় ১১ হাজার টিইইউএস কনটেইনার জমে যায়। ৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে ৪০ হাজার ৯৪৮ টিইইউএস কনটেইনার ছিল।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র আরও জানায়, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন গড়ে ৪ হাজার বা তারও বেশি কনটেইনার ডেলিভারি হলেও ঈদের ছুটিতে কনটেইনার ডেলিভারি হয় প্রতিদিন ১ হাজার থেকে দেড় হাজার। এক হিসাবে দেখা গেছে, ২৮ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কনটেইনার ডেলিভারি হয় ৪ হাজার ১৮২ টিইইউএস। আর ৫ এপ্রিল বন্ধের দিন কনটেইনার খালাস হয় ১ হাজার ৩৯৭ টিইইউএস।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক যুগান্তরকে বলেন, প্রতিবছরই ঈদের বন্ধে নানা কারণে কনটেইনার জট লাগে। তবে এবার ছুটির সময় দীর্ঘ হওয়ায় জটও একটু বেশি হয়েছে। ঈদের দিন ৮ ঘণ্টা ছাড়া বন্ধের দিনেও ২৪ ঘণ্টা সচল ছিল চট্টগ্রাম বন্দর। খালাস ও ডেলিভারি প্রদানের জন্য প্রস্তুত যেমন ছিল তেমনি দ্রুত ডেলিভারি নেওয়ার জন্য আমদানিকারকদের নানা নির্দেশনা প্রদান করা হয়। কিন্তু এরপরও আমদানিকারকরা নানা সীমাবদ্ধতার কারণে কনটেইনার নিতে পারেন না। যার কারণে জট লেগে যায়। রোববার থেকে ডেলিভারি কার্যক্রমে গতি এসেছে উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জট পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি হবে।