
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৫ এএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
অনেক কারখানা সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ঈদ বোনাস দিতে পারেনি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বোনাস দেয়নি ৭২৩ কারখানা। অবশ্য জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন বেশির ভাগ কারখানা দিয়েছে। মার্চ মাসের বেতন দেওয়া শুরু হয়েছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত বেতন দেওয়া হবে। শিল্প পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অবশ্য বিজিএমইএ’র তথ্য বলছে ভিন্ন কথা। সংগঠনটির তথ্য মতে, বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত দুই হাজার ১০৭টি কারখানা চালু আছে। এগুলোর মধ্যে মার্চ মাসের আংশিক ও পুরো বেতন দিয়েছে এক হাজার ৭৫৩টি কারখানা। অর্থাৎ ৮৩ শতাংশ কারখানায় মার্চ মাসের বেতন দিয়েছে।
নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র তথ্য মতে, তাদের সদস্যের ৬১৩টি কারখানা চালু আছে। তার মধ্যে বুধবার পর্যন্ত ৮০ শতাংশ কারখানা ঈদ বোনাস দিয়েছে। চলতি মাসের অর্ধেক বেতন প্রায় ৫০ শতাংশ কারখানা দিয়েছে। এখনো ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন দেয়নি দুটি কারখানা।
অন্যদিকে দাবি আদায়ের নামে গার্মেন্টস শিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টি, অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ, নৈরাজ্য ও সহিংসতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার গার্মেন্টসহ বিভিন্ন শিল্প কলকারখানায় সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখা এবং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং এ ব্যাপারে সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে মালিকপক্ষ ও বিজিএমইএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং তাদের কর্মকাণ্ড মনিটর করা হচ্ছে। তবে অন্যায্য ও অযৌক্তিক দাবির নামে গার্মেন্টস শিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টি, অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ, নৈরাজ্য ও সহিংসতা কোনোভাবেই কাম্য নয় এবং তা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় সরকার তা কঠোরভাবে প্রতিহত করবে। গার্মেন্টসহ বিভিন্ন শিল্প কলকারখানায় সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখা এবং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে সরকার এ বিষয়ে মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষ উভয়ের সহযোগিতা কামনা করছে। ঈদের আগে শ্রম পরিস্থিতির পাশাপাশি শিল্প খাতের শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ও ছুটিসংক্রান্ত বিষয় পর্যালোচনার জন্য ১২ মার্চ সরকার, মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, শ্রমিকদের বকেয়া বেতন, বোনাসসহ সব পাওনা ২০ রমজানের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। মালিকপক্ষকে চলতি মার্চ মাসের অন্তত ১৫ দিনের বেতনও দিতে হবে। বিজিএমইএ’র তথ্য বলছে, এ বছর বেতন-ভাতা নিয়ে সমস্যা হতে পারে মাত্র ১১টি কারখানায়। ২৪৫টি ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা ছিল। সেগুলোকে নিবিড় মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। ১১টি কারখানার সংকট পুরোনো। এই কারখানাগুলোর শ্রমিকরা দাবি আদায়ে কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। ঈদের ছুটি ও বোনাস বাড়ানোর জন্যও আন্দোলনে নেমেছেন কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা।
জানতে চাইলে বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, দু-তিনটি কারখানা ছাড়া কোনো কারখানায় সমস্যা নেই। অধিকাংশ কারখানাই বৃহস্পতিবার ঈদের ছুটি দিয়ে দিয়েছে।